Prothomalo:
2025-12-13@13:10:47 GMT

এরদোয়ান কি ‘ভয়’ পাচ্ছেন

Published: 22nd, March 2025 GMT

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বছরটা শুরুই করেছিলেন কঠিন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে। দুই দশক ধরে তুরস্কের ক্ষমতার শীর্ষে থাকার পরও এবার পরিস্থিতি তাঁর পক্ষে ছিল না।

দেশের মানুষ দীর্ঘদিনের উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ক্ষুব্ধ। তার দল জনপ্রিয়তা হারাচ্ছিল। বিরোধীরা একজোট হয়েছিল ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর পেছনে, যিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে নামছেন।

তারপর বুধবার, ঠিক যখন ইমামোগলুকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধী দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার কথা, তখনই পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। অভিযোগ দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকা।

এরদোয়ানের বিরোধীরা বলছেন, এটি ইমামোগলুর প্রচারণা শুরুর আগেই তাঁকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক নেতাদের মতে, এখানে শুধু প্রেসিডেন্ট পদের প্রশ্ন নয়, বরং বিষয়টা আরও বড়।

তুরস্ক বিশ্বের ২০টি বৃহত্তম অর্থনীতির একটি এবং ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সেই তুরস্ক কি আদৌ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে পারবে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন। কারণ, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে নির্বাচন প্রতিযোগিতার পথ রুদ্ধ করা মানে, দেশকে পুরোপুরি স্বৈরাচারী শাসনের দিকে নিয়ে যাওয়া।

২০০৩ সাল থেকে এরদোয়ান তুরস্কের রাজনীতিতে কর্তৃত্ব ধরে রেখেছেন—প্রথমে প্রধানমন্ত্রী, পরে ২০১৪ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে। তাঁর শাসনামলে তুরস্ক অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক উন্নতি করেছে। একাধিকবার তার দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি নির্বাচনে জয়ী হয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকে, সমালোচকদের মতে, তিনি ক্ষমতা দৃঢ় করতে গণতন্ত্রকে দুর্বল করেছেন। রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগে নিজের অনুগতদের বসিয়েছেন, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে এনেছেন, বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউটর ও বিচারকদের ব্যবহার করেছেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এখন কি গণতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের মিশ্রণে তুরস্ক চলবে, নাকি মূলত স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে উঠবে? একরাম ইমামোগলুকে এ রকমভাবে নির্বাচনে দাঁড়াতে না দিলে তুরস্ক পড়ে যাবে রাশিয়া বা বেলারুশের মতো দেশের কাতারে। এই দেশগুলোতে নির্বাচন হয়, কিন্তু নির্বাচনে কে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন, তা ঠিক করেন প্রেসিডেন্ট নিজে।

এদিকে ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিরোধী দলগুলোর বিক্ষোভ আহ্বানকে ‘নাটক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে তুরস্ক আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে দাঁড়িয়েছে। দেশটির সমর্থিত একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এখন সিরিয়ার নতুন সরকার পরিচালনা করছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন তাদের মিত্রদেশগুলোর গণতান্ত্রিক মান বজায় রাখার বিষয়ে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এ ছাড়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে ইউরোপীয় দেশগুলো প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্কের ওপর আরও নির্ভরশীল হয়ে উঠছে।

এসব কৌশলগত কারণে এরদোয়ানের শাসনব্যবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকে খুব বেশি সমালোচনা না–ও আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইমামোগলুর গ্রেপ্তার নিয়ে এখন পর্যন্ত খুব বেশি মন্তব্য করেননি। তবে ইউরোপীয় নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এরদোয়ানের বর্তমান দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হবে ২০২৮ সালে। তুরস্কের সংবিধান অনুযায়ী, একজন প্রেসিডেন্ট সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ দায়িত্ব পালন করতে পারেন। তবে পার্লামেন্ট আগাম নির্বাচন ডাকলে তিনি তৃতীয়বারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা প্রবল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে, ইস্তানবুল ২০ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত রস ক র এরদ য় ন র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

সনাহাদির উপরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে শহরে যুবদলের মিছিল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি’র মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমদের নেতৃত্বে শহরে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল করেছে মহানগর যুবদল।

‎শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় শহরের খানপুর হাসপাতাল রোড় থেকে শহরে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল বের করে মহানগর যুবদল। মিছিলটি খানপুর থেকে শুরু করে মেট্রোহলের মোড় হয়ে মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে এসে মহানগর বিএনপির মূল মিছিলের সাথে অংশগ্রহণ করেন।

‎এময়ে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি’র মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর উপরে হত্যাচেষ্টার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং জড়িত দুষ্কৃতিকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শ্লোগান দেয়।

‎নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম, ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড. শাহিন খান, কাজী নাইসুল ইসলাম সাদ্দাম, আলী হোসেন সৌরভ, বাদশা মিয়া, মাসুদ রানা, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, রিয়াজুল আলম ইমন, জুনায়েদ মোল্লা জনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ কাদির, আশরাফুল হক তান্না, জাহিদুল হাসান শুভ, মাহফুজুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ