আগামী ২০ মার্চের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (ডাকসু) রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। এছাড়াও এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে তপশিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। নির্ধারিত সময়ে রোডম্যাপ ঘোষণা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। 

মঙ্গলবার বিকেলে ডাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরেন ছাত্রসংসদের নেতার। এরপর তারা উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে স্মারকলিপি দেন। ২০১৯ সালের এই দিনে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, জুলাই পরবর্তী প্রেক্ষাপটে ডাকসুর জন্য ছাত্র সমাজের দাবি জোরালো হয়। কিন্তু হতাশার বিষয় অভ্যুত্থানের ৭ মাস পার হলেও ডাকসুর দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রাখতে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখতে ডাকসু নির্বাচনে দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আমরা ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলে আসছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ নিয়ে গড়িমসি দেখছি। কখনো জানুয়ারি আবার ফেব্রুয়ারিতে ডাকসু নির্বাচনের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করা হয়নি।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করে বাকের বলেন, চার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর সহাবস্থান রয়েছে। এখনই ছাত্রসংসদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার সময়। তিনি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরের ছয়টি আসনের ৪টিতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা

গাজীপুরের ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, গাজীপুর-১ ও গাজীপুর-৬ আসনের প্রার্থীদের নাম পরে জানানো হবে। 

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা হয়নি ঢাকা-২০ আসনে, অপেক্ষায় ৪ নেতা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিজ্ঞদের ওপর আস্থা রাখল বিএনপি

গাজীপুর-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক এম এ মান্নানের ছেলে এম. মঞ্জুরুল করিম রনি। গাজীপুর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। গাজীপুর-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান এবং গাজীপুর-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম ফজলুল হক মিলন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “যেসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এছাড়া, শরিক দলের জন্য কিছু আসন খালি রাখা হয়েছে।”

এর আগে, দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী সেই বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তকরণ এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণ করা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে আনুষ্ঠানিক তফসিল।

এদিকে প্রার্থী ঘোষণার খবর পেয়ে গাজীপুর মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন। তবে গাজীপুর-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম ফজলুল হক মিলন তানিয়া দলীয় নেতাকর্মীদের আনন্দ মিছিল করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন।

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ