এই শতকের তো বটেই, সর্বকালের সেরা কোচের তালিকাতেও বেশ ওপরের দিকে থাকবে পেপ গার্দিওলার নাম। অনেকের কাছে আধুনিক ফুটবলের কোচিংয়ে গার্দিওলাই শেষ কথা। প্রায় দেড় দশক ধরে কৌশলগত দিক থেকে রাজত্ব করছেন গার্দিওলা।

চলতি মৌসুমের বিপর্যয় বাদ দিলে প্রায় প্রতি মৌসুমেই সমানভাবে সাফল্য পেয়েছেন স্প্যানিশ এই কোচ। কিন্তু এমন সাফল্যের পরও কেউ কেউ আছেন, যাঁরা গার্দিওলাকে ফুটবলের জন্য ক্ষতিকর মনে করেন। আর এই তালিকায় যাঁরা আছেন, তাঁদের একজন সাবেক তারকা কোচ ফাবিও কাপেলো।

কোচ হিসেবে দারুণ সফল কাপেলো কোচিং ক্যারিয়ারে এসি মিলান, জুভেন্টাস ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবের দায়িত্ব সামলেছেন। জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগসহ একাধিক লিগ শিরোপাও। ইতালিয়ান এই কোচের অধীনে খেলেছেন জিনেদিন জিদান, রোনালদো নাজারিও, লুইস ফিগো, রবার্তো কার্লোস, গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা ও পাওলো মালিদিনির মতো তারকারা।

আরও পড়ুন‘কিছুই চিরস্থায়ী নয়’—বাজে সময়ে গার্দিওলা যেন দার্শনিক২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এমনকি যে গার্দিওলাকে নিয়ে কথা বলেছেন, তাঁকেও এএস রোমায় সামলেছেন কাপেলো। যদিও দুজনের মধ্যে মতের মিল ছিল সামান্য, যা নিয়ে সে সময় বিরোধও হয়েছিল তাঁদের।

নিজের শিষ্যকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কাপেলো বলেছেন, গার্দিওলা ফুটবলের অনেক ক্ষতি করেছেন। পাশাপাশি অবশ্য ফুটবলে কাপেলো যে তিনটি বিপ্লবের সাক্ষী হয়েছেন, সেখানে গার্দিওলার বার্সেলোনাকেও রেখেছেন। বাকি দুটি হচ্ছে ইয়োহান ক্রুইফের আয়াক্স এবং আরিগো সাচ্চির এসি মিলান।

ইতালির সাবেক কোচ ফাবিও ক্যাপেলো.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

এক ঘরে দুই পীর হইতে পারে না: বদিউল আলম মজুমদার

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, একই সংসদীয় আসনে পুরুষ ও নারী—দুজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকলে সেটা কতটুকু কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দ্বৈত প্রতিনিধিত্ব হলে এর সমস্যা হইল, ওই যে আমাদের গ্রামবাংলায় যে কথা আছে, এক ঘরে দুই পীর হইতে পারে না।’

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে ‘নারীর ক্ষমতায়নে সংসদে সরাসরি ভোটে নারী প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন: প্রয়োজনীয়তা, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান যে নির্বাচনপদ্ধতি, সেখানে অনেক সংসদীয় আসনেই সংসদ সদস্যরা নারী সংসদ সদস্যদের যেতেই দেন না। তিনি বলেন, দৈত্ব প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

সংরক্ষিত নারী আসন ১০০টি করা হলে ভয়াবহ মনোনয়ন–বাণিজ্য হবে বলেও মন্তব্য করেন বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে সারা দেশে একঝাঁক নারী নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে সংরক্ষণপদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।

শামা ওবায়েদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ