স্লুইসগেট মেরামত না হওয়ায় হুমকিতে ৩ উপজেলার বোরো ধান
Published: 4th, March 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জে গত বন্যায় ভেঙে যাওয়া কৈয়ারঢালা স্লুইসগেটের সংযোগ সড়ক ৮ মাসেও মেরামত হয়নি। ফলে বিঘার পর বিঘা জমির বোরো ধান নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
কৃষকদের দাবি, স্লুইসগেটের ভাঙা অংশটি দ্রুত মেরামত করা না হলে, চৈত্রের মাঝামাঝি সময়ে কুশিয়ারা নদীতে পানি আসলে ডুবে যেতে পারে তিন উপজেলার বোরো ধান। উপজেলাগুলো হলো- আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং ও নবীগঞ্জ।
গত বছরের ৪ জুন আজমিরীগঞ্জ-বদলপুর সড়কের কুশিয়ারা তীরবর্তী কৈয়ারঢালা স্লুইসগেটের দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়। সময়ের সাথে সাথে ভাঙনটি আরও বড় আকার ধারণ করে। দীর্ঘ আট মাসেও এটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এদিকে, হাওড়জুড়ে শেষ হয়েছে বোরো আবাদ। আর মাস দেড়েক পরই ফসল ঘরে তোলার সময়। কিন্তু কৈয়ার ঢালা স্লুইসগেটের সংযোগ সড়কের বাঁধটি এখনও মেরামত না করায় তিন উপজেলার কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাদের আশঙ্কা, চৈত্রে আগাম বৃষ্টিপাত হলে কুশিয়ারা নদীর পানি হাওড়ে ঢুকে পড়বে। এতে তলিয়ে যাবে বিস্তীর্ণ ফসলিজমি।
স্থানীয় সিরাজ মিয়া বলেন- “অনেক ভয়, আতঙ্কে আছি। বৈশাখ মাস চলে আসছে, এটা ভেঙে অনেক ক্ষতি হতে পারে। এখন এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে এই বাঁধ না বাঁধলে আর বাঁধা সম্ভব না।”
এই সংযোগ সড়কটির দায়িত্বে রয়েছে জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি করে দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন সংস্থাটির নির্বাহী প্রকৌশলী।
হবিগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম বলেন, “চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ঠিকাদারকে জরুরিভিত্তিতে মেরামত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এটা নির্মাণ করা সম্ভব হবে।”
এর আগে ২০২২ সালে কৈয়ারঢালা স্লুইসগেটে ভাঙন দেখা দেয়। পরে ত্রুটিযুক্ত মেরামতের কারণে আবারও তা ভেঙে যায়। তবে এবার যেন শক্তিশালী বাঁধ তৈরি করা হয় এমনটাই দাবি কৃষকদের।
ঢাকা/মামুন/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ল ইসগ ট র স য গ সড়ক ম র মত উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।
এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।
এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।