বন্দরে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত  কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেন প্রধানসহ ৩ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীকে ২ দিনের  রিমান্ড শেষে  আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

rবুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে  জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফের তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয় ।  গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই জলিল মন্ডল ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত থেকে রিমান্ডে আনে।

এর আগে গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারী) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। যার মামলা নং- ১১(৯)২৪।

রিমান্ডপ্রাপ্তরা  হলো বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ২নং মাধবপাশা এলাকার মৃত হারেজ আলী প্রধানের ছেলে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টি সহ সভাপতি হাজী দেলোয়ার হোসেন প্রধান (৬২) বন্দর থানার নূরবাগ এলাকার নূর মাষ্টার মিয়ার ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা খোকন (৫০) ও মদনপুর বড়সাহেব বাড়ী এলাকার মৃত জসিম ভূঁইয়া ছেলে ঢাকা জেলার শ্রমিকলীগ নেতা আলী আজগর ভূঁইয়া (৩৮)।

এ ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টম্বর) রাতে বন্দরের বেপারীপাড়া এলাকার মোক্তার হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে  বন্দরে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি  ৫৯৭ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯৭ জনের  নাম উল্লেখ্য করে আরোও ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সাবেক এমপি সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের নির্দেশে ছাত্র জনতার উপর হামলা চালানোর অপরাধে ওসমান পরিবারের দোসর দেলোয়ার প্রধানসহ উল্লেখিত ৩  নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ