নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির চ্যালেঞ্জ
Published: 21st, March 2025 GMT
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের রাজনীতিতে বইছে নানা ডামাডোল। অনেকে স্বপ্নের জাল বুনছেন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের। তবে খালি চোখে দেখলে মনে হতে পারে উল্টো স্রোত। আপামর বিপ্লবী জনগণ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐকমত্য প্রত্যাশা করেছিল, ক্ষেত্রবিশেষ তার মোহভঙ্গ হয়েছে। আশার কথাও রয়েছে। আওয়ামী লীগ যেন ফের স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে দেশের মানুষের ওপর জুলমবাদ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, সে বিষয়ে সব দলই মোটামুটি একাত্মতা জানিয়েছে। এর মধ্যে আবির্ভাব ঘটেছে চব্বিশের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম থেকে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বহু মত-পথের মানুষের সম্মিলনও ঘটেছে এ দলে। এই মুহূর্তে বহু চর্চিত বিষয়– বহুধা বিভক্ত দেশে এমন ভিন্নধারার রাজনৈতিক দল আদৌ সফলতা পাবে কিনা! নাকি অন্য আট-দশটি রাজনৈতিক দলের মতো আদর্শ ও নেতৃত্বের বিভক্তিতে ক্ষমতার চোরাবালিতেই আটকে যাবে– সে প্রশ্নও রয়েছে। এখানে বলে রাখা ভালো, নতুন দলটি গঠন করার সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির দুই শীর্ষ নেতা, যারা সাবেক ছাত্রশিবির নেতা তাদের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সরে যাওয়া কিছুটা হলেও এনসিপির জন্য ধাক্কা ছিল।
বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দলীয় নেতৃত্বের গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব রয়েছে। অধিকাংশ দল পরিবারতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হয়, যেখানে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসার সুযোগ কম। ফলে রাজনৈতিক সংস্কার বাধাগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশে বিগত সময়ে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, রাজনৈতিক কর্মীদের দমন-পীড়ন ইত্যাদি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে, এমন কোনো আইন এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী ভারত এবং চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। ভারত ও চীনের মধ্যে কৌশলগত প্রতিযোগিতার কারণে বাংলাদেশের জন্য সঠিক কূটনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়া, ব্যবসায়িক পরিবেশের অবনতি এবং বেকারত্ব বাড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত হয়।
নতুন রাজনৈতিক দলকে উল্লিখিত বিষয়গুলোকে যথাযথভাবে মোকাবিলা করেই জনগণের দ্বারে যেতে হবে। কারণ, বর্তমান সরকারে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠকদের প্রচ্ছন্ন প্রভাব রয়েছে। এমনকি নতুন দলের প্রধান নাহিদ ইসলামও ছিলেন সরকারের উপদেষ্টা। পাশাপাশি এখনও দু’জন ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই রাজনীতি এবং দেশে কিছু গুণগত পরিবর্তন আনতে পারলে জনগণের আস্থায় যাওয়াটা তাদের জন্য সহজ হবে।
স্বৈরাচার পতন-পরবর্তী সময়ে দেশের এমন একটি সময়ে নতুন রাজনৈতিক দলের উত্থান হওয়াটাই স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত। কেবল রাজনৈতিক দলের উত্থান নয়, বরং নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হতে চলেছে নতুন এই দল ঘিরে– এমনটাই আভাস মিলছে রাজনীতির ময়দানে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদানকারী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বিভিন্ন পেশাজীবী ও নানাবিধ পরিচয়ের মানুষের রাজনৈতিক সংগঠন ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’, যেখানে নেতৃত্বের আসনে সুদৃঢ় অবস্থান ধরে রেখেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের অনেকেই। ১৭১ সদস্যবিশিষ্ট এই আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা নেতৃবৃন্দ। সেখানে নারী নেতৃত্বের আধিক্যও বেশ লক্ষণীয়।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির আধিপত্য বিরাজমান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি ও জনঅসন্তোষের ফলে নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটবে– এটা ধারণাগত জায়গায় তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখলেও হাসিনা সরকারের পতনের আগে ততটা পরিষ্কার ছিল না। তবে ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের ফলে সেই উত্থান অনেকাংশেই নিশ্চিত হয়।
আওয়ামী লীগ বিতাড়িত হওয়ার পর বর্তমানে বেশ সুবিধাজনক অবস্থাতেই রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচারিত হয়ে আসা রাজনৈতিক দলগুলো; বিশেষ করে বিএনপি এবং তার সমমনা দলগুলো। পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও ধীরে ধীরে রাজনৈতিক উৎকর্ষ অর্জনে অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এ দুই রাজনৈতিক দলের জন্যই এখন অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে নতুন রাজনৈতিক সংগঠনটিকে মোকাবিলা করা। কেননা, ছাত্র-জনতার বহুল কাঙ্ক্ষিত এ দলটি যে অন্যতম প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ ছাড়া তারুণ্যের যে নতুন সূর্য উদিত হয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তা একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বারকে উন্মোচিত করেছে– এ নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।
সব দিক চিন্তা করে মানুষ প্রত্যাশা করে, জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্থান বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি নতুন ভোরের সূচনা করবে। তরুণ নেতৃত্ব ও ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে দলটি জনগণের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। তবে সংগঠনের স্থায়িত্ব, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, অভিজ্ঞতার অভাবসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঐক্যবদ্ধ থেকে নব্য উত্থিত এই রাজনৈতিক দলটি কতটা সফল হবে, তা বিবেচনার বিষয়। সম্ভাবনার জায়গা থেকে দেখলে বলা যায়, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য অগ্রগামী এ দলটি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছে, যা তাদের রাজনৈতিক রসদ বাড়াতে বেশ সহায়ক হতে পারে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে চলমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলটি জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হতে পারে।
মাহমুদ রাকিব: অ্যাসাইনমেন্ট ডেস্ক ইনচার্জ, এখন টেলিভিশন
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সমক ল ন প রসঙ গ দ শ র র জন ত র জন ত ক স র র জন ত ক জনগণ র র জন য সরক র স গঠন আওয় ম দলগ ল
এছাড়াও পড়ুন:
৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাই প্রায় চূড়ান্ত: তারেক রহমান
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, “দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
বরগুনায় জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মামুন
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
রবিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তারেক রহমান। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।
প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জানিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য এবং জনপ্রিয় প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও প্রতিটি মানুষকে নিশ্চয়ই মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। ভিন্ন রাজনৈতিক দলের যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে রাজপথের সঙ্গী ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এই বাস্তবতার কারণে হয়তো কিছু সংসদীয় সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থকদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে আপনারা এই বাস্তবতাকে মেনে নেবেন।”
জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জনমনে সৃষ্ট সংশয়, সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সংকটপূর্ণ করে তুলতে পারে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, “দেশে প্রতিনিয়ত একের পর এক নিত্য নতুন শর্ত জুড়ে দিয়ে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সংকটাপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ্বাসী নাগরিকেরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।”
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, “পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের শাসন আমলে জনগণের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনোই আগ্রহ ছিল না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় জনমনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা বাড়ছে, যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে?... এমন তো হবার কথা ছিল না।”
বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “উদ্বেগ এবং আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার এবং অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।”
শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পরাজত পলাতক স্বৈরাচার দেশে ‘ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিগত ১৫ বছরে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।”
প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে মন্তব্য করে তারেক রহমান জানান, তবে বিএনপির প্রতি দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণের আস্থা, ভালোবাসা থাকায় সে সংকট কাটিয়েছে তার দল।
তারেক রহমান বলেন, “দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শুরু থেকেই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে একদিকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছে। অপরদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও যতটুকু সম্ভব, যতটুকু যথাসাধ্য সম্ভব আমাদের অবস্থান থেকে আমরা সহযোগিতা করে আসছি।”
দেশে নারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সামাজিক উদাসীনতা প্রকট হয়ে উঠছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ সংক্রান্ত গণমাধ্যমের প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন, “নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তাহীন সমাজ নিশ্চয়ই সভ্য সমাজ হিসেবে গণ্য হতে পারে না।”
সেজন্য তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলসহ বাংলাদেশের সচেতন নারী সমাজকে তাদের দাবি সরকারের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অনলাইনে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ এবং তার ফি পরিশোধের প্রক্রিয়া নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তাতে বলা হয়, এখন থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে অনলাইনে বিএনপির দলীয় ওয়েবসাইটে গিয়ে সদস্যপদ গ্রহণ করা যাবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জে ড এম জাহিদ হাসান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ