সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি এ অঞ্চলের মডেল হতে পারে: মাহফুজ আলম
Published: 18th, March 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি এ অঞ্চলের জন্য একটি মডেল হতে পারে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে মাহফুজ আলম এ বলেন।
পোস্টে মাহফুজ আলম আরও লেখেন: এ অঞ্চলে ইসলামবিদ্বেষসহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার উত্থান দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশের জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, ঘৃণা এবং মুসলমানদের প্রতি, বিশেষ মুসলিম নারী-শিশুদের প্রতি ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব পুরো অঞ্চলের সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করবে।
জুলাই-পরবর্তী বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা সহিংসতার ঘটনাগুলোর খবরের সত্যতা যাচাই করেছি। এবং প্রায় সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছি। যা-ই হোক, বেশির ভাগ সহিংসতা সাম্প্রদায়িক কারণ নয়, বরং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে সংঘটিত হয়েছিল।
যখন সাম্প্রদায়িক ঘৃণা, সহিংসতা ও ইসলামবিদ্বেষ রাষ্ট্রীয় মদদ, গণমাধ্যমের উসকানি ও মব-চালিত হয়ে ওঠে, তখন তা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। একটি রাষ্ট্র তার নিজের নাগরিক ও মুসলিমদের সীমান্তের ওপারের ইসলামবিদ্বেষী দৃষ্টিকোণ (লেন্স) থেকে দেখতে পারে না।
বাংলাদেশের একটি নতুন পথের প্রয়োজন। আমাদের নিজেদের গঙ্গার উত্তর-পশ্চিমের ওপরের অংশে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত নয়। বরং আমাদের বঙ্গোপসাগর ও ভাটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দিকেও নজর দেওয়া উচিত। বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে একটি নতুন বন্দোবস্ত গড়ে ওঠা উচিত।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, যেমনটা দারা শিকো, রাজা রামমোহন রায় ও কাজী নজরুল ইসলাম কল্পনা করেছিলেন, তা অবশ্যই জয়ী হবে। যেকোনো ধর্মের নামে চরমপন্থা ও ইসলামবিদ্বেষ এ অঞ্চলের সব সম্প্রদায়ের প্রত্যাখ্যান করা উচিত।
এ অঞ্চলের সব ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও জাতিগত সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, সম্প্রীতি ও সহযোগিতার মধ্যে স্থিতিশীলতা নিহিত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
‘বিএনপির কথা শুনবে, না হয় ইউএনওগিরি-ওসিগিরি ছেড়ে চলে যেতে হবে’
‘ঐক্যবদ্ধ হলে প্রশাসন বাধ্য হবে বিএনপির কথা শুনতে। হয় বিএনপির কথা শুনবে, না হয় এখান থেকে ইএনওগিরি-ওসিগিরি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। তাদের আর সুযোগ দেওয়া যাবে না, অনেক সুযোগ দিয়েছি। এখন আর সুযোগ দেওয়ার সময় নেই। এখন আমাদের দাবি আমাদের আদায় করে নিতে হবে।’
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিচ মিয়ার এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, ইদ্রিচ মিয়ার পেছনে ঈদ পুনর্মিলনীর ব্যানার টাঙানো। সাতকানিয়া সাংগঠনিক ইউনিট বিএনপি লেখা রয়েছে ব্যানারে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সব সাংগঠনিক ইউনিটের যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় একটি কমিউনিটি হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইদ্রিচ মিয়া।
জানতে চাইলে ইদ্রিচ মিয়া বলেন, ইউএনও-ওসিকে নিয়ে এ ধরনের কোনো বক্তব্য তিনি কোথাও দেননি। তাঁকে হেয় করার উদ্দেশ্যে ভিডিওটি বানানো হয়েছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় মো. ইদ্রিস মিয়াকে। পরে গত ৬ মে ৫৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ইদ্রিস মিয়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন।