পেশাদার ক্রিকেট ছেড়ে কোচ হয়ে গেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে খেলোয়াড় হিসেবে এখনও কোথাও ডাক পড়লে ছুটে যান। তেমনই তার ডাক পড়েছিল ভারতের অনুষ্ঠিত এশিয়ান লিজেন্ডস টুর্নামেন্টে।

শুধু আশরাফুল নন, বাংলাদেশের আরো বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল বাংলা টাইগার্স নামের একটি দল। যেখানে ইলিয়াস সানী, রুবেল হোসেন, নাজিমউদ্দিন, নাদিফ চৌধুরী, মুক্তার আলীর মতো ক্রিকেটাররাও ছিলেন। তারা উড়ে গিয়েছিলেন ভারতের উদয়পুরে মিরাজ গ্রুপের আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে।

কিন্তু মাঠে নামার আগে তারা জানতে পারেন আইসিসি ও বিসিসিআইয়ের অনুমোদন পায়নি এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ। তাতেই বিপাকে পড়ে যান তারা। যদিও বিসিবির ভাষ্য, ক্রিকেটারদের আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু আয়োজকদের ভুল ব্যাখ্যায় তারা ভারত যেতে বাধ্য হন।

আরো পড়ুন:

শ্রীলঙ্কায় যুবাদের ছয় ওয়ানডে

পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেলে, আইপিএল খেলবেন স্যান্টনার-রাচিনরা

এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ সম্পর্কে সতর্ক করে ৩ মার্চ বিসিবিকে চিঠি দেয় আইসিসি। যেখানে লিখা হয়, এই লিগ আয়োজন নিয়ে বিসিসিআই তদারকি করছে না এবং আইসিসির স্বীকৃতিও দিচ্ছে না।  বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, আইসিসির মেইল পাওয়ার পরই ক্রিকেটারদের সতর্ক করা হয়েছিল। অথচ আয়োজকরা ভুল বুঝিয়ে ক্রিকেটারদের খেলার জন্য নিয়ে গেছে।

গতকাল মিরাজ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ইন্ডিয়ান্স রয়েলসের সঙ্গে ম্যাচ ছিল টাইগার্সের। সেই ম্যাচে মাঠে নামেননি আশরাফুল, সানীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লি থেকে রওনা হয়েছেন তারা। কয়েকজন দুয়েকদিন পর ঢাকা ফিরবেন বলে খবর। বিসিবি থেকে অনাপত্তিপত্র ছাড়া ক্রিকেটাররা ভারতের চলে যাওয়ায় প্রবল সমালোচনা হচ্ছে। ক্রিকেটারদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বর্তমানে বিসিবির অধীনে চাকরি করছেন। কেউ চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার হিসেবে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা সেই বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি।

তবে আইসিসির নির্দেশনা থাকলে বিসিবি শাস্তি গ্রহণ করবে বলেই খবর।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ