ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোবরোপিলিয়া ও খারকিভ অঞ্চলে রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও ৩৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের দোবরোপিলিয়াতেই পাঁচ ৭ শিশুসহ ১১ জন নিহত হন; আহত হন ৩০ জন।
শুক্রবার রাতভর রুশ বাহিনীর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, একাধিক রকেট ও ড্রোন হামলায় শহরটির আটটি বহুতল ভবনেরও ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার টেলিগ্রামে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আগুন নেভানোর সময় আগ্রাসনকারীরা ফের হামলা চালালে দমকলের ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ছবিতে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে আগুন জ্বলতে এবং জঞ্জাল সরাতে উদ্ধারকর্মীদের কাজ করতে দেখা গেছে। মন্ত্রণালয় বলছে, এসব হামলা দেখাচ্ছে রাশিয়ার লক্ষ্য বদলায়নি। সূত্র: রয়টার্স
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউক র ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘জনপদের বর্ষবরণ ১৪৩২’
কক্সবাজার জেলার লোকসংগীত শিল্পী বুলবুল আক্তার। এই শিল্পী নিজের মধ্যে ধারণ করেছেন চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারের নিজস্ব ভাষা, সুর ও সংস্কৃতি। কালো বোরকার ফ্যাশনে সাধারণ ও সরল চেহারার এই শিল্পীর দরদি কণ্ঠে ফুটে ওঠে প্রেম, বিরহ, সমাজ ও প্রান্তিক জীবনের গল্প। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি গেয়েছেন ‘মধু হইহই বিষ খাওয়াইলা’ ও ‘হালাসান গলার মালা’।
রসিক আড্ডার আয়োজনে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফোকলোর অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় আয়োজিত হয় জনপদের বর্ষবরণ ১৪৩২। দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মাঠে এই আয়োজন চলে। দুপুরে বৃষ্টি এলে ভিজে বৃষ্টিবিলাসে মেতে ওঠেন আয়োজক এবং অনুষ্ঠান দেখতে আসা অনেকে।
অনুষ্ঠানে মঞ্চে ছিল বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া। দূর থেকে মঞ্চে তাকালে বাঙালির ঐতিহ্যই চোখে ভেসে ওঠে। মঞ্চ তৈরি করা হয় প্রতীকী গ্রামবাংলার দৃশ্য কলাগাছ ও খড়ের ঘর দিয়ে। তা ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপদের বর্ষবরণকে ফুটিয়ে তুলতে এই আয়োজনে ছিল ধামাইল নাচ, চাকমা, মারমা ও খুমি জনগোষ্ঠীর নৃত্য ও আধুনিক নৃত্য। ব্যান্ডের মধ্যে ছিল ফিরোজ জঙ, আপনঘর, Sacrament-গারো ব্যান্ড, ব্যান্ড লাউ।
এই আয়োজনে গ্রামীণমেলায় ছিল নাগরদোলা, বানরখেলা, রণপা, বায়োস্কোপ ও পুতুলনাচ। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপদের খাবার ও পোশাকের স্টল ছিল।
আয়োজকদের একজন নাহিয়ান ফারুক বলেন, রসিক আড্ডা বাংলাদেশের সংস্কৃতি পাঠ ও তা চর্চা করে। রসিক আড্ডার তিনটি ম্যাগাজিন রণপা, কলন্দর ও সিনেযোগ বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতি–নির্ভর আলোচনা করে এবং তা জনপরিসরে ফুটিয়ে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় এই আয়োজন করা হয়েছে।