মরণোত্তর দেহদানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন ভারতীয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। বছর চারেক আগে দেহদানের কথা বলেছিলেন তিনি, পরে অঙ্গীকারপত্রে সইও করেন।

আজ বুধবার এক ফেসবুক পোস্টে কবীর সুমন লিখেছেন, ‘রমজান মোবারক। সবাইকে জানাতে চাই—কিছুকাল আগে এই ফেসবুকেই ঘোষণা করেছিলাম, আমি আমার দেহ দান করেছি, কোনো ধর্মীয় শেষকৃত্য আমি চাই না। অনেক ভেবে আমি সেই সিদ্ধান্ত পাল্টালাম। দেহদানের ইচ্ছা প্রত্যাহার করছি আমি। আমার দেহ আমি দান করব না।’

আরও পড়ুনমরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারপত্রে সই সুমনের২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

কবীর সুমন লিখেছেন, ‘আমি চাই, আমায় এই কলকাতারই মাটিতে, সম্ভব হলে গোবরায়, ইসলামি রীতিতে কবর দেওয়া হোক। এটাই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমার কতিপয় স্বজনকে এটা জানিয়ে দিলাম।’

১৯৯২ সালে গানের অ্যালবাম ‘তোমাকে চাই’ প্রকাশের পর জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন কবীর সুমন। আধুনিক বাংলা গানের জনপ্রিয় এ শিল্পী বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সমান জনপ্রিয়।

একসময় স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হন। নন্দীগ্রাম আর সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় তিনি দাঁড়িয়েছিলেন মমতার পাশে। এরপর যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সংসদ সদস্য হন। পরে বনিবনা না হওয়ায় তৃণমূল ছাড়েন।

কবীর সুমনের নাম ছিল সুমন চট্টোপাধ্যায়। ধর্মান্তরিত হয়ে কবীর সুমন নাম ধারণ করেন। তাঁর জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যে, ১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম

জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’

তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’

তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’

সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ