ইউক্রেন যুদ্ধ: সৌদিতে শান্তি আলোচনার আগে কী ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউরোপ
Published: 9th, March 2025 GMT
বিশ্বরাজনীতি আরেকটি টালমাটাল সপ্তাহ পার করছে। এর আগে হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগ্বিতণ্ডা দেখেছে বিশ্ববাসী। এরপর জেলেনস্কি ইউরোপ সফরে গিয়ে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে বসেছেন। সম্মেলেনে যোগ দিয়েছেন।
ইউরোপের দেশগুলো এখন নিজেদের নিরাপত্তা জোরদার করার ভাবনা বাস্তবায়নে তৎপর। অন্যদিকে ইউক্রেনে নতুন করে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আরেকটি উদ্যোগের দিকে এখন সবার নজর। সেটি হলো, আগামী সপ্তাহে সৌদি আরবে বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের শান্তি আলোচকেরা।
এই বৈঠকের আগে সংশ্লিষ্ট বড় পক্ষগুলো কী ভাবছে? আসুন, জেনে নিই। বিবিসির চারজন সাংবাদিক গত কয়েক সপ্তাহের ঘটনাবলি বিশ্লেষণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প মস্কোর সঙ্গে জোট বেঁধেছেন বলে বিরোধীদের মত
টম বেটম্যান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদদাতা, ওয়াশিংটন ডিসি
ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জেডি ভ্যান্সের অবমাননাকর আক্রমণের পর গত সোমবার ওয়াশিংটন ইউক্রেনের সঙ্গে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় বন্ধ করে দিয়েছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনের আত্মরক্ষার সক্ষমতায় এটা বেশ প্রভাব ফেলবে। ট্রাম্পের ডেমোক্রেটিক বিরোধীরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে রাশিয়ার সঙ্গে জোট বেঁধেছেন, সেটা নিয়ে এখন আর প্রশ্ন রইল না।
মার্কিন প্রশাসন স্পষ্টভাবে বলেছে, এসব কর্মকাণ্ডকে বিরল খনিজ সম্পদ নিয়ে চুক্তিতে সই করা এবং দ্রুত যুদ্ধবিরতি নিয়ে সম্মত হতে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ওপর চাপ প্রয়োগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুনরাশিয়ার চেয়ে ইউক্রেনকে সামলানো বেশি কঠিন হচ্ছে: ট্রাম্প০৮ মার্চ ২০২৫ট্রাম্পের দূত জেনারেল কিথ কেলগ মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধের বিষয়টিকে লাঠি দিয়ে ‘খচ্চরের মুখের ওপর আঘাত করার’ মতো ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আপনি তাদের মনোযোগ কেড়েছেন। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ.
এত কিছুর পরও ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতি–বিষয়ক শীর্ষ দলের কয়েকজন সদস্যের সমঝোতামূলক কথাবার্তার মধ্য দিয়ে সপ্তাহটি শেষ হচ্ছে। তাঁরাই সৌদি আরবে আগামী সপ্তাহে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
এরই মধ্যে গত শুক্রবার মস্কোর সমালোচনা করেন ট্রাম্প। এটা বেশ বিরল একটি ঘটনা। ট্রাম্পকে সচরাচর রাশিয়ার সমালোচনা করতে দেখা যায় না। ট্রাম্প রাশিয়ার ওপর আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা এবং রুশ পণ্যে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর নির্বিচার বোমা হামলা বন্ধ করতে এমন হুমকি দেন ট্রাম্প।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির (বাঁয়ে) সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন র ইউর প র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।