পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই
Published: 17th, February 2025 GMT
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বর্বরতা যেন থামছেই না। নতুন করে আবারও পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীরা। শনিবার থেকে অন্তত পাঁচটি হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।
এর মধ্যে পশ্চিম তীরের সালফিত শহরে ভারী সামরিক যানবাহনসহ অভিযান চালিয়ে সাবেক ফিলিস্তিনি বন্দি সাঈদ শাতায়েহর বাড়ি ঘেরাও করে তাঁর পরিবারকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবার ইসরায়েলি বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া শাতায়েহকে নিজ বাড়িতে ফিরতে না দিয়ে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী জেনিন শহরের কাছে আররাবেহ থেকে এক ফিলিস্তিনি যুবককে গ্রেপ্তার করলে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। তখন ইসরায়েলি সেনারা দুই ফিলিস্তিনি শিশুকেও আটক করে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সেনাদের ছত্রছায়ায় ফিলিস্তিনিদের ওপর দমনপীড়নের মাত্রা বাড়িয়েছে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরাও। হেবরনের কাছের সুরিফ শহরে সৈন্যদের সহযোগিতায় অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় এক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এর আগে নাবলুসের জালুদ গ্রাম, রামাল্লার উম সাফায় তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর অতর্কিত গুলি চালালেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে গাজার অস্থায়ী আবাসনে বাস্তুচুত্য ফিলিস্তিনিদের ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। বাধ্য হয়ে গত ১৫ মাসের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ভবনে তীব্র শীতে রাত কাটাচ্ছেন অনেক ফিলিস্তিনি।
অন্যদিকে, ট্রাম্পের অনুমোদনে ভারী বোমার চালান পেয়েছে ইসরায়েল। গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর ওপর ২ হাজার পাউন্ড ওজনের এই বোমার সম্ভাব্য প্রভাবের কথা বিবেচনা করে ইসরায়েলে রপ্তানির অনুমোদন দেয়নি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। তবে ট্রাম্প সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর এই চালান পাঠানো হলো।
তেল আবিবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বৈঠকের পর ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন রুবিও।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
গুলিতে আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু, ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
রাজধানীর বাড্ডায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন (৪০) মারা গেছেন। গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এদিন শাহবাগে ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত এবং নীলক্ষেত এলাকার একটি হোস্টেল থেকে এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাড্ডায় নিহত আনোয়ারের গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলায়। তিনি পরিবারের সঙ্গে বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় থাকতেন। স্বজনের অভিযোগ, গত ৮ মে রাত ১১টার দিকে বাড্ডার ভূঁইয়াবাড়ি টেকপাড়ায় শুটার সালাউদ্দিন, নুরা পাগলা, মাহিন, নয়ন, ইউসুফসহ কয়েকজন আনোয়ারকে মারধর করেন এবং পেটে গুলি করেন।
বাড্ডা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, গুলির ঘটনার পর আনোয়ারের পরিবারকে মামলা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা মামলা করেননি। গতকাল মারা যাওয়ার পর হত্যা মামলা করা হয়েছে।
এদিকে, শাহবাগে ছুরিকাঘাতে মো. মোবারক (১৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বিকেল সোয়া ৫টার দিকে শাহবাগ শিশুপার্কের সামনে ফুট ওভারব্রিজের নিচে এই ঘটনা ঘটে। মোবারক শাহবাগ মেট্রো স্টেশনের নিচে থাকতেন।
নিহতের চাচাতো ভাই রবিউল জানান, মোবারক শাহবাগ এলাকার এক মাদক কারবারি নবীর কাছ থেকে মাদক নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করত। সপ্তাহখানেক আগে তার কাছ থেকে মোবারক বাকিতে ৪ হাজার টাকার মাদক নিয়েছিল। নবী গতকাল বিকেলে রাতুল, রাজুসহ কয়েকজনকে মোবারকের কাছে টাকা আনতে পাঠায়। শিশুপার্ক ওভারব্রিজের নিচে মোবারকের কাছে টাকা চাইলে সে দিতে পারবে না বলে জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজু ও রাতুল মোবারককে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে মোবারককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, নীলক্ষেত এলাকার একটি নারী হোস্টেল থেকে গতকাল দুপুরে রিয়া আক্তার শান্তা (৩০) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শান্তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল সদরের পলাশপুরে। তিনি অগ্রণী ব্যাংকে চাকরি করতেন।
ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার তারিক লতিফ বলেন, দুপুর ১টার দিকে নীলক্ষেত নারী কর্মজীবী হোস্টেলে পুরাতন বিল্ডিং ৩০৭ নম্বর কক্ষ থেকে সিলিংফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় শান্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।