সামনে ঈদ। এ সময়ে প্রিয়জন কিংবা নিজের জন্য আমরা স্মার্টফোন কিনতে চাই। এখন ছয় হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ টাকার বেশি দামের স্মার্টফোন দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবহার ও প্রয়োজনভেদে এসব স্মার্টফোনের চাহিদা ভিন্ন রকমের। যাঁরা বাজেটের মধ্যে স্মার্টফোন কিনতে চান, তাঁরা বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন স্মার্টফোন পাবেন। বাজারে এখন ১০ হাজার টাকার মধ্যে এমন কয়েকটি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে।

আইটেল এ৫০ সি

এই ফোনের দাম পড়বে ৭,৪৯৯ টাকা। ২ জিবি র‍্যামের অ্যান্ড্রয়েড এই স্মার্টফোনে আছে ৫০০০-৫৯৯৯ এমএএইচ লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি। ডুয়েল সিমের এই ফোনের আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লের রেজল্যুশন ফুল এইচডি, ফ্রন্ট ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল, ব্যাক ক্যামেরা ১০ মেগাপিক্সেল। এই ফোনের ভিডিও রেজল্যুশন ১০৮০ পিক্সেল, ডিসপ্লের আকার ৬ ইঞ্চি। ব্লুটুথ, জিপিএস, ওয়াই-ফাই, ইউএসবি সংযোগের এই ফোন ফোর–জি নেটওয়ার্ক–সেবা সাপোর্ট করে।

নকিয়া সি১২ প্রো

এই ফোনের দাম পড়বে ৭,৪৯৯ টাকা। ফোনে ডুয়েল সিম হিসেবে ন্যানো সিম ব্যবহার করা যাবে। ফোর–জি নেটওয়ার্ক–সুবিধার এই স্মার্টফোনে আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লের আকার ৬.

৩ ইঞ্চি। এই ফোনের রেজল্যুশন ৭২০ x ১৬০০ পিক্সেল, অক্টা-কোর প্রসেসরের এই ফোনের জিপিইউ আইএমজি ৮৩২২। ৬৪ গিগাবাইটের এই ফোনে ২ গিগাবাইট র‍্যাম আছে। ব্যাক ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেল এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল। অ্যান্ড্রয়েড ১২ (গো সংস্করণ) এই ফোনে অ্যাক্সিলোমিটার ও প্রক্সিমিটি সেন্সর আছে। ফোনে লিথিয়াম আয়নের ৪০০০ এমএএইচ ব্যাটারি আছে।

ওয়াল্টন অরবিট ওয়াই ১১

এই মোবাইলের দাম ৭,৯৯৯ টাকা। ৪ জিবি র‍্যামের এই ফোনের রম ৬৪ গিগাবাইট। ৫ ইঞ্চি ডিসপ্লের এই ফোনের ব্যাক ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা ২ মেগাপিক্সেল। এতে আছে লিথিয়াম পলিমার ২৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি।

সিম্ফোনি অ্যাটম ৫

এই ফোনের দাম ৮,২৯৯ টাকা। অ্যান্ড্রয়েড ওএস সংস্করণ ভি১৪ চালিত এই ফোনে আছে ৬.৭৪ ইঞ্চির ডিসপ্লে। ৫২ মেগাপিক্সেল ও ২ মেগাপিক্সেলের ব্যাক ক্যামেরা এবং ৪ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারির ক্ষমতা ৫০০০ এমএএইচ। অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ ক্ষমতা ৬৪ জিবি এবং র‍্যাম ৮ জিবি সমর্থন করে। ফোর–জি সুবিধাসহ এই ফোনে লাইট সেন্সর, অ্যাক্সিলোমিটার, কম্পাস, জাইরোস্কোপ রয়েছে।

টেকনো স্পার্ক গো ১

এই ফোনের দাম ৯,৮৯৯ টাকা। ৬.৬৭ ইঞ্চির এইচডি+ আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে এবং ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের জন্য এই ফোন স্মুথ ভিজুয়াল দেয়। ৩ জিবি র‍্যাম ও ৬৪ জিবি রমের এই ফোনে ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যাচ্ছে। ফোনে রয়েছে ৩ মেগাপিক্সেলের ব্যাক ক্যামেরা, যা ডিজিটাল জুম, এআই ক্যামেরা, বিউটি মোড ও পোর্ট্রেট মোড সমর্থন করে। ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা ও ডুয়েল ফ্ল্যাশ থাকায় ভালো সেলফি তোলা যায়। ফোনে রয়েছে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি ও ১৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং–সুবিধা। এই ফোনে ইনফ্রারেড রিমোট কন্ট্রোল, স্টেরিও ডুয়েল স্পিকার, ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স, ডায়নামিক পোর্টসহ আরও বেশ কিছু বিশেষ ফিচার রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য সাইড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর–সুবিধাও রয়েছে।

ইনফিনিক্স স্মার্ট ৯

এই ফোনের দাম ৯,৯৯৯ টাকা। ৬.৭ ইঞ্চি আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লের (১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট) এই ফোনে অক্টা-কোর প্রসেসর রয়েছে। ফোনে ১৩ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা এবং ০.০৮ মেগাপিক্সেল সহায়ক লেন্স রয়েছে। ৩ জিবি র‍্যাম ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ, পাশাপাশি মাইক্রোএসডি এক্সপানশন সুবিধা রয়েছে। এই ফোনে ডুয়েল ন্যানো-সিম সাপোর্ট, ফোর–জি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। এই ফোনে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি রয়েছে।

সিম্ফোনি ম্যাক্স ১০

এই ফোনের দাম ৬,৯৯৯ টাকা। ২ জিবি র‍্যাম ও ৩২ জিবি স্টোরেজ–সুবিধাসহ এই ফোনে রয়েছে ৬.৫৬ ইঞ্চি ডিসপ্লে। ফোনটির ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ও ব্যাক ক্যামেরা সাধারণ ফটোগ্রাফির জন্য উপযোগী। শক্তিশালী ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী চার্জ ধরে রাখে, এর ফলে সারা দিন নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। অক্টা-কোর প্রসেসর থাকার কারণে ফোনের কার্যক্ষমতা বেশ উন্নত হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এই ফ ন র দ ম র এই ফ ন র ব যবহ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ