ইমামের রানআউট নিয়ে ইনজামামকে খোঁচা আকরাম–শাস্ত্রীর
Published: 23rd, February 2025 GMT
ইনজমাম–উল–হক ও রানআউট একসময় সমার্থক ছিল। ক্রিকেট দুনিয়ায় ইনজামামের রানআউট হওয়া নিয়ে আছে অনেক হাস্যরসাত্মক গল্পও। বিভিন্ন সময় সাবেক এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানের রানআউট হওয়ার গল্প শুনিয়ে বেশ মজাও নিতে দেখা গেছে তাঁর সাবেক সতীর্থদের।
আজ আরও একবার রানআউটকে ঘিরে আলোচনায় এসেছেন ইনজামাম। তবে নিজের রানআউটের জন্য নয়, ইনজামাম আলোচনায় এসেছেন তাঁর ভাতিজা ও পাকিস্তান দলের ওপেনার ইমাম–উল–হকের রানআউট হওয়ার ঘটনায়।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত–পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ ম্যাচে বাবর আজমের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন ইমাম। শুরুতে স্কোয়াডে না থাকলেও ফখর জামানের চোট ইমামকে জায়গা করে দিয়েছে পাকিস্তান দলে। তবে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি ইমাম।
আরও পড়ুনপিসিবির হল অব ফেমে ইনজামাম, মিসবাহ, মুশতাক ও আনোয়ার১০ জানুয়ারি ২০২৫২৬ বলে ১০ রান করে ফিরেছেন রানআউট হয়ে। কুলদীপ যাদবের বলে মিডঅনে শট খেলে সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টা করেন ইমাম। কিন্তু ক্ষিপ্রগতিতে বল কুড়িয়ে নিয়ে থ্রো করা অক্ষর প্যাটেলের গতিকে পেছনে ফেলতে ব্যর্থ হন ইমাম। ফিরতে হয় রানআউটের শিকার হয়ে।
ইমামের রানআউটের ঘটনা দুই দেশের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী এবং ওয়াসিম আকরামকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় কিংবদন্তি ইনজামামের কাছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রেকর্ড ৪৬ বার রানআউট হয়েছেন ইনজামাম। সাবেক এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানের ভাতিজা ইমাম আজসহ ৬ বার রানআউট হয়েছেন।
ধারাভাষ্যে থাকা শাস্ত্রী মজা করে জানতে চান রানআউট হওয়াটা ইমাম চাচার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন কি না? এই প্রশ্নের উত্তরে আকরাম বলেন, ‘কোনো মন্তব্য করতে চাই না। ইনজি (ইনজামাম) কষ্ট পাবে। কিন্তু তেমন কিছু আমিও ভাবছি। আমি মোটেই বিশ্বের সেরা রানার ছিলাম না। তবে এই আউটটা (ইমামের আউট) আত্মঘাতী ছিল। এটার কোনো প্রয়োজন ছিল না। সে ভালোই সেট ছিল। এরপর বোকামি করে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হলো।’
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইনজ ম ম
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।
প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।
মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।
নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।