যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের বিষয়ে অভিযোগ ছাড়া স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো তদন্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে এ অর্থ কোন খাতে ব্যয় হয়েছে তা খতিয়ে দেখবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের রাজনীতি শক্তিশালী করতে ২৯ মিলিয়ন ডলার এমন এক সংস্থার কাছে গেছে, যে সংস্থার নাম আগে কেউ শোনেনি সম্প্রতি এমনটি জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টিকে অর্থ মন্ত্রণালয় কীভাবে দেখছে, কোনো তদন্ত করা হবে কিনা– জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ না পাওয়া পর্যন্ত স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো তদন্ত করা হবে না। তবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগসহ অন্যান্য দপ্তর থেকে এ অর্থ কিভাবে এসেছে? মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যয় হয়েছে কিনা? তারপর প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের অনুদানের টাকা সরকারি–বেসরকারি উভয় পর্যায়েই আসে। বেসরকারি এনজিওগুলোও এ ধরনের অর্থ এনে স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ ভালো ভালো কাজে ব্যয় করে। তবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত কোনো ইস্যুতে এটা ব্যবহার হয়েছে কিনা সেটা দেখার বিষয়। আমরা দেখবো ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের উদ্দেশ্য প্রণোদিত কাজে টাকা না আসে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে একটি প্রকল্পে ২৯ মিলিয়ন (দুই কোটি ৯০ লাখ) ডলার দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এই অর্থ এমন একটি প্রতিষ্ঠানে গেছে যেটির নাম কেউ কখনো শোনেনি। আর সেখানে কাজ করেন মাত্র দুইজন কর্মী। তবে ট্রাম্প বক্তব্যে ওই প্রতিষ্ঠানের নাম বলেননি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইআরড উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে বিদেশি ঋণ শোধ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াল

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ৩২১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের পুরো সময়ের প্রায় সমান। গত অর্থবছরে (২০২৩–২৪) মোট ৩৩৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে। এর মানে হলো, এবার প্রথম ৯ মাসেই গত অর্থবছরের কাছাকাছি ঋণ পরিশোধ হয়ে গেছে।

আজ বুধবার বিকেলে প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি জুলাই–মার্চ মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। সেখানে বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ইআরডির তথ্য অনুসারে, ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) দেশে মোট প্রায় ৪৮১ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি ঋণ এসেছে। এ সময়ে ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়েছে অর্থছাড়ের প্রায় দুই–তৃতীয়াংশের সমান।

অন্যদিকে আলোচ্য ৯ মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ পরিশোধের মধ্যে আসলের পরিমাণ ২০১ কোটি ডলার। আর সুদ বাবদ ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে। ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৬৪ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।

এদিকে গত জুলাই–মার্চ সময়ে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গতবারের একই সময়ে পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্ধেকের কম। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭২৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল।

জুলাই–মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১২২ কোটি ডলার ছাড় করেছে এডিবি। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ১০৭ কোটি ডলার ও জাপান ৮৯ কোটি ডলার দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে বিদেশি ঋণ শোধ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াল