ইনজুরির কারণে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলছেন না অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। বর্তমানে তিনি পরিবারের সাথে আছেন এবং ইনজুরি থেকে সেরে উঠছেন। শিগগিরই ফিটনেস ট্রেনিং শুরু করবেন।

এমন সময় আজ শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) অজি অধিনায়ক জানিয়েছেন, তিনি আইপিএল দিয়ে মাঠে ফিরবেন। আইপিএল শেষ করে খেলবেন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে। এ বিষয়ে কামিন্স বলেছেন, ‘‘দারুণ একটা মাস কাটতেছে। পরিবারকে পুরোপুরি সময় দিচ্ছি। যেখানে অনুশীলন কিংবা আসন্ন কোনো সফরের তাড়া নেই। এভাবে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোটা আসলেই বিশেষ কিছু।  আগামী সপ্তাহ থেকে বোলিং শুরু করব। ফিটনেস ট্রেনিং শুরু করব। আইপিএলের জন্য প্রস্তুত হব।’’

কামিন্সকে অবশ্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রাথমিক দলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ভারতের বিপক্ষের বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শেষ দিকে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েন তিনি। যে সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। জানুয়ারিতে শেষ পর্যন্ত প্রাথমিক দল থেকে কামিন্সকে বাদ দিতে হয় ইনজুরির কারণে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে না পারলেও কামিন্স আইপিএলে শক্তিশালী হয়ে ফিরতে চান। তার ফ্র্যাঞ্চাইজি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে অবদান রাখতে চান। যারা তাকে দলে নিয়েছে ১৮ কোটি রূপিতে।

আরো পড়ুন:

রিকেলটনের সেঞ্চুরি আর তিন ফিফটিতে দ.

আফ্রিকার বড় সংগ্রহ

আইসিসির মঞ্চে অভিষেক সেঞ্চুরিতে ভাস্বর রিকেলটন

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইনজ র

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ