ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কাম্য নয়
Published: 8th, March 2025 GMT
বছর ঘুরে আরেকটি পবিত্র ঈদুল ফিতর আসন্ন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে কয়েক দিনের জন্য মানুষ ঘরে ফিরে যান। বড় শহরগুলো অনেকটা ফাঁকা থাকে সে কয় দিন। এই ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে ট্রেনের ওপরে। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবার বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা অর্ধেক কমানো হয়েছে। ফলে এবারের ঈদযাত্রায় মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি দুঃখজনক।
রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানো হয়েছিল। কিন্তু এবার চলবে মাত্র ১০টি ট্রেন। এর মধ্যে একটি রুটে বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা কমানো হয়েছে এবং চারটি রুটে কোনো বিশেষ ট্রেন দেওয়া হচ্ছে না। চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে বেশি চাহিদা থাকলেও দুই জোড়ার পরিবর্তে এক জোড়া ট্রেন চলবে। গত বছর চলাচল করলেও এবার পার্বতীপুর-দিনাজপুর রুট, ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর রুট, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুট এবং চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে কোনো বিশেষ ট্রেন চলবে না।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের বক্তব্য, ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের পাশাপাশি চাহিদাও কমেছে বিশেষ ট্রেনের। তাই বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা কমানো হয়েছে। ট্রেন কমলেও যাত্রীদের সমস্যা হবে না।
ইঞ্জিন ও কোচ–সংকটের যুক্তি না হয় মানা যায়, কিন্তু চাহিদা কমার বিষয়টি কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়। তা ছাড়া ট্রেন কমলেও যাত্রীদের সমস্যা হবে না, এমন ধারণা অপরিণামদর্শিতা ছাড়া কিছুই নয়। রেলওয়ে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমন বক্তব্য কোনোভাবে আশা করা যায় না। ট্রেনের বাড়তি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করার পরও সড়কে ও নৌপথে কী পরিমাণ ভিড় ও ভোগান্তি হয়, তা তো তঁাদের না জানার কথা নয়।
দেশের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে মানুষ সড়কপথের পরিবর্তে ট্রেনে করে ভ্রমণে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। আবার ঈদের সময় সড়কপথে বাড়তি ভাতা ও যানজট নিয়ে অব্যবস্থাপনা তৈরি হয়। পাশাপাশি ঈদযাত্রায় সড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে বেশি। এ জন্য নিরাপদে বাড়ি ফিরতে ট্রেন বেছে নেন যাত্রীরা। ফলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যে সময় বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিত, সেখানে কমানোর ঘটনা জন-আকাঙ্ক্ষার বিপরীত। রেলের উচিত হবে আগের মতো বিশেষ ট্রেন চালু রাখা।
ইঞ্জিন ও কোচ–সংকটের বিষয়টি নতুন নয়। বিগত সরকার রেলওয়েতে অসংখ্য অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন করলেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর দিকে নজর দেয়নি। আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ সংকট নিরসন করবে। তবে আসন্ন ঈদ সামনে রেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করবে। কীভাবে বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো যায়, সে প্রচেষ্টা চালাবে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রেল উপদেষ্টা ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রতি আস্থা রাখতে চাই।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার শ্রমিক সমাবেশে সজল- সাহেদের নেতৃত্বে মহানগর যুবদলের অংশগ্রহণ
১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ঢাকা নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের শ্রমিক সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে মহানগর মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল শোডাউন করে অংশগ্রহন করেছে ।
বৃহস্পতিবার (১ মে ) দুপুর দুইটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় এ কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম,ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, মোঃ আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, এরশাদ আলী, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড. শাহিন খান, কাজী নাইসুল ইসলাম সাদ্দাম, আলী হোসেন সৌরভ, বাদশা মিয়া, মাসুদ রানা, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, রিয়াজুল আলম ইমন, জুনায়েদ মোল্লা জনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ কাদির, আশরাফুল হক তান্না, জাহিদুল হাসান শুভ, মাহফুজুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ ।
এছাড়াও মহানগর যুবদলের আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর,সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর থানারষ ও উপজেলা বিভিন্ন ওয়ার্ডের যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।