সক্রিয় হয়ে উঠছে আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সজীব ও তার বাহিনী, আতংক
Published: 19th, February 2025 GMT
ছাত্র আন্দোলনে পারভেজ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ নেতা সজিব ও তার বাহিনীর অন্যতম সহযোগী মোমিন, মুন্না দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিলেও সম্প্রতি এলাকায় ফিরে পুরোনো আধিপত্য পুনুরুদ্ধার করতে ফের নানা অপকর্মে নেমে পড়েছে।
সজিব, মোমিন ও মুন্নাসহ এই বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা এলাকায় নিয়মিত মহড়া দিচ্ছে। মাদক, ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রন, চাঁদা আদায়, জোরপূর্বক মানুষের জমি দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে ফের বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে।
এরফলে এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ আতংকে দিনাতিপাত করছে। যে কেনো মুহুর্তে বড় ধরনের নাশকতার আশংকাও করছেন স্থানীয় মহল। সেই সাথে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন প্রকাশ্যে অপরাধ কর্মকান্ড চালানোর পরও পুলিশের নিরব ভুমিকা নিয়ে।
স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ নেতা সজীবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগের যেনো শেষ নেই।
দল ক্ষমতায় থাকাবস্থায় আজমেরী ওসমানের নাম ব্যবহার করে বিসিক শাসনগাওসহ নবীনগর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল যুবলীগ নেতা সজীব ও তার বাহিনী।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, অনতিবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় আনা হলেই আজমেরী ওসমানের নির্দেশনায় করা সব অপকর্মের খবর বেরিয়ে আসবে।
জানাগেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার এর পতনের পর নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যায় ওসমান পরিবারের সকল সদস্য। এরপর থেকে আজমেরী ওসমানের অনুসারীরাও এলাকা ছাড়ে।
এদিকে, আজমেরী ওসমান পালিয়ে যাওয়া মুখ খুলতে শুরু করেছে ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষজন। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দল ক্ষমতায় থাকা সময় আজমেরী ওসমানের নামে পুরো এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক, ঝুট সন্ত্রাস ও ভুমি দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বেড়াতো সজীব, মোমিন, মুন্না ও তার বাহিনী। অনেক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন উপায়ে নিয়মিত চাঁদা নিতো সজিব। যারা এখন ক্ষোভে ফুসছে।
কিছুদিন আগেও চর বক্তাবলীতে দেওয়ান স্টীল মিল দখলের চেষ্টা চালিয়েছে মুন্নাসহ অন্যান্যরা। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অবিযোগ দায়ের করেন ওই কারখানার স্বত্তাধিকারী ইমরান।
এলাকাবাবাসীর দাবি সজীব, মোমিন, মুন্নাসহ এ বাহীনির সকলের কাছে অস্ত্র রয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সকল অস্ত্র উদ্ধার করা হউক। নচেৎ এলাকা ফের অশান্ত হয়ে উঠবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ওসম ন ওসম ন র এল ক য় সহয গ আজম র
এছাড়াও পড়ুন:
অপকর্মকারীদের দায় দল নেবে না: তমিজ উদ্দিন
ঢাকার ধামরাইয়ে বিএনপির এক জনসভায় দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন বলেছেন, ‘‘যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াবে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট করে দিয়েছেন— দল তাদের দায়িত্ব নেবে না।”
রবিবার (১৫ জুন) গাংগুটিয়া ইউনিয়নের নবগ্রাম বাজারে কাওয়ালীপাড়া-নবগ্রাম বাজার কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ধামরাই উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্ব জনসভায় উপজেলার গাংগুটিয়া, আমতা, বালিয়া, কুশুরা ও সানোড়া ইউনিয়নের বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
এসময় তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘‘আমাদের সামনে লড়াই এক দিকে নয়। দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এই সময় আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। কারণ আমরা মোনাফেক, মীরজাফর সবাইকে নিয়ে একত্রে চলছি। আমরা এই চলাটা চাই না। আমরা চাই, দলে প্রতিযোগিতা-প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, সুন্দর থাকবে। সেখান থেকে যোগ্যরা এগিয়ে আসবে, আমরা সবাই তার সঙ্গে থাকব। এখানে ঐক্য ছাড়া বিকল্প কিছু নাই। যারা সন্ত্রাসী করবে, তারেক রহমান পরিষ্কার বলেছেন, তিনি তাদের দায়িত্ব নেবেন না। অর্থাৎ দল তাদের দায়িত্ব নেবে না। অতএব যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত আছে, তাদের বিএনপির বলে চিন্তা করবেন না।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বিএনপি করে বিএনপির সুবিধা নিয়ে যারা আওয়ামী লীগের সময় আঁতাত করেছে। এখন বড় নেতা হয়েছে, তাদের বিষয় ঠান্ডা মাথায় খেয়াল রাখতে হবে। যেমনটি তারেক রহমান সাহেব বলেছেন, সামনে একটা কঠিন নির্বাচন, ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। নির্বাচন দেবে কিন্তু ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আপনাদের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। এখানে আমরা সবাই জানি, ধামরাইয়ে নির্বাচন হলে, মানুষ ভোট দিতে পারলে কি হবে আমরা জানি। আমরা সুন্দর পরিবেশের অপেক্ষায় আছি।’’
সভায় আরও বক্তব্য দেন ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি রাকিবুর রহমান খান ফরহাদ, বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সহসভাপতি আব্দুল মান্নান মধু, আমতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম লাবু, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এইচ এম লুৎফর রহমানসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ধামরাই উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এছাড়াও উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, যুবদল নেতা মো. খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/সাব্বির/এস