ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির রেকর্ড ৩৬২ রানের সংগ্রহ পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। বিশাল রান তাড়া করতে নেমে ভালো জবাব দিলেও দুইশ’ রানের আগে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে দক্ষিণ আফ্রিকা।
লাহোরে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৬ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান করেছে। ডেভিড মিলার ও মার্কো ইয়ানসেন ক্রিজে আছেন।
ক্লাসেন-মার্করাম ব্যর্থ: দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে হেনরিক ক্লাসেন ও এইডেন মার্করামের আউট। ক্লাসেন চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ৭ বলে ৩ রান করে আউট হন। মার্করাম ২৯ বলে ৩১ রান করে ফিরে যান। পরেই ফিরেছেন অলরাউন্ডার ওয়ান মুলদার (৮)।
প্রোটিয়াদের ডুসেন ধাক্কা: নিউজিল্যান্ডের বড় রানের জবাবে ভালো ব্যাটিং করতে থাকা রেসি ফন ডার ডুসেন ফিফটির পর ফিরেছেন। তিনি ৬৬ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন। চারটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। ইনিংসের ২৭তম ওভারে দলের ১৬১ রানে আউট হন তিনি।
ফিরলেন রিকেলটন-বাভুমা: নিউজিল্যান্ডের বড় রান তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়া ওপেনার রায়ান রিকেলটন দলের ২০ রানে সাজঘরে ফিরে যান। তিনি ১৭ রান করেন। এরপর বাভুমা ও ফন ডার ডুসেন ১০৫ রান যোগ করেন। বাভুমা ৭১ বলে ৫৬ রান করে ফিরে গেছেন।
রাচিন-উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরি: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের দুই ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসন সেঞ্চুরি করেছেন। রাচিন ১০১ বলে ১০৮ রান করেছেন। ১৩টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন তিনি। উইলিয়ামসন ৯৪ বলে ১০২ রান করেন। তিনি ১০টি চার ও দুটি ছক্কা মারেন।
মিশেল-ফিলিপসের ব্যাটে রান: নিউজিল্যান্ডের রান বড় করতে ড্যারেল মিশেল ও গ্লেন ফিলিপস ভালো ব্যাটিং করেছেন। মিশেল ৩৭ বলে ৪৯ রান করেন। ফিলিপস ২৭ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট