সাভারে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৬
Published: 26th, February 2025 GMT
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় মো. মোমেন মিয়া (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে আশুলিয়ার বসুন্ধরা দারোগা মার্কেটের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
টঙ্গীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
ঝিনাইদহে ট্রিপল মার্ডার: ২ সন্দেহভাজন আটক
গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- আশুলিয়ার গাজিরচটের দক্ষিণ বাইপাই এলাকার বাসিন্দা সুরুজের ছেলে মোহাম্মদ নাজমুল (১৮), মো.
নিহত মোমেন মিয়া আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল এলাকার মৃত আজাহারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় রুবেলের নেতৃত্বে গ্রেপ্তারকৃতরা মোমেনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। মোমেনকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, “নিহতের কাঁধে ও পিঠে একাধিক গভীর ক্ষত ছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।