বসন্তের হাওয়ায় দুলছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
Published: 1st, March 2025 GMT
ফাগুন শুরুর মধ্য দিয়ে প্রকৃতিতে এসেছে বসন্ত। শীতের আড়ষ্টতা কেটে প্রকৃতি সতেজ হতে শুরু করেছে, বিদায়ের সময় হয়েছে কুহেলিকার। ষড়ঋতুর বৈচিত্র্যময় এ দেশে ঋতুরাজের আগমনে নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য ফুটে উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)। যেন বসন্তের হাওয়ায় ফুলের সুবাসে দুলছে ক্যাম্পাস।
বাংলায় ফাল্গুন ও চৈত্র এ দুমাসে বসন্তকাল। শীতের বৈরিতায় সবাই যখন জবুথুবু, তখনই স্নিগ্ধ রোদের প্রশান্তির বাতাস ও প্রকৃতিতে বর্ণিল সাজ নিয়ে হাজির হয় ঋতুরাজ। পাতা ঝরা শীতের পর নতুন নতুন পাতায় গাছগুলো পুনরায় সজীব-সবুজ হতে শুরু করে। মায়াবী কণ্ঠে ডাকে কোকিল। কোকিলের কুহু ডাক নিশ্চিত করে, এটা বসন্ত। প্রজাপতি উঠে বেড়ায়, মৌমাছিরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে মধু আহরণে।
বসন্ত উপলক্ষে রং-বেরঙের ফুলে রঙিন হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। লাল, সবুজ, হলুদ, কমলা, বেগুনিসহ নানা রঙ ঝিকিমিকি করছে চারদিক। প্রজাপতিও রঙিন ডানা নিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে এদিক-ওদিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ফোটা বাহারি ফুলের মেলা শিক্ষার্থী, দর্শনার্থীসহ সবার নজর কেড়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন, ফরেস্ট্রি ইনস্টিটিউট, আবাসিক এলাকা, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, জাদুঘর, মেডিকেল সেন্টার, ফরেস্টি এলাকা, প্রশাসনিক ভবন, চবি উদ্যান, বিভিন্ন আবাসিক হল এবং অনুষদ প্রাঙ্গণে ফুটেছে নানা প্রজাতির ফুল।
এর মধ্যে গোলাপ, গাঁদা, টগর, সূর্যমুখী, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, কসমস ও ক্যালোন্ডুলাস অন্যতম। এসব ফুলের সৌরভ মাতিয়ে রেখেছে চারিদিক। বিশেষ করে নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ প্রাঙ্গণে ফুলের সাজগোজ এবার সবচেয়ে বেশি আলোচনায়। সেখানের বাহারি ফুলের সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করবেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আরবি সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব উল্লাহ বলেন, “বসন্তকাল প্রকৃতির সৌন্দর্যের এক বিশেষ সময়। বসন্তকে বলা হয় ঋতুর রাজা। চবি ক্যাম্পাসটি পাহাড়, সবুজ গাছপালা ও প্রাকৃতিক জলাধার দ্বারা বেষ্টিত। বসন্তের আগমনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য যেন আরো নতুন মাত্রা পায়।”
তিনি বলেন, “ক্যাম্পাস জুড়ে রঙিন ফুলের সমারোহ, সবুজ প্রকৃতির সতেজতা, আর পাখির কলতান এক অনন্য পরিবেশ তৈরি করে। বিশেষ করে জারুল, কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, শিমুল এবং টগর ফুলের রঙিন আভা পুরো ক্যাম্পাসকে মোহনীয় করে তুলেছে। বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ঝর্ণাগুলো বসন্তকালে আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। বসন্তের সময় ফরেস্টি এলাকার সৌন্দর্যের কথা আলাদা করে না বললেই নয়।”
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিহা ইয়াসমিন বলেন, “বসন্তে ক্যাম্পাসের আবহাওয়া খুবই মনোরম থাকে। হালকা ঠান্ডা বাতাস এবং রোদের মিষ্টি আলো ক্যাম্পাসের পরিবেশকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। এ সময়ে এখানের পাহাড়ি পথ ধরে হাঁটলে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার অনুভূতি পাওয়া যায়।”
তিনি বলেন, “নতুন ঋতুতে ক্যাম্পাসের নতুন রূপ ভীষণ মুগ্ধ করে। বসন্তের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে ফোটা ফুল দেখলে মন ভালো হয়ে যায়। আর এমনিতেও ফুল মানুষের যান্ত্রিকতার তিক্ততা দূর করে আনন্দ দেয়। প্রকৃতির মত মানুষের জীবনেও লাগুক বসন্তের হাওয়া, সজিব হয়ে উঠুক প্রতিটি প্রাণ।”
ঢাকা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র স ন দর য বসন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএইচএস মোটরস দেশে আনল চীনের ‘জিএসি’ ব্র্যান্ডের গাড়ি
ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড তার পোর্টফোলিওতে যুক্ত করেছে আরেকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড চীনের ‘জিএসি’। জিএসি চীনের পঞ্চম বৃহত্তম অটোমোবাইল নির্মাতা। নিজস্ব গাড়ির পাশাপাশি জিএসি চীনে হোন্ডা এবং টয়োটা গাড়ির যৌথ উদ্যোগ অংশীদার।
বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ঢাকা মোটর শোতে এ খ্যাতনামা ব্র্যান্ড উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশে জিএসির যে মডেলগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে, সেগুলো হলো— কমপ্যাক্ট এসইউভি জিএসি EMKOO, ছোট ও স্পোর্টি এসইউভি জিএসি EMZOOM এবং বিলাসবহুল এমপিভি জিএসি E9।
বাংলাদেশের বাজারে জিএসি উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের অটোমোবাইল শিল্পকে আরো শক্তিশালী করল ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভবিষ্যতে ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড জিএসির ইভি মডেল যুক্ত করে তাদের মডেল লাইনআপ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এছাড়া, ডিএইচএস খুব শিগগিরই দেশে জিএসি গাড়ির অ্যাসেম্বলি শুরু করার পরিকল্পনা করছে।
অনুষ্ঠানে ডিএইচএস মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান জামান খান, জেনারেল ম্যানেজার আরমান রশীদ ও ফারহান সামাদ, জিএসির কান্ট্রি ম্যানেজার ড্যানিয়েল ঝাউ, রেমন ওয়াং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/রফিক