আগামী রবিবারের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস পেয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী (টিএলআর) শ্রমিকরা।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী (টিএলআর) কর্মচারীদের পক্ষ থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম আন্দোলনরত টিএলআর শ্রমিকদের বকেয়া বেতন আগামী রবিবারের (২৩ মার্চ) মধ্যে পরিশোধের আশ্বাস দেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন, ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম (আইবাস) সংক্রান্ত জটিলতার কারণে রেলওয়ের টিএলআর শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সমস্যা ছিল। সে সমস্যা সমাধানে অর্থ বিভাগ ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম চলছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী রবিবারের মধ্যে টিএলআর শ্রমিকদের বকেয়া বেতন তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।

আগামী এপ্রিল মাস থেকে তাদের বেতন প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। তার এ আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে টিএলআর শ্রমিকরা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে, রবিবারের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা না হলে তারা পুনরায় আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন।

প্রেস ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো.

আফজাল হোসেনসহ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও টিএলআর শ্রমকদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  

ঢাকা/হাসান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রব ব র র র লওয় র পর শ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

রুয়া নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা, প্রতিবাদে উপাচার্য বাসভবন ঘেরাও

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আগামী ১০ মে। তবে নির্বাচন স্থগিত করেছে অ্যাডহক কমিটি। এর প্রতিবাদে উপাচার্য বাসভবন ঘেরাও করে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের একাংশ।

বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে বর্তমান শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

এ সময় ‘সিন্ডিকেট না রুয়া? রুয়া রুয়া’,‘অ্যাডহক না নির্বাচন? নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিলেকশন না ইলেকশন? ইলেকশন ইলেকশন’, ‘রাকসু নিয়ে তালবাহানা, চলবে নারে চলবে না’, ‘রুয়া কি তোর বাপের রে, প্রশাসন জবাব দে’, ‘রুয়া কেন স্থগিত? প্রশাসন জবাব চাই’ এসব স্লোগান দেন তারা।

আরো পড়ুন:

রাবি রেজিস্ট্রারের বাসভবনে ককটেল বিস্ফোরণ; শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রুয়া-রাকসুসহ সব নির্বাচন যথাসময়ে নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ

রুয়া নির্বাচনের সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী এমাজ উদ্দিন মণ্ডল বলেন, “আমাদের আজকের এ কর্মসূচি হলো ১০ তারিখ রুয়া নির্বাচন স্থগিত করার প্রতিবাদে। এক কুচক্রি মহল যারা রুয়া নির্বাচনকে বন্ধ করার জন্য পাঁয়তারা করছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের বাসার সামনে ককটেল ফাটিয়ে রুয়া নির্বাচনকে বন্ধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। ১০ তারিখের নির্বাচন ১০ তারিখেই দিতে হবে, এজন্য আমরা এখানে অবস্থান করছি এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা না আসবে ততক্ষণ এ অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে।”

রুয়ার সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী কেরামত আলী বলেন, “যারা রুয়ার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করবে তারা কেন নির্বাচনের দায়িত্ব দিলেন? যে ভুল তারা করেছে আমরা তা মেনে নিতে পারি না। যেকোনো উপায়ে আপনারা নির্বাচন দিবেন। দরকারে সৎ সাহস ধারি নতুন কমিশন গঠনের মাধ্যমে ও তাদের পিছু না হটার শপথ করিয়ে নির্বাচন দিবেন। "রুয়া’ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি পূরণের জন্য নির্বাচন দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনো কুচক্রি মহলের কাছে আপনি হাত মেলালেন আমি জানি না।  নির্বাচন তারা করবে না আপনার মাধ্যমে তারা নির্বাচন স্থগিত করলো। এখানে দলমত নাই আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সুন্দরভাবে সাজানোর দায়িত্ব নিতে চাই। তাই যথাসময়ে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

রাবি শাখার ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “রুয়ার নির্বাচন স্থগিত করার বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের সাবেক শিক্ষার্থী, বর্তমান শিক্ষার্থী সবাই মনক্ষুণ্ন হয়েছে। যে প্রশাসন রুয়া বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা রাখে না সেই প্রশাসন রাকসু কিভাবে বাস্তবায়ন করবে? আমরা এজন্য ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছি এবং ১০ তারিখের রুয়া নির্বাচন যেন ১০ তারিখেই হয় সেটা নিশ্চিত করে আমরা এখান থেকে যাব।”

এর আগে সকালে রুয়ার পদপ্রার্থীরা দুই দফায় অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক বরাবর স্মারকলিপি দেন নির্বাচন বন্ধ না করার দাবিতে। অন্যদিকে বিএনপি পদপ্রার্থীরা নির্বাচন বর্জন করেন।

ঢাকা/ফাহিম/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ