রাজবাড়ীতে ছাগল বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় এক নারী নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপ্রসাদপুর গ্রামের এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীর নাম জহুরা খাতুন (৪৩)। তিনি স্থানীয় গঙ্গাপ্রসাদপুর এলাকার মৃত রহম ব্যাপারীর মেয়ে।

রাজবাড়ী রেলওয়ে থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে বাড়ির সামনে রেললাইনে কাছে তিনটি ছাগল চরাতে দেন জহুরা। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে তিনি ছাগলগুলো আনতে যান। রেললাইনের সঙ্গে ছাগলের রশি পেঁচিয়ে যাওয়ায় সেটি ছাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। এমন সময় গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া থেকে ‘ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ফরিদপুরের ভাঙ্গার দিকে যাচ্ছিল। দ্রুতগতিতে ট্রেনটি চলে আসায় তিনি দুটি ছাগলের রশি ছাড়াতে পারেননি। ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মারা যান জহুরা।

জহুরার ভাই পানজু ব্যাপারী বলেন, তাঁর বড় বোন (জহুরা) কানে কম শুনতে পেতেন। তিনি বাড়িতে গরু-ছাগল দেখাশোনা করতেন। ট্রেনের হুইসেল ঠিকমতো শুনতে না পাওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁদের ধারণা।

রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার সকালে জানান, খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাতেই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ