শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর ফুল কুড়াতে শিশু ধর্ষণ: আত্মসমর্পণ করলেন সেই সার্ভেয়ার
Published: 13th, March 2025 GMT
রংপুরের মিঠাপুকুরে বহুল আলোচিত ২১ ফেব্রয়ারি শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর ফুল কুড়াতে গিয়ে শিশুর ধর্ষণকারী সার্ভেয়ার রুহুল আমিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রংপুরে মিঠাপুকুর আমলি আদালতের-৩ বিচারক কৃষ্ণ কমলের আদালতে তিনি গোপনে আত্মসমর্পণ করেন।
এর আগে গত বুধবার ধর্ষকের ভাই নুরুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধ জানাতে শহীদ মিনারে দেওয়ার জন্য ফুল সংগহ করতে পাশের বাড়িতে গিয়েছিল শিশুটি। ওই সময় বাড়িতে সার্ভেয়ার রুহুল আমিন একাই ছিলেন। তিনি শিশুটিকে কৌশলে ঘরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ফজরের নামাজের সময় মুসল্লিরা ঘটনাস্থলে আসলে তিনি পালিয়ে যান। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা তুলে নিতে ধর্ষকের পরিবার শিশুটির পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে সে টাঙ্গাইলে আত্মগোপনে ছিল। পরে আজ ভোরে বাসযোগে রংপরে এসে পৌঁছান। জনরোষ থেকে বাঁচতে আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল আম ন
এছাড়াও পড়ুন:
আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন
আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন ইসলাম। এই মামলায় ১৭ বছর আগে তাঁর জেল-জরিমানা হয়।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ আজ মঙ্গলবার সকালে শাহরিন ইসলাম আত্মসমর্পণ করেন, জামিনের আবেদন জানান।
প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহরিন ইসলামের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন ও শেখ সাকিল আহমেদ রিপন।
আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, শাহরিন ইসলাম অসুস্থ। তিনি নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৭ বছর আগে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য আয়কর অধ্যাদেশের মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। আজ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান।
আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী, ৮১ লাখ টাকা আয়কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে শাহরিন ইসলামকে আট বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ৯২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জামিনের আবেদনে শাহরিন ইসলাম উল্লেখ করেছেন, তিনি ১৯৯৮-১৯৯৯ কর বছর থেকে ২০০৬-২০০৭ কর বছর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। তিনি সেখানে তাঁর সব সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেছেন। বিচারিক আদালত থেকে তিনি ন্যায়বিচার পাননি।