যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ২৯ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ের বিষয়টি দেখবে ইআরডি: অর্থ উপদেষ্টা
Published: 25th, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের বিষয়ে অভিযোগ ছাড়া স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো তদন্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে এ অর্থ কোন খাতে ব্যয় হয়েছে তা খতিয়ে দেখবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের রাজনীতি শক্তিশালী করতে ২৯ মিলিয়ন ডলার এমন এক সংস্থার কাছে গেছে, যে সংস্থার নাম আগে কেউ শোনেনি সম্প্রতি এমনটি জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টিকে অর্থ মন্ত্রণালয় কীভাবে দেখছে, কোনো তদন্ত করা হবে কিনা– জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ না পাওয়া পর্যন্ত স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো তদন্ত করা হবে না। তবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগসহ অন্যান্য দপ্তর থেকে এ অর্থ কিভাবে এসেছে? মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যয় হয়েছে কিনা? তারপর প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের অনুদানের টাকা সরকারি–বেসরকারি উভয় পর্যায়েই আসে। বেসরকারি এনজিওগুলোও এ ধরনের অর্থ এনে স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ ভালো ভালো কাজে ব্যয় করে। তবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত কোনো ইস্যুতে এটা ব্যবহার হয়েছে কিনা সেটা দেখার বিষয়। আমরা দেখবো ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের উদ্দেশ্য প্রণোদিত কাজে টাকা না আসে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে একটি প্রকল্পে ২৯ মিলিয়ন (দুই কোটি ৯০ লাখ) ডলার দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এই অর্থ এমন একটি প্রতিষ্ঠানে গেছে যেটির নাম কেউ কখনো শোনেনি। আর সেখানে কাজ করেন মাত্র দুইজন কর্মী। তবে ট্রাম্প বক্তব্যে ওই প্রতিষ্ঠানের নাম বলেননি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন
চলতি অর্থবছরে বিদেশি ঋণছাড়ে পাল্লা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া। অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সবচেয়ে বেশি ঋণ ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক। এই সংস্থাটি দিয়েছে ৩২ কোটি ২২ লাখ ডলার।
এরপরেই আছে রাশিয়া। দেশটি ওই তিন মাসে ৩১ কোটি ৫৩ লাখ ডলার দিয়েছে। রাশিয়া মূলত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে। তবে চীন গত তিন মাসে কোনো অর্থ দেয়নি।
গত বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জুলাই-সেপ্টেম্বর (প্রথম প্রান্তিক) মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এবার দেখা যাক, তিন মাসে কারা কত দিল। বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়ার পরে তৃতীয় স্থানে আছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবি ছাড় করেছে ১৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। এ ছাড়া জাপান ও ভারত দিয়েছে যথাক্রমে ৪ কোটি ডলার ও ৬ কোটি ডলার।
ইআরডির হিসাব অনুসারে, ঋণ শোধ বেড়েছে। পাশাপাশি অর্থছাড় ও প্রতিশ্রুতিও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রায় ১১৫ কোটি ডলার দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ। অন্যদিকে একই সময়ে আগে নেওয়া ঋণের সুদ ও আসল বাবদ প্রায় ১২৮ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
এদিকে ঋণ পরিশোধের পাল্লা ভারী হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে জুলাই-সেপ্টেম্বরে পরিশোধিত ঋণের মধ্যে ৮২ কোটি ডলার আসল এবং ৪৬ কোটি ডলারের বেশি সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ সরকারকে প্রায় ১১২ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে মাত্র ৯১ কোটি ডলারের।