রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু, এলডিপির সঙ্গে বৈঠক
Published: 20th, March 2025 GMT
সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার এই কমিশন জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে আলোচনা করে।
বেলা তিনটায় এ আলোচনার শুরুতে এলডিপির প্রধান অলি আহমদ বলেন, কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ১৬৬টি প্রশ্নমালার যে স্প্রেডশিট পাঠিয়েছে, তার মধ্যে এলডিপি ১২০টিতে একমত পোষণ করেছে। বাকি ৪২টিতে একমত নয়, ২টিতে আংশিকভাবে একমত এবং ২টি অস্পষ্ট বলে মনে করে এলডিপি।
অলি আহমদ বলেন, সবগুলো সুপারিশের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ ছিল দুর্বল। তারা অতীতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সংলাপ করেছিল, তার কাগজ সংগ্রহ করা উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘আপনি যত কিছুই করেন না কেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারবেন না, যদি না দুইজন লোক কাজ করে; একজন ওসি, আরেকজন হলেন ইউএনও।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। কমিশনের সদস্য সফররাজ হোসেন, এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার আলোচনায় উপস্থিত আছেন।
অলি আহমদের নেতৃত্বে এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমদসহ আট সদস্যের প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশ নেয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি করে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি ওঠে। যথাসময়ে অনুসন্ধান শেষ করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপরিচালক রেজাউল করিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বুধবার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র আক্তার হোসেন। এই অনুসন্ধান নিয়ে দুদক থেকে আদেশ জারি করা হয় গত ১৬ এপ্রিল। তবে অনুসন্ধান-সংক্রান্ত খবরটি প্রকাশ পেয়েছে গতকাল।
দুদকের আদেশে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
এজন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে কি-না, এ সংক্রান্ত রেকর্ড, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা।