কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে দ্রুতগতির বাসের চাপায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী জসিম উদ্দীনের (৫২) মৃত্যু হয়েছে। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর বাজার এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। শনিবার (২২ ফ্রেরুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমাই থানার ওসি মো.

শাহ আলম।

মারা যাওয়া জসিম উদ্দীন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার প্রয়াত আলী আশ্রাফ মোল্লার ছেলে। 

আরো পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে অটোভ্যানে বাসের ধাক্কা, নিহত ২

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্ত্রী নিহত, স্বামী-শিশু সন্তান আহত

জামায়াতে ইসলামীর নেতারা জানান, দলের কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান সাংগঠনিক সফরে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে লক্ষ্মীপুর যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যার পর লালমাইয়ের উত্তর বাজার এলাকায় তার বহরের চারটি গাড়ি যানজটে আটকা পড়ে। পথসভাস্থলে পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে তার গাড়িবহর যানজটে আটকা পড়ে। তখন জসিম উদ্দীনসহ দলের ১৫ থেকে ২০ জন কর্মী যানজট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন শুরু করেন। আমিরকে নিয়ে বাকিরা পথসভায় চলে যাওয়ার পর জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দীন বাসচাপায় মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক আবু তালেব বলেন, “তিশা পরিবহনের ঢাকামুখী একটি বাস জসিম উদ্দীনকে চাপা দেয়।”  

নিহতের ভাই মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, “দুর্ঘটনার পর জসিম উদ্দীনকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।” 

লালমাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইমাম হোসেন বলেন, “আমাদের দল জসিম উদ্দীনের পরিবারের পাশে থাকবে। জসিমের তিন ছেলের মধ্যে একজন এখনো শিশু। তাই দল থেকে এ পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে।”

লালমাই থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, “বাগমারা উত্তর বাজারে বাসচাপায় জসিম উদ্দীন নামের একজন ব্যক্তি মারা গেছেন। পরিবারের লোকজন মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছেন। পরিবার মামলা করবে না বলে জানিয়েছেন।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন পর ব র য নজট উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভবিষ্যতে কেউ স্বৈরাচার হলে পরিণতি শেখ হাসিনার মতো হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, “ভবিষ্যতে যদি কেউ স্বৈরাচার হয়ে ফিরে আসে, তার পরিণতি শেখ হাসিনার মতো হবে৷ পতিত সরকার ভারতের কাছে বাংলাদেশের নদীবন্দর থেকে শুরু করে প্রাণ-প্রকৃতিসহ সবকিছু বর্গা দিয়েছিল৷” 

বুধবার (৩০ জুলাই) রাত ৯টার দিকে সাভার উপজেলার বাইপাইলে এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ হয় জাতীয় নাগরিক পার্টির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “আমরা বর্তমান সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, ভারতের সঙ্গে যেসব অসম চুক্তি হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের জন্য, বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে নতুনভাবে সাজানোর জন্য সেসব অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে৷ ভারতের সঙ্গে যত চুক্তি হয়েছিল, তা জনগণের সামনে নিয়ে আসতে হবে৷ আমরা যদি সেসব চুক্তি জনগণের সামনে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে জনগণের সামনে উন্মোচন হবে—ভারত কি আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ছিল, নাকি আমাদের শোষণ করেছে?” 

আরো পড়ুন:

হাসিনাকে ১০ বার ফাঁসিতে ঝোলালেও তার অপরাধ কমবে না: নাহিদ 

মানুষ পরিবর্তন চায়, এনসিপিকে চায়, নরসিংদীতে নাহিদ

তিনি বলেন, “কাঁটাতারে ফেলানির লাশ ফেলে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের জনতার ওপর যে ধরনের নিপীড়ন চালানো হয়েছে, আধুনিক সভ্যতার কোনো রাষ্ট্র এমন নির্যাতনের শিকার হয়নি৷ আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, ভারতীয় যে নাগরিক বিল রয়েছে, শেখ হাসিনা সেখানে মোদি সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেখানকার বাঙালি মুসলমানদেরকে রাতের বেলায় বাংলাদেশে পুশইন করার চেষ্টা চালাচ্ছে৷”

ভারত সরকারের কাছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান এনিসিপির এই নেতা।

তিনি বলেন, আমরা ভারত সরকারকে বলব, আমরা ভারতীয় জনগণের বিরোধী নই৷ আমরা আপনাদের সতর্ক করে দিতে চাই, দ্রুত বাংলাদেশের সরকারের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত দিন। কারণ, সে খুন করে পালিয়েছে। আমাদের শহীদদের মায়েরা শেখ হাসিনার বিচারের জন্য এখনো অপেক্ষারত রয়েছে৷ বাংলাদেশে যতদিন শেখ হাসিনার বিচার না হবে, ততদিন ভারত সরকার থেকে যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে, শহীদী পরিবার বিচারের আগে বাংলাদেশে নির্বাচন মানবে না৷”

পথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন—এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, এনসিপির ঢাকা জেলার সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও ঢাকা জেলার সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী মেহরাব সিফাত প্রমুখ।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় পথসভা শুরু করার কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় নেতারা সভাস্থলে আসেন রাত ৯টার দিকে। সন্ধ্যা থেকেই নেতাকর্মীরা সভাস্থলে যোগ দিতে থাকেন। সভা শুরুর পর ২ শতাধিক নেতাকর্মী এতে অংশ নেন। এ সময় সভাস্থলের আশপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য, এপিবিএন ও র‍্যাব সদস্যদের অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা যায়। 

ঢাকা/সাব্বির/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভবিষ্যতে কেউ স্বৈরাচার হলে পরিণতি শেখ হাসিনার মতো হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
  • শেখ হাসিনাকে ১০ বার ফাঁসিতে ঝোলালেও তাঁর অপরাধ কমবে না: নাহিদ ইসলাম
  • ৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা
  • জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি থাকতে হবে: নাহিদ