চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নতুন ফেভারিট নিউজিল্যান্ড
Published: 16th, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফেভারিট হিসেবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জোরেশোরে স্বাগতিক পাকিস্তানের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। তবে এ তিন দলের সঙ্গে এখন নিউজিল্যান্ডের নামও আসছে। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর মাত্র পাঁচ দিন আগে স্বাগতিকদের হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয় কিউইদের নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে সবাইকে। অবশ্য আইসিসি ইভেন্টে নিউজিল্যান্ডের ভালো করাটা নতুন কোনো ব্যাপার নয়। গত কুড়ি বছরে বেশ কয়েকটি ফাইনাল তাঁর প্রমাণ।
কিউইদের ফেভারিট হিসেবে ভাবার কারণ হলো, তাদের দুর্দান্ত ফর্ম। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালসহ তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে তারা। এর মধ্যে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়েছে দু’বার। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তিন ম্যাচের কোনোটিতেই তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি প্রতিপক্ষ। সবচেয়ে ভালো করছে কিউইদের ব্যাটিং। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর এ টুর্নামেন্ট দিয়ে ওয়ানডেতে ফেরা কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে ডেভন কনওয়ে, ড্যারেল মিচেলরা দারুণ ব্যাটিং করেছেন।
কিউইদের শক্তির আরেকটি দিক হলো, বেশ কয়েকজন দুর্দান্ত অলরাউন্ডার রয়েছে তাদের। তাদের জন্য দলটির ব্যাটিং গভীরতা বেড়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে টপঅর্ডার দ্রুত আউট হলেও ছয় নম্বরে নামা গ্লেন ফিলিপস মারকুটে সেঞ্চুরি করে দলকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দেন। কিউইদের পেস ইউনিটও ভালো করছে। অভিজ্ঞ ম্যাট হেনরির সঙ্গে দুই নবীন উইল ও’রুকি এবং জ্যাকব ডাফি চমৎকার বোলিং করছেন। উপমহাদেশে বোলিং আক্রমণে বড় ভূমিকা থাকে স্পিনারদের। কিউইদের দুই স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ও ডগ ব্রেসওয়েল দারুণ ফর্মে আছেন। ফাইনালে তো স্যান্টনারের (১০-১-২০-২) বোলিংই অন্যতম নির্ধারক ছিল।
কিউইদের জন্য আরও একটি সুখবর হলো, চোটে পড়া মারকুটে টপঅর্ডার রাচিন রবীন্দ্র ও লকি ফার্গুসন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যে রাচিন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরু থেকেই খেলতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কিউই কোচ গ্যারি স্টিড। গতি তারকা ফার্গুসনকে আসরের শেষদিকে পাওয়া যেতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কোচ। লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন রাচিন। পুরোপুরি ফিট হয়ে নেটেও তিনি ব্যাটিং শুরু করেছেন বলে জানান কোচ। ফার্গুসন চোট পেয়েছিলেন আরব আমিরাতে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি২০ লিগ খেলতে গিয়ে। তিনি এখন পাকিস্তানে দলের সঙ্গে রয়েছেন। সুস্থ হয়ে তিনিও বোলিং শুরু করেছেন। ধীরে ধীরে গতি বাড়াচ্ছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের
গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।
মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।