২৯ বছর পর হেনা-বকুলের নতুন করে দেখা, নেপথ্যের কারণ কী
Published: 20th, February 2025 GMT
একটি সংলাপ কতটা আবেগী হতে পারে, বিষাদে ভরিয়ে দিতে পারে দর্শক-মন, তার আরেকটি উদাহরণ নতুন করে উঠে এসেছে নেট দুনিয়ায়। ‘চাচা, হেনা কোথায়?’ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত সংলাপ। যদি আমরা জানি, দর্শক হিসেবে যা পর্দায় দেখি, তা বাস্তব নয়। তবে বাস্তব না হলেও সেই কল্পকাহিনি বহমান জীবধারার নানা অনুষঙ্গ নিয়ে রচিত।
কিছু অতি ফ্যান্টাসি, তারপরও বেশির ভাগ কাহিনিই লেখা হয় সমাজ-সংসারের দৃশ্যপটকে কেন্দ্র করে। যে কারণে নাটক, সিনেমা, সিরিজের কাহিনি বুননে যে সংলাপ ব্যবহার করা হয়, তা আমাদের মনে দারুণ প্রভাব ফেলে। ‘চাচা, হেনা কোথায়’ তেমনই এক বিষাদী সংলাপ, যা ব্যবহার করা হয়েছিল ১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমায়।
সংলাপ বলা সেই দৃশ্যে দেখা যায়, নায়ক বকুল (বাপ্পারাজ) দীর্ঘদিন পর নিজ গ্রামে ফিরে তাঁর প্রেমিকা হেনার (শাবনাজ) বাড়িতে যায়। গিয়ে দেখে হেনাদের বাড়ি বিয়ের সাজে সাজানো। বাড়ির এক কোনায় বসে আছেন হেনার বাবা। বকুল তাঁকে গিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘চাচা, বাড়িঘর এত সাজানো কেন? আর হেনা কোথায়? চাচা, কথা বলছেন না যে। চুপ করে আছেন কেন?’ জবাবে চাচা বলেন, ‘হেনাকে তুমি ভুলে যাও, হেনার বিয়ে হয়ে গেছে।’ বকুল তখন আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘না না, হেনার বিয়ে হতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি না, আমি বিশ্বাস করি না।’ এ দৃশ্যই নতুন করে আলোড়ন তুলেছে নেট দুনিয়ায়।
অনেকের মুখে মুখে ফিরছে ‘চাচা, হেনা কোথায়’ সংলাপটি। তবে আমাদের আলোচনা এ সিনেমা নিয়ে নয়, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে। যাদের নতুন করে দেখা-সাক্ষাৎ হলো ২৯ বছর পর। যার সূত্র ধরে নেটিজেনরা বলা শুরু করেছেন, ‘অবশেষে হেনাকে খুঁজে পেয়েছে বকুল’। সেটি সম্ভব হয়েছে হেনা চরিত্রের অভিনেত্রী শাবনাজের স্বামী অভিনেতা নাঈমের কারণে। বুধবার নাঈম তাঁর নিজ বাড়ি টাঙ্গাইলের সাহেববাড়িতে এক আড্ডার আয়োজন করেছিলেন। সেখানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন বাপ্পারাজসহ অনেকে।
অতিথিসূত্রে জানা যায়, নাঈমের সঙ্গে থাকা শাবনাজকে দেখে এদিন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন বাপ্পারাজ। দীর্ঘদিন পর প্রিয় সহশিল্পীকে দেখে তাদের চোখের কোণে বেয়ে ঝরেছে আনন্দাশ্রু। শুধু তাই নয়, হাসি-গান-আড্ডায় দিনটি দারুণ রোমাঞ্চকর করে তুলেছিলেন তারা। সাক্ষাৎপর্বে নাঈমকে বাপ্পারাজ জিজ্ঞেস করেছিলেন ‘নাঈম ভাই হেনা কোথায়? নাঈমের উত্তর ছিল, ‘বাপ্পা তুই অনেক দেরি করে ফেলেছিস। হেনার তো আমার সঙ্গে অনেক আগে বিয়ে হয়ে গেছে’। বাপ্পারাজ চিৎকার করে বলে ‘না আমি বিশ্বাস করি না.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ বন জ
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’
ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী।
গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”
আরো পড়ুন:
কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী
পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি
কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”
কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”
ঢাকা/শান্ত