ইনজমাম–উল–হক ও রানআউট একসময় সমার্থক ছিল। ক্রিকেট দুনিয়ায় ইনজামামের রানআউট হওয়া নিয়ে আছে অনেক হাস্যরসাত্মক গল্পও। বিভিন্ন সময় সাবেক এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানের রানআউট হওয়ার গল্প শুনিয়ে বেশ মজাও নিতে দেখা গেছে তাঁর সাবেক সতীর্থদের।

আজ আরও একবার রানআউটকে ঘিরে আলোচনায় এসেছেন ইনজামাম। তবে নিজের রানআউটের জন্য নয়, ইনজামাম আলোচনায় এসেছেন তাঁর ভাতিজা ও পাকিস্তান দলের ওপেনার ইমাম–উল–হকের রানআউট হওয়ার ঘটনায়।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত–পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ ম্যাচে বাবর আজমের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন ইমাম। শুরুতে স্কোয়াডে না থাকলেও ফখর জামানের চোট ইমামকে জায়গা করে দিয়েছে পাকিস্তান দলে। তবে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি ইমাম।

আরও পড়ুনপিসিবির হল অব ফেমে ইনজামাম, মিসবাহ, মুশতাক ও আনোয়ার১০ জানুয়ারি ২০২৫

২৬ বলে ১০ রান করে ফিরেছেন রানআউট হয়ে। কুলদীপ যাদবের বলে মিডঅনে শট খেলে সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টা করেন ইমাম। কিন্তু ক্ষিপ্রগতিতে বল কুড়িয়ে নিয়ে থ্রো করা অক্ষর প্যাটেলের গতিকে পেছনে ফেলতে ব্যর্থ হন ইমাম। ফিরতে হয় রানআউটের শিকার হয়ে।

ইমামের রানআউটের ঘটনা দুই দেশের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী এবং ওয়াসিম আকরামকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় কিংবদন্তি ইনজামামের কাছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রেকর্ড ৪৬ বার রানআউট হয়েছেন ইনজামাম। সাবেক এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানের ভাতিজা ইমাম আজসহ ৬ বার রানআউট হয়েছেন।  

ধারাভাষ্যে থাকা শাস্ত্রী মজা করে জানতে চান রানআউট হওয়াটা ইমাম চাচার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন কি না? এই প্রশ্নের উত্তরে আকরাম বলেন, ‘কোনো মন্তব্য করতে চাই না। ইনজি (ইনজামাম) কষ্ট পাবে। কিন্তু তেমন কিছু আমিও ভাবছি। আমি মোটেই বিশ্বের সেরা রানার ছিলাম না। তবে এই আউটটা (ইমামের আউট) আত্মঘাতী ছিল। এটার কোনো প্রয়োজন ছিল না। সে ভালোই সেট ছিল। এরপর বোকামি করে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হলো।’

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইনজ ম ম

এছাড়াও পড়ুন:

তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ

ইরানের রাজধানী তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরানের সংবাদ সংস্থা ফার্সের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া তেহরানের পূর্বাঞ্চলেও বিস্ফোরণের খবর প্রকাশ করেছে ইরানি গণমাধ্যম।

এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তেহরানের কিছু অংশে হামলার হুমকি দিয়েছিল। এরপরই এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) তেহরানের একটি বিস্তৃত এলাকার মানুষকে ‘অবিলম্বে এলাকা ছেড়ে যেতে’ সতর্ক করে।

বিবিসি জানায়, আইডিএফের মুখপাত্র আভিচাই আদরায়ি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘আগামী ঘণ্টাগুলোতে আমরা তেহরানের এই এলাকায় অভিযান চালাব—যেমন আগের দিনগুলোতেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে।’

তিনি জানান, ইরানের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হবে।

পোস্টের সঙ্গে একটি মানচিত্র যুক্ত করে ইসরায়েল জানায়, তেহরানের তৃতীয় জেলায় বসবাসকারীদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, ‘আপনার এই এলাকায় অবস্থান আপনার জীবনের জন্য হুমকি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ