পাওনা আদায়ে রিংশাইন টেক্সটাইলের ৬টি প্লটের বরাদ্দ বাতিল
Published: 2nd, March 2025 GMT
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিংশাইন টেক্সটাইলের ছয়টি প্লটের বরাদ্দ বাতিলের বিষয়টি সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ডিইপিজেড) অবস্থিত কোম্পানিটির প্লটের বিপরীতে পাওনা পরিশোধ না করায় সম্প্রতি ছয়টি প্লটের বরাদ্দ বাতিল করে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বা বেপজা।
বেপজার এই প্লট বরাদ্দ বাতিলের বিষয়ে জানতে চেয়ে সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ কোম্পানিটির কাছে চিঠি দেয়। সেই চিঠির জবাবে কোম্পানিটি প্লটের বরাদ্দ বাতিলের সত্যতা স্বীকার করেছে। ডিএসইর চিঠির জবাবে কোম্পানিটি জানায়, বিষয়টি সমাধানে এরই মধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কোম্পানিটি। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, বেপজার বকেয়া পাওনা বাবদ ১০ লাখ মার্কিন ডলার কোম্পানির আইপিও (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) তহবিল থেকে পরিশোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএমে শেয়ারধারীরা এ বিষয়ে সম্মতিও জ্ঞাপন করেছেন। এখন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমোদন পেলে এই অর্থ পরিশোধ করা হবে।
এদিকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) রিংশাইনের লোকসান আরও বেড়েছে। এ সময়ে কোম্পানিটির লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩৫ কোটি টাকা। তাতে শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়ায় ৭১ পয়সায়। আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে কোম্পানিটির লোকসান ছিল সাড়ে ২৭ কোটি টাকা বা শেয়ারপ্রতি ৫৫ পয়সা।
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান বেড়ে যাওয়ায় অর্ধবার্ষিক শেষেও কোম্পানিটির লোকসান বেড়েছে। গত জুলাই-ডিসেম্বর শেষে রিংশাইনের লোকসান বেড়ে দাঁড়ায় ৭৫ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৭০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
২০১৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় রিংশাইন টেক্সটাইল। ওই সময় প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা তুলেছিল। তবে তালিকাভুক্তির বছর না ঘুরতেই ২০২০ সালে রিংশাইনে সংকট দেখা দেয়। এ কারণে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে উৎপাদন বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। এর পর থেকে কোম্পানিটির দেনা ও লোকসান কেবল বাড়ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।
সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।
এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা