ধর্ষণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি-নারীবিদ্বেষী প্রচারণা বন্ধের দাবি সিপিবির
Published: 15th, March 2025 GMT
বিচারহীনতার কারণেই দেশে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটছে। এসব ধর্ষণ-হত্যা বন্ধের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। পাশাপাশি এসব ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নারীবিদ্বেষী প্রচারণা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
শনিবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) শোক দিবস উপলক্ষে কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ থেকে এসব কথা বলা হয়।
মাগুরায় পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে শিশুর মৃত্যুসহ নারী ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতনের প্রতিবাদে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তি ভবন থেকে শোকমিছিল শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শেষ হয় এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশে জেলা ও উপজেলা কার্যালয়েও কালো পতাকা উত্তোলন ও সমাবেশ করে সিপিবি।
সমাবেশে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লড়াই শেষ হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত নারী-শিশুসহ দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হবে, ততক্ষণ এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
এ সময় তিনি মাগুরায় শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নারীবিদ্বেষী প্রচারণা বন্ধ করার দাবি করেন।
শাহ আলম বলেন, দেশের সব গণতান্ত্রিক লড়াই-সংগ্রামে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও অতীতের সরকারের মতো বর্তমান সরকারের সময়েও নারী-শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন অব্যাহত আছে।
সমাবেশে সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দ্রুত সব ধর্ষণ, হত্যার বিচারকাজ সম্পন্ন করতে হবে। বিচারহীনতার কারণেই এসব ঘটনা বেড়েই চলেছে। এসব ধর্ষণ-হত্যা বন্ধে দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকেই।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী, সিপিবির সম্পাদক লুনা নূর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবির সম্পাদক সাজেদুল হক রুবেল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপাচার্যের কাউন্সিল কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান তফসিল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ মে খসড়া ভোটার তালিকা ও খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। ২১ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি ও মতামত গ্রহণ করা হবে। ৩০ জুন চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা ও চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক প্রার্থীগণ ১ থেকে ৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। ১ থেকে ৭ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীগণ। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ জুলাই।
মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ করা হবে ১১ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আপিলের শুনানি গ্রহণ ও রায় ঘোষণা করা হবে ১৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৪ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৫ জুলাই। ১৬ থেকে ২৮ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে নির্বাচনী প্রচারণা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ জুলাই।
১৯৯২ সালে সর্বশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ ৩২ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের জাকসু নির্বাচন।
ঢাকা/আহসান/রাজীব