Samakal:
2025-05-01@05:10:29 GMT

অবসান হচ্ছে এক যুগের যন্ত্রণা

Published: 1st, March 2025 GMT

অবসান হচ্ছে এক যুগের যন্ত্রণা

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ডুমরিয়া ইউনিয়নবাসীর এক যুগের দুর্ভোগ অবসান হতে চলেছে। একটি সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় তাদের এ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সেই সংযোগ সড়ক নির্মাণ শুরু হয়েছে।
নিম্ন জলাভূমি ও বিলবেষ্টিত ইউনিয়ন ডুমরিয়া। পশ্চাদপদ এ ইউনিয়নে সড়ক সংযোগ ছিল না। উপজেলা ও জেলা সদরের সঙ্গে ডুমরিয়া ইউনিয়নের যোগাযোগ ত্বরান্বিত করতে সড়ক সংযোগের আওতায় আনার পরিকল্পনা করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ডুমরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিস থেকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সদর সড়ক নির্মাণের আগেই শৈলদহ নদীর ডুমরিয়া বাজার পয়েন্টে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৩ সালে ১৩০ মিটার সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুর দুই মাথায় মাটি ফেলে মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এ সেতু দিয়ে মানুষ চলাচল করলেও পণ্য পরিবহন ও যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এর মধ্যে ডুমরিয়া ইউনিয়নে সড়ক সংযোগ গড়ে ওঠে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সড়ক সংযোগের সঙ্গে সেতুকে সংযুক্ত করতে ২০২৩ সালে প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে  ৩০০ মিটার আরসিসি স্লাব ভায়াডাক্ট নির্মাণ শুরু করে। ইতোমধ্যে ভায়াডাক্টের মূল কাজ শেষ হয়েছে। সাটারিংয়ের কাজ গত অক্টোবরে বন্ধ হয়ে যায়। এলাকাবাসী দ্রুত এ কাজ সম্পন্ন করে সেতুটি পুরোপুরি চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন।
ডুমরিয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাধনা মল্লিক জানায়, সেতুতে উঠতে নামতে তাদের খুব কষ্ট হয়। এ কষ্ট লাঘবের ব্যবস্থা দ্রুত করে দিতে হবে।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী দেবাংশু বিশ্বাস জানায়, সাইকেল ঘাড়ে করে তাকে সেতুতে উঠতে ও নামতে হয়। এ সময় একটু অমনোযোগী হলে ঘটে দুর্ঘটনা। এতে তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। তারা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চায়।
ডুমরিয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ কুমার মণ্ডল বলেন, সেতুটির দু’পারেই রাস্তা হয়েছে। রাস্তার সঙ্গে সেতুর সংযোগ স্থাপনের কাজ শুরু হয় প্রায় ২ বছর আগে। গত অক্টোবরে এ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তিনি দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করে সেতুটি চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানান।
ডুমরিয়া ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সদস্য শ্যামলী গাইন বলেন, সেতু হয়েছে।  এতে তাদের দুর্ভোগের অবসান হয়নি। এ সেতু দিয়ে গ্রামের ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ চলাচল করতে পারে। সংযোগ সড়কের অভাবে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এখানে উৎপাদিত ধান, পাট, সবজি, টমেটো, কৃষিপণ্য, খামরের মাছ, গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহন করা যায় না। এতে পণ্য বাজারজাতকরণ ও ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে তাদের এলাকার কৃষক ও খামারিরা বঞ্চিত হচ্ছেন। সেতুর সংযোগ সড়ক স্থাপন করে এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে হবে।
গোপালগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক বলেন, সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ, নকশা ও স্থানীয় আরও কিছু জটিলতার উদ্ভব হয়। তারা স্থানীয় লোকজন ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব জটিলতা নিরসন করেছেন। দ্রুতই কাজ শুরু হবে। আগামী জুলাই মাসের মধ্যে সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এরপর এ সেতু দিয়ে মানুষের পাশাপাশি যানবাহন ও পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হবে। এতে প্রায় এক যুগের দুর্ভোগ অবসান হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ত র স য গ সড়ক সড়ক ন র ম ণ স য গ সড়ক ন সড়ক স য গ অবস ন

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটারজুটে যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমশার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটারজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান উল্টে যাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এ যানজট দেখা দেয়। 

হাইওয়ে পুলিশ  জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে মহাসড়কে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নূরীতলা এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ফেনী থেকে রেকার এনে কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধারের কাজ শুরু করে পুলিশ। 

সকাল সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট দেখা গেছে। 

ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের চালক রমিজ উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করে বুড়িচংয়ের নিমশার বাজারে যানজটে এক ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। ৫ মিনিট গাড়ি চললে ২০ মিনিট বসে থাকতে হয়। এভাবে ১০টা ৪০ মিনিটে চান্দিনায় পৌঁছেছি। এ সময়ে ঢাকার কাছাকাছি থাকার কথা ছিল। 

নিমশার বাজারে আটকে থাকা প্রাইভেট কারের যাত্রী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে যানজট অথচ সড়কে হাইওয়ে পুলিশ দেখছি না। 

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, মহাসড়কের নূরীতলা এলাকায় উল্টে কাভার্ড ভ্যানটি আড়াআড়িভাবে পড়ে ছিল। পরে ঢাকামুখী লেনের বেশ কিছু গাড়ি উল্টো পথে ঢোকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফেনী থেকে ক্রেন এনে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। 

হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম সমকালকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণেই যানজট দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ