শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে পরাজয়ের ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বিদায় নিশ্চিত হয় টাইগারদের। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয় পাওয়ার সুযোগ থাকলেও বৃষ্টির কারণে সেটিও পরিত্যক্ত হয়। এই ম্যাচের পর ‘এ’ গ্রুপে এক পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে আসর শেষ করেছে বাংলাদেশ। সমান এক পয়েন্ট পেলেও নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকায় পয়েন্ট তালিকার একেবারে তলানিতে অবস্থান করছে স্বাগতিক পাকিস্তান। অন্যদিকে, ভারত ও নিউজিল্যান্ড চার পয়েন্ট করে নিয়ে শীর্ষ দুইটি স্থান দখল করেছে।

টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের পর বাংলাদেশ ঠিক কত অর্থ পাচ্ছে, সেটি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য আইসিসি মোট ৬.

৯ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮৪ কোটি টাকা) প্রাইজমানি বরাদ্দ করেছে। প্রতিটি দল অংশগ্রহণের জন্য পেয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা)। এছাড়া, গ্রুপপর্বে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩৪ হাজার ডলার (প্রায় ৪১ লাখ টাকা)। তবে বাংলাদেশ কোনো ম্যাচ না জেতায় জয়সংক্রান্ত বোনাস পায়নি।

বাংলাদেশ নিজেদের গ্রুপে তৃতীয় স্থানে থেকে আসর শেষ করায় সপ্তম কিংবা অষ্টম স্থানে অবস্থান করলে পাবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা)। সব মিলিয়ে টাইগারদের আয় দাঁড়াতে পারে ৩-৫ কোটি টাকার মধ্যে। এর মধ্যে ইংল্যান্ড যদি দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যায় তাহলে বাংলাদেশ ছয়েও চলে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পুরস্কারের পরিমানও বেড়ে যাবে। প্রাইজমানি হিসেবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার বা প্রায় ৪ কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা পেতে পারে বাংলাদেশ।

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য বরাদ্দ করেছে ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার (প্রায় ২৭ কোটি টাকা), আর রানার্সআপ দল পাবে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার (প্রায় ১৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা)। সেমিফাইনালে বিদায় নেওয়া দুই দল পাবে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার (প্রায় ৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা) করে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আবার ‘লাস্ট মিনিট শো’, জন্মদিনের রাতে স্লটকে জয় উপহার ফন ডাইকের

লিভারপুল ৩–২ আতলেতিকো মাদ্রিদ

জন্মদিনের রাতে এর চেয়ে ভালো উপহার আর কী হতে পারে!

রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই মাঠে ঢুকে পড়লেন আর্নে স্লট। লিভারপুলের সমর্থকেরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে থাকলেন, দল জেতায় অভিনন্দনও জানালেন। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে হাত নেড়ে স্লট সেই অভিবাদনের জবাব দিলেন।   

ভার্জিল ফন ডাইকের সঙ্গে আলিঙ্গনের সময় স্লটকে একটু বেশিই খুশি মনে হলো। কারণ, লিভারপুল অধিনায়ক ফন ডাইক ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত না হলে তাঁর বিশেষ রাতটা যে অনেকটাই পানসে হয়ে যেত!

২০২৫–২৬ মৌসুমে শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল করাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে লিভারপুল। যেটিকে বলা হচ্ছে লাস্ট মিনিট শো, কয়েকটি সংবাদমাধ্যম নাম দিয়েছে স্লট টাইম।

এবার সেই শো–এর নায়ক ফন ডাইক। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে তাঁর হেডারেই আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্রয়ের পথে থাকা ম্যাচটা ৩–২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে শুভসূচনা করল লিভারপুল।

এ নিয়ে এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল লিভারপুল। সবকটি ম্যাচে অলরেডরা জয়সূচক গোল করল ৮০ মিনিটের পর; এর তিনটিই যোগ করা সময়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ