রাতে গিয়েছিলেন ওয়াজ মাহফিলে, সকালে পুকুরে হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
Published: 24th, February 2025 GMT
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় পুকুর থেকে এক ব্যক্তির হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে বালিখা ইউনিয়নের বড়ইবাড়ি গ্রামে ধলাই বিলসংলগ্ন একটি পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম আবেদ আলী (৬০)। তিনি বালিখা ইউনিয়নের পশ্চিম পাগুলি গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় কৃষক। তবে তিনি পূর্ব পাগুলি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার রাতে বাড়ির পাশে একটি ওয়াজ মাহফিলে গিয়েছিলেন আবেদ। রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। আজ সকালে তাঁর সন্ধান না পেয়ে স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
এদিকে ধলাই বিলের পাড়ের এক ব্যক্তির মৎস্যখামারের পুকুরে রশি দিয়ে হাত-পা ও গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পান এলাকার লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে লাশটি উদ্ধার করে। পরে সেখানে গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন আবেদের স্বজনেরা।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, ‘কারা এবং কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে রহস্য উদ্ঘাটনে আমরা কাজ করছি। ময়নাতদন্তের জন্য আবেদ ময়মনসিংহ মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।