বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্যঘোষিত নাটোর জেলা কমিটি ১২ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল না করলে সড়ক ও রেলপথ অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পদবঞ্চিতসহ একটি পক্ষ। গতকাল সোমবার বিকেলে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা। এ সময় তারা আগের আহ্বায়ক কমিটি পুনর্বহালসহ চার দফা দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৫ জানুয়ারি ২৯৫ জনকে সদস্য করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে কেন্দ্রীয় সব কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন তারা। কিন্তু আগের কমিটি বিলুপ্ত না করে হঠাৎ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজে দুই শতাধিক সদস্যের আরেকটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। ছয় মাসমেয়াদি এ কমিটির বেশির ভাগ সদস্য আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন না। পরিবারতন্ত্র এবং একই ব্যক্তি একাধিক স্থানে রেখে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়, যা সংগঠনের আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নাটোর জেলার আগের কমিটির সদস্য সচিব মশিউর রহমান ফুয়াদ বলেন, ছাত্রদের ন্যায়সংগত দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে ১২ ঘণ্টার মধ্যে নবগঠিত কমিটি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় নাটোরের রেলপথ ও সড়কপথ অবরোধ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আগের কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক সরকার, সদস্য মেহেদী হাসান, মিনহাজুল আবেদীন, শাহরিয়ার তামিম, সুব্রত দেবসহ পদবঞ্চিতরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবগঠিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ওবায়দুল্লাহ মিম বলেন, সংবাদ সম্মেলনে হাতে গোনা দুই থেকে তিনজন আন্দোলনকারী ছিলেন। তারা নতুন কমিটিতেও রয়েছেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির দু’জনকেও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে দেখলাম, যা দুঃখজনক। তিনি আরও বলেন, নাটোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বা নামে কোনো প্রকার অরাজকতা কিংবা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হলে কঠোরভাবে তা প্রতিরোধ করা হবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কম ট র কম ট কম ট র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ডে আমূল পরিবর্তন আনলেন নরেন্দ্র মোদি

কাশ্মীরের পেহেলগামকাণ্ডের পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ডের (এনএসএবি) খোলনলচে বদলে দিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। আজ বুধবার ওই পর্ষদের শীর্ষে বসানো হলো ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) সাবেক প্রধান অলোক যোশিকে। ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ছিলেন র–এর প্রধান।

পেহেলগামকাণ্ডে ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে দীর্ঘ সাত বছর পর এনএসএবি পুনর্গঠন করা হলো।

এই বোর্ডের বাকি ৬ সদস্যের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। পিটিআই ও এএনআই সরকারি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলের সাবেক এয়ার কমান্ডার এয়ার মার্শাল পি এম সিনহা, দক্ষিণাঞ্চলের সাবেক সেনা কমান্ডার লে. জেনারেল এ কে সিং এবং সাবেক রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্না নবগঠিত বোর্ডের সদস্য হয়েছেন।

সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক এই তিন কর্তার পাশাপাশি নবগঠিত এনএসএবির সদস্য করা হয়েছে ভারতীয় পুলিশ সার্ভিস কমিশনের দুই সাবেক কর্তা রাজীব রঞ্জন ভার্মা ও মনমোহন সিংকে। বোর্ডের ষষ্ঠ সদস্য হয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্তা বি ভেঙ্কটেশ ভার্মা।

কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলার পর এনএসএবির পুনর্গঠন করা হলো। আজ বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্তের খবর বার্তা সংস্থা পিটিআই ও এএনআই জানায়।

এনএসএবির প্রধান দায়িত্ব জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা ও পর্যালোচনা করে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির আলোকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা। এনএসএবি সেই সুপারিশ করে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলকে (এনএসসি)।

জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলও সময়ে–সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে এনএসএবির পরামর্শ চায়। পরিস্থিতির বিচারে এনএসএবি সেই সব বিষয়ে সরকারকে তার অভিমত জানায়। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের শীর্ষে রয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। অজিত দোভাল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ডে আমূল পরিবর্তন আনলেন নরেন্দ্র মোদি