Samakal:
2025-11-03@06:14:37 GMT

ঈদের পাঞ্জাবি

Published: 11th, March 2025 GMT

ঈদের পাঞ্জাবি

যুগ যুগ ধরে ঈদের সাজগোজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং চিরায়ত যে পোশাকটি ছেলেদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, সেটি হলো পাঞ্জাবি। এ পোশাকটি ছোট-বড় সবারই পছন্দের। সময়ের পরিবর্তনে ফ্যাশনে ভিন্নতা এলেও, ঈদের পাঞ্জাবিতে  আলাদা এক আকর্ষণ থেকেই যায়।
ফ্যাশন ডিজাইনাররা বলছেন, এবার ঈদ পড়েছে গরমের মধ্যে, তাই হালকা রংগুলো প্রাধান্য পাবে। অনেকেই আছেন ঈদের নামাজ পড়ে সারাদিনই পাঞ্জাবি পরে কাটান। এ কারণে পাঞ্জাবির কাপড়ে আরাম দিতে সুতির কোনো বিকল্প নেই। গরমের এ সময় দিনের বেলায় পরার জন্য খুব বেশি জমকালো না বরং অল্প নকশাই ভালো দেখাবে।
একসময় ঈদের পাঞ্জাবি মানেই ছিল সাদা, অফ-হোয়াইট বা হালকা রঙের সুতি কাপড়ে সূচিকর্ম বা মুদ্রিত নকশার সাধারণ ডিজাইন। তবে বর্তমান ফ্যাশন ট্রেন্ডে এসেছে বৈচিত্র্য। প্রতিবছরই পাঞ্জাবির কাট, নকশা, লেন্থ, কারুকাজ পরিবর্তিত হয়। ভিন্ন ভিন্ন ম্যাটারিয়ালের পাঞ্জাবি নিয়ে আসে ফ্যাশন হাউসগুলো। নকশা ও কাটছাঁটে থাকে নানা বৈচিত্র্য।
বাজার ঘুরে দেখা যায় কাতান, সিল্ক, লিনেন বা জামদানি প্যাটার্নের পাঞ্জাবি এখন দারুণ জনপ্রিয়। এ ছাড়া কুর্তা স্টাইল, চায়নিজ কলার, স্ট্যান্ড কলার, এমনকি ডিজিটাল প্রিন্টের পাঞ্জাবিও জায়গা করে নিয়েছে তরুণদের পছন্দের তালিকায়।
ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপারমার্কেটের ফ্যাশন হাউসগুলোয় দেখা যায় বাহারি ডিজাইন ও রঙের পাঞ্জাবির সমাহার, যা সহজেই ক্রেতাকে আকর্ষণ করছে। রাজধানীর অভিজাত ফ্যাশন হাউসগুলো থেকে এখানে অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী দাম যেমন– ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে ক্রেতা পেয়ে যাচ্ছেন তাদের পছন্দের পাঞ্জাবি। 
ফ্যাশন হাউস ‘সেইলর’-এর ডেপুটি ম্যানেজার রাজীব কুমার ভাওয়াল জানান, ‘আমাদের পাঞ্জাবিতে বেশির ভাগই জ্যামিতিক এবং ফার্সি-অনুপ্রাণিত নকশা করা হয়েছে; যার মধ্যে রয়েছে সূক্ষ্ম পিন-টাক ডিটেইলিং, পরিশীলিত পকেট নকশা এবং সংযুক্ত ভেস্টসহ স্টাইলিশ পাঞ্জাবি। স্বতন্ত্র নাবিক ক্যালিগ্রাফি দিয়ে খোদাই করা প্রিমিয়াম ধাতব বোতামগুলো সমাপ্তি স্পর্শ প্রদান করে।’
তিনি আরও জানান, ‘স্পটলাইট সংগ্রহে রয়েছে বিলাসবহুল সুতির লিনেন, সিল্ক কাপড়। এতে সূক্ষ্ম সূচিকর্মের মাধ্যমে পোশাকের উৎকর্ষের প্রতীক প্রদর্শন করে ।’
‘লা রিভ’-এর ডিজাইনার ইশা জাবিন জানান, এবার ঈদে ‘মুভমেন্ট’ থিম নিয়ে তারা কাজ করছেন। ফেব্রিকের ক্ষেত্রে কটন, সিল্ক, জ্যাকার্ড, কিছু শাইনি ব্লেন্ডেড ফেব্রিক প্রাধান্য পেয়েছে। আরামের কথা ভেবে কটন কাপড়েই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। 
মোটিফের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘মরক্কোর বিভিন্ন বিখ্যাত স্থাপত্য থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে। রঙের ক্ষেত্রে আর্দি টোন, টেরাকোটা কালার, গ্রিন, গ্রে ব্রাউন, কুল ব্লু, বাউন্সি মিন্ট, পার্পেল টনিক, ব্ল্যাক ইত্যাদি গুরুত্ব পেয়েছে।’ 
তিনি আরও বলেন, পাঞ্জাবিতে প্লিট ওয়ার্ক, প্লিট উইথ জারদৌসি, জারদৌসি, কারচুপি, ডিজিটাল এমব্রয়ডারি, প্রিন্ট করা হয়েছে।
ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মতো এবারও ফ্যাশন হাউস ‘কে ক্র্যাফট’ নিয়ে এসেছে বাহারি সব পাঞ্জাবির কালেকশন। তাদের সংগ্রহে রয়েছে রেগুলার, কাটবেইজড ও ফিটেড পাঞ্জাবি। ঢাকার অন্যতম বড় পাঞ্জাবির বাজার পীর ইয়ামেনি মার্কেট। এ ছাড়া রয়েছে মালিবাগ, মৌচাক, সদরঘাট, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, গুলিস্তানসহ নানা ব্র্যান্ডের ফ্যাশন হাউসগুলোর শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে পাঞ্জাবি। v
মডেল: রাতুল; পোশাক: গ্রামীণ চেক; ছবি: কাব্য

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পছন দ র ড জ ইন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে বইমেলায় বিক্রি কম, এখনো আশায় আছেন প্রকাশকেরা

রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলার প্রথম তিন দিনে লোকজনের ভিড় থাকলেও বেচাকেনা তেমন হয়নি। এতে অনেক প্রকাশকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তবে আগামী কয়েক দিনে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশা করছেন প্রকাশকেরা ও আয়োজক কর্তৃপক্ষ।

গত শুক্রবার রাজশাহী জেলা কালেক্টরেট মাঠে ৯ দিনব্যাপী এই বইমেলার উদ্বোধন করা হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে এবং রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ মেলা চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। মেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৭০টি বেসরকারি প্রকাশনাসহ মোট ৮১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে মেলা চলছে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর ছুটির দিনে মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায়।

উদ্বোধনের আগের দিন বৃষ্টিতে মেলার মাঠ কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। সেই কর্দমাক্ত পরিবেশেই মেলার উদ্বোধন হয়। দর্শনার্থীদের ভোগান্তি কমাতে পরে প্রতিটি স্টলের সামনে ইট বিছিয়ে দেওয়া হয়। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও বিক্রির খরা কাটেনি বলে জানালেন বিক্রেতারা।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের বিভিন্ন অংশে তখনো পানি জমে আছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত মঞ্চের সামনের প্যান্ডেলেও কাদা। সেখানেই কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে আলোচনা চলছিল, তবে দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতি ছিল নগণ্য। স্টলের সামনে ইটের সলিংয়ের তৈরি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন অনেকে। অনেকে বই দেখছেন।

সূর্যোদয় প্রকাশনীর বিক্রেতা রিপন আলী বলেন, প্রথম দিন তো কাদাপানির মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তখনো মানুষ ছিলেন। এখন ইট বিছানোর পর আরও বেশি মানুষ আসছেন, ভিড়ও করছেন, কিন্তু বই কিনছেন খুব কম।

ঐতিহ্য প্রকাশনীর স্টলে কাদার ওপর চেয়ার পেতে বসে থাকতে দেখা গেল বিক্রয়কর্মী ও চিত্রশিল্পী অর্ণব পাল সন্তুকে। তিনি বলেন, মানুষ আসছেন, ঘুরে দেখছেন, কিন্তু বিক্রি নেই বললেই চলে। মেলার ব্যবস্থাপনা আরও ভালো হতে পারত। আরেক বিক্রেতা আবদুল্লাহ হীল বাকি জানালেন, এমনও স্টল আছে, যেখানে সারা দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বইও বিক্রি হচ্ছে না।

তবে হতাশার ভিড়ে আশার কথাও শোনালেন কেউ কেউ। চট্টগ্রাম থেকে আসা নন্দন বইঘর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সুব্রত কান্তি চৌধুরী বলেন, বেচাবিক্রি আজ না হোক কাল হবে। মানুষ যে মেলায় এসে বই হাতে নিয়ে দেখছেন, এটাই বড় পাওয়া। এতে তাঁদের মধ্যে বই কেনার আগ্রহ তৈরি হবে।

মেলায় আসা পাঠকদের মধ্যে অবশ্য ভিন্ন চিত্র। দুই সন্তানের জন্য শিশুতোষ বই কিনে এক অভিভাবক বলেন, বাচ্চাদের হাতে বই তুলে দেওয়ার আনন্দটাই অন্য রকম।
মেলা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও তারাশঙ্কর বন্দ্যোপ্যাধ্যায়ের বই কিনেছেন মনির হোসেন। তিনি বলেন, মেলায় একসঙ্গে অনেক বই পাওয়া যায়, যা বই কেনার জন্য দারুণ সুযোগ।

রাজশাহী কালেক্টরেট মাঠে বইমেলা উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভা। গতকাল রোববার সন্ধ্যায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ