দাপটের সঙ্গে অপরাজিত থেকে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছে ভারত। টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত খেলা ভারতের কাছে গতকাল ফাইনালে ৪ উইকেটে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর প্রশংসায় ভাসছে ভারত ক্রিকেট দল।

তবে প্রশংসার কারণ যে শুধু একটা টুর্নামেন্ট জয়ের নয়, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন কেউ কেউ। মূলত লম্বা সময় ধরে গড়ে তোলা ক্রিকেট-সংস্কৃতির ফলই এখন পাচ্ছে ভারত। ভারতের ক্রিকেট-সংস্কৃতিটা কেমন, সেটাই গতকাল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল শেষে কিছুটা জানালেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম।

গতকাল এক টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে আকরাম বলছেন, ভারত ক্রিকেট মঞ্চে বাকিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই পেসার মনে করেন, ‘এখন সবাইকে ভারতের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে হবে। মানসিকভাবে তারা অন্য সব দলের চেয়ে অনেক এগিয়ে। এ জন্য দলের সঙ্গে যারা জড়িত, সবাইকে কৃতিত্ব দিতে হবে, বিসিসিআইসহ সবাইকে। সেখানে যে ব্যক্তিই পদে আসুক, তারা নিজেদের প্রক্রিয়াগত জায়গায় কোনো পরিবর্তন আনে না।’

আরও পড়ুনশামির মায়ের পা ছুঁয়ে পৃথিবীকে চ্যালেঞ্জ কোহলির৯ ঘণ্টা আগে

ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) কীভাবে কাজ করে, সেটা ব্যাখ্যা করে আকরাম যোগ করেন, ‘তাদের বোর্ড থেকে যখন কোনো চেয়ারম্যান বা সচিব বিদায় নেন, তাঁরা নিশ্চয়ই সবকিছু লিখিত আকারে দিয়ে যান। বলে যান, তাঁদের হাতে কী প্রজেক্ট ছিল, কীভাবে সেসব চালাতে হবে সব। সেখানে (বোর্ডে) নিচের স্তরে কোনো পরিবর্তন আসে না। ওপরের স্তরেই শুধু বদল আসে। নিচে যারা কাজ করে, তারা তেমনই থাকে।’

পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আকর ম

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ