কলকাতার ইডেন গার্ডেনে আজ হয়ে গেল আইপিএলের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এই আয়োজন আলোকিত হয়েছে শাহরুখ খান-দিশা পাটানির নাচ ও শ্রেয়া ঘোষালের গানে। আইপিএলের উদ্বোধনে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলেন বলিউড বাদশাহ এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম মালিক শাহরুখ খান।

উদ্বোধনী ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলেছে তাঁর দল। ম্যাচ শুরুর আগে কলকাতার ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়াম মাতিয়েছেন দলটির মালিক শাহরুখ। বলতে গেলে তাঁর সঙ্গে নেচেছে গোটা স্টেডিয়াম। মঞ্চে শাহরুখের নাচের সঙ্গী ছিলেন বেঙ্গালুরুর সবচেয়ে বড় তারকা বিরাট কোহলিও। দিশা পাটানির নাচেও মুগ্ধ ছিল ইডেন গার্ডেনের দর্শক। এ ছাড়া মাদকতা ছড়িয়েছে শ্রেয়ার কণ্ঠের অসাধারণ গান।

ম্যাচের আগে হাসি-গানে মাতলেও ম্যাচ শেষে শাহরুখের সেই হাসি অবশ্য আর থাকেনি। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে তাঁর দল কলকাতা আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৪ রান। কিন্তু সেই লক্ষ্য পাত্তাই পায়নি বেঙ্গালুরুর সামনে। ফিল সল্ট ও বিরাট কোহলির জোড়া ফিফটিতে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বেঙ্গালুরু।

আরও পড়ুন২৩ কোটি রুপির চাপ টের পাচ্ছেন কলকাতা অলরাউন্ডার১৪ মার্চ ২০২৫

১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই ঝড় তোলেন বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও বিরাট কোহলি। বৈভব অরোরার তৃতীয় ওভারে ২০ রান নেওয়ার পর বরুণ চক্রবর্তীর চতুর্থ ওভারে আসে ২১ রান। দুই ওপেনারের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৫ ওভারেই বেঙ্গালুরু করে ৭৫ রান।

শেষ পর্যন্ত খেলে দলকে জিতিয়েছেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট ক হল কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ