দেহদান নয়, মৃত্যুর পর ইসলামি রীতিতে কবর চান কবীর সুমন
Published: 5th, March 2025 GMT
মরণোত্তর দেহদানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন ভারতীয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। বছর চারেক আগে দেহদানের কথা বলেছিলেন তিনি, পরে অঙ্গীকারপত্রে সইও করেন।
আজ বুধবার এক ফেসবুক পোস্টে কবীর সুমন লিখেছেন, ‘রমজান মোবারক। সবাইকে জানাতে চাই—কিছুকাল আগে এই ফেসবুকেই ঘোষণা করেছিলাম, আমি আমার দেহ দান করেছি, কোনো ধর্মীয় শেষকৃত্য আমি চাই না। অনেক ভেবে আমি সেই সিদ্ধান্ত পাল্টালাম। দেহদানের ইচ্ছা প্রত্যাহার করছি আমি। আমার দেহ আমি দান করব না।’
আরও পড়ুনমরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারপত্রে সই সুমনের২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১কবীর সুমন লিখেছেন, ‘আমি চাই, আমায় এই কলকাতারই মাটিতে, সম্ভব হলে গোবরায়, ইসলামি রীতিতে কবর দেওয়া হোক। এটাই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমার কতিপয় স্বজনকে এটা জানিয়ে দিলাম।’
১৯৯২ সালে গানের অ্যালবাম ‘তোমাকে চাই’ প্রকাশের পর জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন কবীর সুমন। আধুনিক বাংলা গানের জনপ্রিয় এ শিল্পী বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সমান জনপ্রিয়।
একসময় স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হন। নন্দীগ্রাম আর সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় তিনি দাঁড়িয়েছিলেন মমতার পাশে। এরপর যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সংসদ সদস্য হন। পরে বনিবনা না হওয়ায় তৃণমূল ছাড়েন।
কবীর সুমনের নাম ছিল সুমন চট্টোপাধ্যায়। ধর্মান্তরিত হয়ে কবীর সুমন নাম ধারণ করেন। তাঁর জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যে, ১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।