সারাবিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এখনও হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিদিন এমন অ্যাপের ব্যবহার করেন কমবেশি সব স্মার্টফোন গ্রাহকই। কিন্তু ব্যবহারের বদলে অপব্যবহার করলে পরিণতি হয় কঠিন। কিছুদিন আগে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সারাবিশ্বে এক মাসেই কোটির বেশি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে তারা। মূলত শর্ত লঙ্ঘন ও প্রতারণামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এমন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে মেটা।
জানা গেছে, জালিয়াতি ও সন্দেহজনক অভিযোগ শনাক্তের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বিপুল পরিমাণ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অসংখ্য গ্রাহক অনৈতিক অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক আচরণের অভিযোগ জানান মেটা কর্তৃপক্ষের কাছে। 
আগেই গ্রাহকের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে বিশেষ রূপরেখার নির্দেশনা দিয়েছিল মেটা। এমন উদ্দেশ্যে ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট প্রকাশ করে মেটা। রিপোর্টে প্রকাশ, মেটা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৪(১)(ডি) এবং ধারা ৩(এ)(৭) ধারার বিধান মেনে চলার জন্য সারাবিশ্বের প্রতিটি দেশেই অভিযুক্ত ও প্রমাণিত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে। নজরদারি ও ক্রমাগত অভিযোগ শনাক্তে সমন্বিত প্রচেষ্টার পর এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে 
মেটা জানায়।
নিষিদ্ধ অ্যাকাউন্ট
প্রকাশিত মেটার রিপোর্ট বলছে, ১ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে উল্লিখিত পরিমাণ অ্যাকাউন্ট বন্ধ 
করা হয়। নিষিদ্ধ সব অ্যাকাউন্টের মধ্যে প্রায় ১৬ লাখ অ্যাকাউন্ট গুরুতর শর্ত লঙ্ঘনের কারণে তাৎক্ষণিক ব্লক করে কর্তৃপক্ষ। অন্য সব অ্যাকাউন্ট তদন্ত 
সাপেক্ষে অভিযুক্ত ও সন্দেহজনক প্রমাণিত হওয়ার পর নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাধারণত যেসব কারণে দ্রুত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয় তার মধ্যে শর্ত লঙ্ঘন, অনৈতিক কাজ ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ অন্যতম।
শর্ত লঙ্ঘন
কর্তৃপক্ষ থেকে বেঁধে দেওয়া শর্ত ভঙ্গের তালিকায় স্প্যামিং, টানা প্রচুর মেসেজ পাঠানো, প্রতারণামূলক কাজে যুক্ত থাকা ও বিভ্রান্তিকর বা ক্ষতিকারক তথ্যবিনিময় করার মতো কাজ অন্যতম।
অনৈতিক কাজ
আইন অনুসারে অনৈতিক বা অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার জন্য চিহ্নিত সব অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে অভিযুক্ত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বাধ্য হয়েই নিষিদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ
সামাজিক প্ল্যাটফর্মে হয়রানি, অপব্যবহার বা অনুপযুক্ত আচরণবিষয়ক গ্রাহক অভিযোগের ভিত্তিতে হোয়াটসঅ্যাপ কঠিন উদ্যোগ নেয়। ক্ষতিকারক প্রমাণ সাপেক্ষে ওই সব অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করে তা যথাযথভাবে নিষিদ্ধ করে মেটা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প হ য় টসঅ য প ন ষ দ ধ কর ব যবহ র অন ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু

বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”

চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”

১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”

১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ