‘গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট প্রডিউসার অ্যালায়েন্স’ (জিআইপিএ)-এর সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা আজমীর তারেক চৌধুরী। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই চলচ্চিত্র নির্মাতা নিজেই।

জিআইপিএ একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক, যেখানে বিশ্বের প্রভাবশালী প্রযোজকরা সামাজিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে একত্রিত হন। চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের কাজ করে এই প্ল্যাটফর্ম। এটি বিভিন্ন দেশ থেকে প্রভাবশালী প্রযোজকদের সংযুক্ত করে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ, সহায়তা ও কৌশলগত পরামর্শ প্রদান করে থাকে।

এই নেটওয়ার্কের অংশ হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছেন আজমীর তারেক চৌধুরী। বাংলাদেশের গল্পগুলোকে বৈশ্বিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের অনুপ্রেরণা জাগানো তার লক্ষ্য। সদস্য পদ পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আজমীর তারেক চৌধুরী।

আরো পড়ুন:

সস্ত্রীক অস্কারজয়ী অভিনেতার মরদেহ উদ্ধার

স্যার রুমে ডেকে নিয়ে প্রভা আপুর ভিডিও দেখায়: মিষ্টি জান্নাত

চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক আজমীর তারেক চৌধুরী। চলচ্চিত্র, সংগঠন ও সামাজিক সচেতনতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছেন তিনি। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সংগঠক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন আজমীর তারেক চৌধুরী। জহির রায়হান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের আয়োজনে ‘মাতৃভাষার চলচ্চিত্র উৎসব’ ও ‘বৈচিত্র্যের ঐক্যতান’-এর অন্যতম সংগঠক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আজম র ত র ক চ ধ র ন আজম র ত র ক চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার

দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।

দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্‌রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’

তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’

আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫

মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্‌যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা

সম্পর্কিত নিবন্ধ