ভারতের বিপক্ষেও জিততে চাই: স্যান্টনার
Published: 5th, March 2025 GMT
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫০ রানের ব্যবধানে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে উঠেছে নিউ জিল্যান্ড। আগামী রোববার দুবাইতে মেগা ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে তারা। সেই ম্যাচেও জয় চান কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার।
ম্যাচ শেষে স্যান্টনার বলেছেন, ‘‘ফাইনালে উঠতে পেরে শান্তি লাগছে। আমরা ভালো একটি দলের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। আমাদের ভারতের বিপক্ষে খেলতে হবে। সেখানেও এমন একটি জয় চাই।’’
কেন উইলিয়ামসন ও রাচিন রবীন্দ্রর প্রশংসা করে অধিনায়ক বলেন, ‘‘মূলত রাচিন ও কেন ভালো একটি ভিত গড়ে দিয়েছিল। শেষ দিকেও ভালো হয়েছে। ফিনিশাররাও তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। বোলাররা উইকেট তুলে নিয়ে তাদের কাজ করেছে। আমি নিজেও ভালো বোলিং করেছি। এই উইকেটে আসলে ৩২০ রান নিরাপদ হতো না। দুবাইতে ভারতকে চাপে ফেলানোর ম্যাচ থেকে আমরা আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলাম। এখন পরের ম্যাচে টস জিতলে দারুণ হবে।’’
আরো পড়ুন:
হাজার–বারো’শ উঠতি ক্রিকেটার নিয়ে বিসিবির টুর্নামেন্ট
‘উইকেট শিখিয়ে দেয় ক্রিকেট কীভাবে খেলতে হবে তারপরে সুইচ অন করি’
সেমিফাইনালে নিউ জিল্যান্ডে আগে ব্যাট করে রাচিন ও উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৬ উইকেটে ৩৬২ রান করে। জবাবে ডেভিড মিলারের অপরাজিত সেঞ্চুরি ভর করে ৯ উইকেট ৩১২ রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ইন ল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে রহস্যময় মেঘের সন্ধান, অনুসন্ধানে নাসা
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে মেঘের মতো অদ্ভুত কাঠামোর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরে থাকা উচ্চ উচ্চতার এই মেঘের মতো কাঠামোর তথ্য জানতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ থেকে রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরের রহস্য জানার চেষ্টা চলছে। স্পোরাডিক-ই ইলেক্ট্রোডাইনামিকস বা সিড নামের এই মিশনের মাধ্যমে তিন সপ্তাহের মধ্যে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের কোয়াজালিন অ্যাটল থেকে বৈজ্ঞানিক যন্ত্র বহনকারী সাবঅরবিটাল মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। বিজ্ঞানীরা আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে তৈরি স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। এই কাঠামোর কারণে আয়নোস্ফিয়ারের উচ্চ স্তরে পৌঁছানোর আগে রেডিও সংকেত পৃথিবীতে প্রতিফলিত হচ্ছে। এর ফলে এলোমেলো সংকেত গ্রহণ করছে রেডিও রিসিভার।
নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর ক্রমাগত তৈরি হচ্ছে। এই স্তর চলমান ও এই অঞ্চলের কারণে বিভিন্ন ব্যাঘাত অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়ে। নাসার মিশন কর্মকর্তা আরোহ বরজাতিয়া বলেন, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর খালি চোখে দেখা যায় না। শুধু রাডারের মাধ্যমে প্যাঁচানো ও ফোলা মেঘের মতো দেখা যায়। আবার কিছু স্তর মেঘলা আকাশের মতো ছড়িয়ে পড়ে, যাকে আমরা কম্বলটিং স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর বলি। এই স্তর যোগাযোগে হস্তক্ষেপ করে।
আয়নোস্ফিয়ার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর। এটি প্রায় ৬০ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই এলাকা চার্জযুক্ত কণা বা আয়ন দ্বারা গঠিত। এই আয়নের মধ্যে কিছু আসে উল্কা থেকে। আয়নিত লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের চিহ্ন আছে এই স্তরে। এসব ভারী ধাতু আয়নোস্ফিয়ারের সাধারণ কণার তুলনায় বেশি থাকে। মাঝে মাঝে এসব কণা একসঙ্গে জমাট বেঁধে ঘন গুচ্ছ তৈরি করে, যা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মধ্য অক্ষাংশের স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর তৈরির কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন। তবে পৃথিবীর বিষুবরেখার কাছাকাছি থাকা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সূত্র: এনডিটিভি