Samakal:
2025-05-01@02:49:51 GMT

কাইয়ুম চৌধুরীর রেখা ও রং

Published: 6th, March 2025 GMT

কাইয়ুম চৌধুরীর রেখা ও রং

কাইয়ুম চৌধুরীর ‘কাইয়ুম চৌধুরী’ হয়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা কার বা কীসের যদি নিজেকে জিজ্ঞেস করি, উত্তর পাই– নিষ্ঠা। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠাবান ছিলেন তাঁর কাজ ও বিষয়ের প্রতি। এবং নানান বিষয়ে তাঁর দখল ছিল। আঁকার ধরন নানান মাধ্যমে বদলে যায়, যেমন– ক্যানভাসে আঁকা আর পোস্টারে আঁকা। কাইয়ুম চৌধুরী ক্যানভাস ও পোস্টার দুটোতেই সমান আধুনিক ও পৃথক। সমসাময়িক পোস্টার বিষয়ে তাঁর খুব ভালো ধারণা ছিল। আমাদের দেশে কিন্তু এগুলো আগে থাকলেও কাইয়ুম চৌধুরী পোস্টারের ধ্যান-ধারণাই বদলে দিয়ে গেছেন। সহজ ও সুন্দরের সম্মিলন ঘটিয়েছেন। শিল্পকলায় আমাদের বৈঠকগুলোরও প্রাণ ছিলেন তিনি। তাঁকে ছাড়া কোনো অনুষ্ঠান নামানোর কথা চিন্তা করা যেত না। লোগো তাঁকেই করতে হতো। 
আমরা খুব কাছাকাছি ছিলাম। অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। এর ভেতর নিকট অতীতের যে স্মৃতি মনে পড়ে তা হলো, সার্কের পদকের নকশা, মনোগ্রাম প্রভৃতি তৈরির একটি কমিটিতে আমরা দু’জন ছিলাম। এর আগেও কাছ থেকে বহুবার দেখে যা বুঝেছি, সেবারও বুঝলাম, নকশা সম্পর্কে তাঁর ধারণা ও পরিকল্পনা কত ব্যাপক। আমাদের দেশে নকশাকে সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। অথচ নকশা সবখানে ব্যবহৃত হয়। এই নকশার আধুনিকায়ন, বিকাশে কাইয়ুম চৌধুরী পথিকৃৎ। তাঁর শিল্পবোধ অতি উন্নত ছিল। আর শিল্পের অন্যতম রসদ ছিল দেশপ্রেম। দেশকে ভালো না বাসলে, বাংলার যে রূপায়ণ তিনি তাঁর ছবিতে করেছেন, সেই স্তরের কাজ সম্ভব না। তাঁর ছবি ও বিষয়ের ভেতর বাঙালিপনা ছিল। 
নানান রকম মজার স্মৃতি আছে। একবার আমাকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলো কাইয়ুম চৌধুরীকে একটি মসজিদ দেখাতে। এমন এক মসজিদ, যা স্থাপত্যশৈলী এবং শিল্পমান দু’দিক থেকেই চমৎকার। ঠিক করলাম আমাদের পুরান ঢাকার তারা মসজিদ দেখাব তাঁকে। কথা ছিল আমি এসে তাঁকে নিয়ে যাব। কিন্তু তিনি সময় করে উঠতে পারেন না। আজ নয়, কাল নয়, এভাবে মাস পার হয়ে গেল। কয়েক মাস পার হলো, আমাদের আর যাওয়া হয় না। একদিন কাইয়ুম চৌধুরী বললেন, ‘তুমি আসো।’ আজ তিনি যাবেনই। আমিও প্রস্তুত হয়ে গেলাম তাঁর কাছে। অবশেষে আমরা তারা মসজিদ দেখতে যাচ্ছি। বাসায় পৌঁছালে তিনি আমাকে গাড়িতে ওঠালেন। গাড়ি যাচ্ছে আমারই বাসার দিকে। স্যার বললেন, ‘আজকেও আমি পারব না। আজকে তোমাকে দিয়ে আসি।’ এটি একটি মধুর স্মৃতি হয়ে আছে। আমি অনেককে বলি। 
ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল আমাদের। কাইয়ুম চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি ফেনীতে যাওয়া হয়নি কখনও। তবে ঢাকার বাসায় বহুবার গিয়েছি। কাইয়ুম চৌধুরীর কাজ দেশের সীমানা পেরিয়েছে, কিন্তু তিনি নিজে জীবনের দীর্ঘ সময় দেশের সীমা পার হননি। জীবনের শেষ দিকে আমেরিকায় বেড়িয়েছেন। সেসব জায়গায় অল্প বিস্তর তাঁর প্রদর্শনী হয়েছে। একবার কাইয়ুম চৌধুরী তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন, ওয়াশিংটনে। সেখানেও গিয়েছি। বাসায় গিয়ে দেখি, তিনি ভীষণ ব্যস্ত। বিষয় হলো, কারও বইয়ের প্রচ্ছদ করার কথা ছিল, কিন্তু দুই বছর পার হয়ে গেছে, কাইয়ুম স্যার এখনও ধরতে পারেননি। এখন ওরা আসছে। তড়িঘড়ি করে আমার সামনেই ১৫ মিনিটে অনবদ্য এক প্রচ্ছদ করলেন। প্রচ্ছদ, অক্ষরশৈলীর প্রবাদপুরুষ কাইয়ুম চৌধুরী। লোকজন তাঁকে দিয়ে বইয়ের প্রচ্ছদ করাতে পারলে ধন্য হয়ে যেত, এসবের প্রমাণ আমাদের সামনে থেকে দেখা। নানান মাধ্যমে কাইয়ুম চৌধুরী কাজ করেছেন। তেল রং, জল রং, কালিকলম। তাঁর ছবিতে, নকশায় গাছপালা, মানুষ ও পশুপাখির দেহাবয়ব, নানা রকম জ্যামিতিক আকার আকৃতি সব প্রাকৃতিক রূপ পেত। সবটাতেই বাঙালিপনার ছাপ। লোকশিল্পেরও প্রচুর উপকরণ তাঁর ছবিতে ও নকশায় এসেছে। উজ্জ্বল রং ব্যবহার করতেন। চিত্রকলার বাইরেও অনেক জানতেন কাইয়ুম চৌধুরী। সেসব তাঁর শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছিল। সাহিত্যিকদের সঙ্গে তাঁর সখ্য ছিল। সংগীতের সঙ্গেও তাঁর আত্মার গভীর সংযোগ ছিল। গোপাল হালদার, শচীন দেব বর্মণ, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ– এমন মানুষদের সঙ্গে তাঁর সখ্য ও পারিবারিক যোগাযোগ ছিল। এরপর সৈয়দ শামসুল হক, শামসুর রাহমান, আলাউদ্দিন আল আজাদ, হাসান হাফিজুর রহমানের মতো সাহিত্যিকরা তাঁর নিকটজন ছিলেন। উৎকৃষ্ট চিত্রকলার সম্ভার উত্তরপ্রজন্মের জন্য তিনি রেখে গেছেন। রেখে গেছেন শিল্পীর জন্য দেশপ্রেম ও রাজনীতি সচেতনতার উদাহরণ। আসছে ৯ মার্চ তাঁর জন্মদিনে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম দ র মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

নেই নিয়োগপত্র, আইডি কার্ড ও ছুটি

নিয়োগপত্র নেই। এ কারণে চাকরির নিশ্চয়তাও নেই। দেওয়া হয় না পরিচয়পত্র। নেই কর্ম ঘণ্টার হিসাব। তবে রয়েছে মজুরিবৈষম্য ও জীবনের ঝুঁকি। এ চিত্র খুলনার বরফকলে কর্মরত বরফ শ্রমিকদের।

অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত বরফকলের শ্রমিকেরা জানেন না মে দিবসের অর্থ। তারা শুধু এটুকু জানেন, কাজ থাকলে মজুরি পাবেন, অন্যথায় জুটবে না কিছু। খুলনার নতুন বাজার, রূপসা, শিপইয়ার্ড ও নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বরফ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে উঠে এসেছে ঝুঁকি ও বৈষম্যের এই চিত্র।

সরেজমিনে জানা গেছে, লবণ পানি এবং অ্যামোনিয়া গ্যাসের সংমিশ্রণে বরফের প্রতিটি ক্যান তৈরি হয়। এ কাজে প্রচণ্ড ঝুঁকি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- অ্যামোনিয়া গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ হলে মৃত্যুসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা। এছাড়াও অধিকাংশ সময় হাত-পা ভিজে ঠান্ডা থাকায় ক্ষত থেকে ইনফেকশন হয়। এর বাইরে বুকে ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি জ্বরসহ ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগেন এখানকার শ্রমিকেরা। পাতলা বরফে অনেক সময় হাত-পা কেটে যায়। কিন্তু মালিক বা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের জন্য কোন ধরনের অ্যাপ্রোন বা নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করেন না। তবে দুর্ঘটনায় কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

আরো পড়ুন:

ফুড ডেলিভারিম্যান: খাবারের রাজ্যে অতৃপ্ত দিনরাত

মহান মে দিবস: শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় সংস্কারে জোর সরকারের

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা মহানগরীর নতুন বাজার, নিউমার্কেট, শিপইয়ার্ড, রায়েরমহল এবং রূপসা উপজেলার পূর্ব রূপসা এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫টি বরফকল রয়েছে। এর মধ্যে নতুন বাজার ও পূর্ব রূপসায় সর্বাধিক বরফকল রয়েছে। এসব কলে গড়ে দশ জন হিসেবে দেড় শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন।

রূপসার নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত ‘বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজে’ কাজ করেন মোহাম্মদ রাসেল হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি হলেও পরিবার নিয়ে রূপসার জাবুসা এলাকায় বসবাস করেন। দীর্ঘ সাত বছর ধরে এই বরফকলে কাজ করছেন তিনি। রাসেল জানান, তাদের মাসিক বেতন নেই। নেই নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র। মূলত উৎপাদনের উপর প্রতি পিস বরফের ক্যান অনুযায়ী ১২ টাকা হারে মজুরি পান। নামমাত্র এ মজুরিতে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে সংসার ঠিকমতো চলে না।

‘‘তিন বছর আগে নির্ধারণ করা মজুরি এখনো চলছে। লোকসানের অজুহাতে মালিকপক্ষ মজুরি বাড়াতে চান না। তাদের মতো শ্রমিকদের কোন বেতন-বোনাস নেই। নো ওয়ার্ক, নো পে অর্থাৎ কাজ থাকলে মজুরি আছে কাজ না থাকলে নেই। মালিকদের এ সিদ্ধান্ত না মানলে চাকরিও থাকে না।’’ ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন রাসেল হোসেন।

একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন মোঃ জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘গড়ে প্রতিমাসে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা মজুরি পাই। কিন্তু মাসিক খাবার খরচ প্রায় ৩ হাজার টাকা। বাসা ভাড়া বাবদ ৩ হাজার টাকা চলে যায়।’’

তবে জাকির হোসেন ব্যাচেলর হওয়ায় কারখানার মধ্যেই থাকেন। বিয়ের পর এ কাজ করার ইচ্ছা নেই বলে জানান তিনি।

বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ-১-এ অপারেটর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন মোঃ সেলিম শেখ। তার জন্ম নড়াইলের লক্ষ্মীপাশা হলেও কর্মসংস্থানের কারণে রুপসার বাগমারা গ্রামে বসবাস করছেন। তিনি জানান, বর্তমান বয়স ৮৪। ২০ বছর বয়স থেকেই বরফ কারখানার সঙ্গে জড়িত। প্রথমে হেলপার হিসেবে ২৫০০ টাকা বেতনে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে অপারেটর হিসেবে মাসিক ১৫ হাজার টাকা পান। প্রতিদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে কাজ শুরু করতে হয়। তবে সবসময় উৎপাদন না থাকলেও ২৪ ঘণ্টা কারখানায় থাকতে হয়। ছুটি পান না।

‘অ্যামোনিয়া গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে সিলিন্ডার লিকেজ হলে মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। তবে তিনি কখনো বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হননি বলে জানান তিনি।

‘মায়ের দোয়া আইস এন্ড কোল্ড স্টোরেজে’র শ্রমিক জাকারিয়া হাওলাদার বলেন, ‘‘চার বছর বরফকলে কাজ করছি। চাকরির ভবিষ্যৎ নেই। শ্রম দিতে পারলে মজুরি হয়, না হলে হয় না। নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র দেন না মালিকপক্ষ। বেতন বাড়ানোর কথা বললে তারা আমলে নেন না।’’

একই এলাকার ‘ব্রাইট অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজে’ কাজ করছেন মোঃ মুন্না গাজী ও মোঃ হাসান শেখ। তারা নগরীর জিন্নাপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। তারা দুজনেই মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন পান। এর বাইরে তেমন কোন সুযোগ সুবিধা নেই।

‘ব্রাইট অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজে’র ম্যানেজার আশিকুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করে জানান, কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সুরক্ষায় উদাসীন। এখানে অ্যামোনিয়া গ্যাসের সিলিন্ডার মাঝেমধ্যেই লিক হয়। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রতিষ্ঠানটিতে ৫৩২টি আইস উৎপাদনের ক্যানের প্লান্ট রয়েছে। তবে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ ক্যান বরফ উৎপাদন হয়। ছয়জন শ্রমিক কাজ করে বলে জানান তিনি।

‘বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ- ২'র ম্যানেজার জামাল উদ্দিন বলেন, ‘‘বরফের মূল ক্রেতা চিংড়ি ও সাদা মাছের ব্যবসায়ীরা। এর বাইরে গ্রীষ্ম মৌসুমে ভ্রাম্যমাণ ও দোকানে শরবত বিক্রেতারাও কারখানা থেকে বরফ কিনে নেন। গ্রীষ্ম মৌসুমের ৬ মাস চাহিদা থাকে এবং কিছুটা লাভের মুখ দেখা যায়। তবে শীত মৌসুমের ছয় মাস বরফের চাহিদা কম থাকে। তখন কারখানা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলসহ শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ও মজুরি দিয়ে লোকসান গুণতে হয়।’’

জামাল উদ্দিন স্বীকার করেন কারখানায় নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকলেও তা এড়াতে কোন সরঞ্জাম নেই। তবে অপারেটরদের অ্যামোনিয়া গ্যাসের ঝুঁকি প্রতিরোধে মাক্স সরবরাহ করা হয়।

‘বেঙ্গল আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ-১'র মালিকপক্ষের প্রতিনিধি রিয়াদ-উল-জান্নাত সৈকত বলেন, ‘‘ব্যবসা খুব ভালো যাচ্ছে না। কখনো লাভ, কখনো লোকসান এভাবেই চলছে। গত বছর কারখানা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য খরচ বাবদ ৯ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।’’

তবে লাভ হলে শ্রমিক কর্মচারীদের মজুরি ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিষয়ে শ্রমিকদের সংগঠন রূপসা বেড়িবাঁধ হ্যান্ডলিং শ্রমজীবী ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিপন শেখ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘‘নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি বরফকলের ৪০ জন শ্রমিক তাদের ইউনিয়নের সদস্য। বিগত দেড় বছর আগে মজুরির সমস্যা নিয়ে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে দুই একজন শ্রমিক অভিযোগ করলে ইউনিয়নের মাধ্যমে সেটির সমাধান করে দেন তারা। কিন্তু বর্তমানে অভিযোগ নিয়ে কেউ আসে না।’’

বরফকলের শ্রমিকদের নিয়ে তারা মে দিবসের কর্মসূচি পালন করেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তারা//

সম্পর্কিত নিবন্ধ