গ্রাহকের দাবি পরিশোধে জমি বিক্রি করবে পদ্মা ইসলামী লাইফ
Published: 24th, March 2025 GMT
গ্রাহকের বিমা দাবি পরিশোধে জমি বিক্রি করবে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ইতিমধ্যে তারা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেয়েছে। কুমিল্লায় ২০ শতক জমি বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটির বকেয়া দাবি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১২ মার্চ ২০২৫ তারিখে আইডিআরএর চিঠিতে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে ২০ জানুয়ারির পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় পদ্মা লাইফ।
আজ সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
কুমিল্লা সদর থানার বাটাবাড়িয়া মৌজায় অবস্থিত এ জমির বিবরণ এ রকম—সিএস খতিয়ান নম্বর-৪, এসএ খতিয়ান নং-৯, বিআরএস খতিয়ান নং-৫৯, সিএস এবং এসএ প্লট নং-৫০/৪ এবং বিআরএস প্লট নং-৪৪০। মোট ২০ শতক জমি ১ কোটি ৯০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দাবিদারদের পাওনা পরিশোধের জন্য তহবিল সংগ্রহ করবে পদ্মা লাইফ।
তালিকাভুক্ত পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের জীবনবিমা তহবিলে বড় ধরনের ঘাটতি আছে। সেই ঘাটতি মেটাতেই কোম্পানিটি জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত এক বছরে পদ্মা লাইফের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৩০ টাকা ৮০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৩ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটি গত কয়েক বছরে তেমন একটা লভ্যাংশও দেয়নি। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে পদ্মা ইসলামী লাইফ। ২০২০ হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ হিসাববছরের জন্যও কোনো লভ্যাংশ পাননি কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। ২০১৬ হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা।
২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। মোট ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৯৩ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৫১ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ম দ পর শ ধ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
৯ মাসে জেএমআই সিরিঞ্জের মুনাফা বেড়েছে ২৩৬ শতাংশ
পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি থেকে মার্চ, ২০২৫) ও নয় মাসের (জুলাই থেকে মার্চ, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, নয় মাসে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়েছে ২৩৬ শতাংশ।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে সোমবার (২৮ এপ্রিল) জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক ও নয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
আরো পড়ুন:
পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি
‘অরেঞ্জ বন্ড অন্তর্ভুক্তিমূলক পুঁজিবাজার তৈরির সুযোগ দিচ্ছে’
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইস লিমিটেডের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে (০.০২) টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৩৬ টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা থেকে লোকসানে নেমেছে।
এদিকে, তিন প্রান্তিক মিলে বা ৯ মাসে জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইস লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে হয়েছে ১.৬৮ টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৫০ টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য প্রান্তিকে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ১.১৮ টাকা বা ২৩৬ শতাংশ।
২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইস লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৭.৪৪ টাকা।
ঢাকা/এনটি/রফিক