দেড় দশকের বেশি সময় ধরে চলা দুঃশাসনের পর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি। কিন্তু বিভেদমূলক রাজনীতিকে ব্যবহার করে সারা দেশে সহিংসতা, বল প্রয়োগ, মব-সন্ত্রাস, তথ্য গোপন, কণ্ঠরোধ ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হেফাজতে নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে নতুন ধরনের স্বৈরতন্ত্রের আশঙ্কা রাষ্ট্রের ওপর চেপে বসেছে।

দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এসব কথা বলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাস: কেমন আছে দেশ ও শিক্ষাঙ্গন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলা হয়।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর যা হচ্ছে, সেটা বিশেষ উদ্বেগের জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সৃজনশীলতাবিরোধী শক্তিগুলোর লম্ফঝম্ফ দেখতে পাচ্ছি। তাদের দাপট দেখতে পাচ্ছি। তাদের বিভিন্ন অজুহাতে সেটা লালনের গান হোক, নাটকের উৎসব হোক, প্রদর্শনী হোক, শিল্পকর্ম হোক, ভাস্কর্য হোক, সেই সমস্তের ওপর আক্রমণ। মনে হচ্ছে যে শিল্পবিরোধী, সৃজনশীলতাবিরোধী মানুষের প্রাণ প্রকাশের যে সমস্ত মাধ্যম আছে, সকল কিছুর ওপরে আক্রমণ আসছে।’ তিনি বলেন, এসব ঠেকানো অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলেও সেটা করা হচ্ছে না।

সাম্প্রতিক ঘটনাবলির বিষয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, গায়ের জোর খাটানো, দমন করা, অত্যাচার করা, জোর-জুলুম করা, জবরদস্তি করা—এসব শেখ হাসিনার আমলের বৈশিষ্ট্য ছিল। এর পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই প্রত্যাশা ছিল না। এই সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টার কথায় মনে হচ্ছে, তাঁরা এগুলোকেই একটা যৌক্তিকতা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন রাষ্ট্রে কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে সবকিছু দলীয় আবরণে হলো, এ এক আশ্চর্য বিষয়। প্রত্যেকটা নিয়োগ—ভিসি, প্রোভিসি থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব জায়গায় খুঁজে খুঁজে দলীয় ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এক ফ্যাসিজম থেকে উল্টো আরেক ফ্যাসিজমের দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, ‘সময়ের অভাবে কাউকে ধরে উপদেষ্টা করে দিলাম। কিন্তু করার পরে যিনি ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না, তাঁকে আমরা রাখছি কেন? যে দেশে শিক্ষকদের নিপীড়ন করা হয়, গায়ে হাত তোলা হয়, যে সরকারের অধীনে, সেই সরকারের কাছে কী আশা করা যায়?’ সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় প্রথমে হত্যাকারীকে ফিরিয়ে এনে বিচার করা উচিত ছিল বলেও মনে করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি জানিয়ে অধ্যাপক নাসির আহমেদ বলেন, একটি বিশেষ দলের ইঙ্গিতে ভিসিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভিসিরা একইভাবে মৌলবাদী চর্চাকারী বিশেষ ছাত্রসংগঠনের যোগসাজশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পরিচালনা করছে বা স্বাধীনতা চর্চার ক্ষেত্রগুলোকে বিনষ্ট করছে। এ ধারা ভঙ্গ করতে হবে।

শুরুতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক দীপ্তি দত্ত, অলিউর সান ও অধ্যাপক সৌমিত জয়দ্বীপ।

দেশের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের হোতা ও জড়িতদের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। ‘আয়নাঘরের’ রহস্য উন্মোচনে রহস্য তৈরি করা হয়েছে এবং কুশীলবদের রক্ষার পাঁয়তারা হচ্ছে। পাঠ্যপুস্তকের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ লেখা গ্রাফিতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের বাধার মুখে নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে লালন মেলা বন্ধ, ঢাকার উত্তরায় বসন্ত উৎসব পণ্ড, মহিলা সমিতি মিলনায়তনে নাট্যোৎসব বন্ধ হয়েছে।

শিক্ষক নেটওয়ার্কের সংবাদ সম্মেলন থেকে দেশের প্রেক্ষাপটে ৭টি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে ৬টি দাবি জানানো হয়। দেশের প্রেক্ষাপটে দাবির মধ্যে জুলাই হত্যাকাণ্ডের স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য বিচারিক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা, রাষ্ট্রের সব স্তরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ, সব ধরনের মত ও বিশ্বাসের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রকে সক্রিয় ও শক্তিশালী ভূমিকা পালন, মব সংস্কৃতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে দাবিগুলো হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ, প্রশাসনিক পদে নিয়োগে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ, শিক্ষার্থীদের অবাধ চলাচল ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সকল ফোরাম গণতান্ত্রিক পন্থায় সক্রিয় করা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র র র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

সকালের সবচেয়ে বরকতময় সময় ব্যবহারের ৭ কৌশল

সকাল মানুষের জীবনের একটি মূল্যবান সময়, যা দিনের বাকি অংশের জন্য সুর নির্ধারণ করে। সকাল আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার, শরীর ও মনকে প্রস্তুত করার এবং দিনের লক্ষ্য অর্জনের একটি সুবর্ণ সুযোগ।

সামাজিক মাধ্যম, কাজের চাপ এবং পারিবারিক দায়িত্ব আমাদের অনেক সময় কেড়ে নেয়, তাই সকালকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে আমরা জীবনকে আরও উৎপাদনশীল করতে পারি।

১. আল্লাহর সঙ্গে দিনের শুরু

ফজরের নামাজের ১৫-২০ মিনিট আগে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া এবং দোয়া করা জীবনকে আমূল বদলে দিতে পারে। এই সময়টি শান্ত ও পবিত্র, যখন আল্লাহর সঙ্গে কোনো বাধা থাকে না।

কে আছে আমাকে ডাকার, আমি সাড়া দেব? কে আছে আমার কাছে চাওয়ার, আমি দান করব? কে আছে ক্ষমা প্রার্থনা করার, আমি ক্ষমা করব?সহিহ বুখারি, হাদিস: ১,১৪৫

নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি রাতে, যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ বাকি থাকে, তখন আমাদের রব নিকটতম আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘কে আছে আমাকে ডাকার, আমি সাড়া দেব? কে আছে আমার কাছে চাওয়ার, আমি দান করব? কে আছে ক্ষমা প্রার্থনা করার, আমি ক্ষমা করব?”’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১,১৪৫)।

তাহাজ্জুদের সময় আপনার হৃদয়ের কথা আল্লাহর কাছে প্রকাশ করুন। এতে মানসিক শান্তি বাড়বে এবং দিনের জন্য ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। যদি আপনি নতুন হন, সপ্তাহে এক দিন থেকে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে এটি অভ্যাসে পরিণত করুন।

ফজরের আগে অবশিষ্ট সময়ে কোরআন তিলাওয়াত করুন, কারণ কোরআনে বলা হয়েছে, ‘ভোরে কোরআন পড়া (ফেরেশতাদের) দ্বারা প্রত্যক্ষ করা হয়।’ (সুরা ইসরা. আয়াত: ৭৮)।

আরও পড়ুনইশরাকের নামাজ: সকালের আলোয় আল্লাহর নৈকট্য ০৪ জুলাই ২০২৫২. ফজরের পর ঘুম থেকে দূরে থাকুন

ফজরের নামাজের পর ঘুমিয়ে পড়া অনেকের অভ্যাস, কিন্তু এটি সকালের বরকতময় সময় নষ্ট করে। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ আমার উম্মতের জন্য সকালের সময়কে বরকতময় করেছেন।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৬,৪৮১)।

এই সময়ে বড় বড় কাজ সহজে সম্পন্ন করা যায়, কারণ এতে আল্লাহর বিশেষ বরকত রয়েছে।

আল্লাহ আমার উম্মতের জন্য সকালের সময়কে বরকতময় করেছেন। মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৬,৪৮১

ফজরের পর ঘুমের প্রলোভন এড়াতে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। এই সময়ে পড়াশোনা, কোরআন মুখস্থ করা বা কোনো ব্যক্তিগত প্রকল্পে কাজ করা যায়। এটি দিনের বাকি সময়ে অবসরের জন্য সময় বাঁচায় এবং আগামী দিনে আরও তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরি করে।

বিশ্বের সফল ব্যক্তিরাও ভোর চারটা বা পাঁচটায় উঠে কাজ শুরু করার কথা বলেন, যা তাদের সাফল্যের একটি রহস্য।

৩. করণীয় তালিকা তৈরি করুন

একটি করণীয় তালিকা তৈরি করা দিনের পরিকল্পনাকে সুসংগঠিত করে। আমরা প্রায়ই মনে মনে কাজের পরিকল্পনা করি, কিন্তু মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা সীমিত। একটি ডায়েরি বা ফোনের নোট অ্যাপে কাজের তালিকা লিখে রাখলে সময় ও শক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়। সম্পন্ন হওয়া কাজগুলো তালিকা থেকে কেটে দেওয়ার একটা আলাদা আনন্দ আছে।

এই তালিকায় দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যও অন্তর্ভুক্ত করুন। যেমন কোরআনের একটি নির্দিষ্ট অংশ মুখস্থ করা বা একটি নতুন দক্ষতা শেখার পরিকল্পনা। এটি আপনাকে দিনের শুরুতে ফোকাসড রাখবে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াবে।

আরও পড়ুনযে ৪টি পরীক্ষা নবীজি (সা.)–এর জীবনকে দৃঢ়তা দিয়েছে২২ জুলাই ২০২৫বিশ্বের সফল ব্যক্তিরাও ভোর চারটা বা পাঁচটায় উঠে কাজ শুরু করার কথা বলেন, যা তাদের সাফল্যের একটি রহস্য।৪. সকালে স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন

সকালের মূল্যবান সময় সামাজিক মাধ্যমে বা ফোনে অযথা স্ক্রল করে নষ্ট করা উচিত নয়। অনেকে সকালে ফোন হাতে নিয়ে ‘শুধু একটু দেখে নিই’ ভেবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হারিয়ে ফেলেন। এটি মানসিক চাপ বাড়ায় এবং সকালের শান্তি নষ্ট করে।

নিয়ম করুন, সকালের নাশতা বা কিছু কাজ শুরু না করা পর্যন্ত ফোন বা সামাজিক মাধ্যমে যাবেন না। সকালে খবর পড়া এড়িয়ে চলুন। কারণ, এটি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে পারে। যখন ফোন ব্যবহার করবেন, তখন ইতিবাচক ও প্রেরণাদায়ক কনটেন্ট দেখুন, যা আপনার দিনকে উজ্জ্বল করবে।

৫. শরীরচর্চা করুন

শরীরচর্চার উপকারিতা আমরা সবাই জানি। বিশেষ করে এই সময়ে, যখন অনেকে বাড়ি থেকে কাজ করছেন, শরীরচর্চা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। বাড়িতে কাজ করার ফলে ঘাড়ে ও পিঠে ব্যথা, পেশির সমস্যা বাড়ছে।

সকালে মাত্র ৩০ মিনিট শরীরচর্চা, যেমন যোগ, পাইলেটস, হাই-ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং বা ব্রিস্ক ওয়াক, আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে এবং মনকে সতেজ করবে।

ইউটিউবে হাজারো ধরনের ব্যায়ামের ভিডিও পাওয়া যায়, যা বাড়িতে সামান্য জায়গায় করা যায়। যদি বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকে, তবে সকালে ৩০ মিনিট হাঁটুন। লক্ষ্য হলো শরীরকে সচল রাখা এবং শক্তি বৃদ্ধি করা।

আরও পড়ুনসুস্থ জীবন যাপনে মহানবী (সা.)-এর ৯ অভ্যাস২৪ জুলাই ২০২৫সকালে মাত্র ৩০ মিনিট শরীরচর্চা, যেমন যোগ, পাইলেটস, হাই-ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং বা ব্রিস্ক ওয়াক, আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে এবং মনকে সতেজ করবে।৬. পুষ্টিকর নাশতা গ্রহণ

ব্যস্ততার কারণে অনেকে সকালের নাশতা বাদ দেন, কিন্তু গবেষণা বলছে, পুষ্টিকর নাশতা দিনভর মনোযোগ বাড়ায়, অপ্রয়োজনীয় চিনির লোভ কমায় এবং শক্তি জোগায়। নাশতায় উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন ওটস বা মাল্টিগ্রেইন রুটি, স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন অ্যাভোকাডো বা বাদাম, গ্রিক ইয়োগার্ট এবং ফল অন্তর্ভুক্ত করুন।

সময় কম থাকলে একটি স্মুদি তৈরি করুন—পালংশাক, আপেল এবং হিমায়িত কলা ব্লেন্ড করে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর নাশতা তৈরি করা যায়। এটি দিনের শুরুতে সবুজ শাকসবজি গ্রহণের একটি সহজ উপায়।

৭. নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন

বাড়ি থেকে কাজ করার সময় অনেকে ক্যাজুয়াল পোশাকে থাকেন। বরং সকালে সুন্দর পোশাক পরুন, যা আপনার মেজাজ উজ্জ্বল করবে। একটু পছন্দের সুগন্ধি ব্যবহার করলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন।সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯১

নবীজি (সা) বলেছেন, ‘আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯১)। নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা শুধু বাহ্যিক নয়, বরং এটি আপনার মানসিক প্রস্তুতি ও দিনের জন্য উৎসাহ বাড়ায়।

সকাল আমাদের দিনের ভিত্তি। ইসলাম আমাদের শেখায় যে সকাল আল্লাহর বরকত নিয়ে আসে। তাহাজ্জুদ, ফজরের পর জাগ্রত থাকা, করণীয় তালিকা তৈরি, স্ক্রিন থেকে দূরে থাকা, শরীরচর্চা, পুষ্টিকর নাশতা এবং নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন—এই সাতটি অভ্যাস আমাদের সকালকে উৎপাদনশীল করবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সূত্র: দ্য মুসলিম ভাইব ডট কম

আরও পড়ুনরহমতের দুয়ারে হাজিরা১৫ জুন ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ