অনেকেই ঘুমের সমস্যায় ভুগে থাকেন। বিশেষ করে শহরে বসবাসরত মানুষের ঘুমের সমস্যা বেশি হয়। বিশেষজ্ঞরা আর্টিফিসিয়াল লাইফ লিড করাকেও এর অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন।
ডা. খন্দকার আলামিন রুমী মেডিসিন এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সিটি হাসপাতাল একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ঢাকা বলেন, ‘‘ঘুম কম হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো স্ট্রেস। কারণ আমাদের লাইফ ইজ নট পারফেক্ট। স্পেশালি যারা ঢাকায় থাকে, দেখা যায় যে আমাদের মাথায় অনেক চিন্তা থাকে। মানসিক চাপ বাড়ে। এখন হচ্ছে মোবাইল, ইন্টারনেট, কম্পিউটারের যুগ, অনেকেই দেখা যায় যে ঘুমের আগে টানা তিন চার ঘণ্টা মোবাইল চালায়। বা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকে। বহু গবেষণায় দেখা গেছে, এই অভ্যাসের ফলে ঘুমের সমস্যা হয়।’’
এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘‘ঘুম কম হওয়ার আরেকটা কারণ হলো আর্টিফিসিয়াল লাইফ। ঘুমের সময় অনেকেই লাইট জ্বালিয়ে রাখেন। এটাও কিন্তু ঘুমের ক্ষতি করে থাকে। সুতরাং ঘুমানোর সময় অবশ্যই লাইট বন্ধ করে ঘুমাতে হবে। অনেক সময় রোগীরা অনেক ওষুধ সেবন করেন। সেগুলোও ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।’’
আরো পড়ুন:
হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে করণীয়
পুরনো প্রসাধনী থেকে যেসব সংক্রমণ হতে পারে
যাদের ঘুম কম হয় তাদের জন্য ডা.
১. অবশ্যই ঘুমাতে যাওয়ার দুই ঘণ্টা আগে মোবাইল, টিভি, কম্পিউটার অফ করে দিতে হবে।
২. ঘুমাতে যাওয়ার দুই তিন ঘণ্টা আগে থেকে চা, কফি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ক্যাফেইন ব্রেনকে অ্যাক্টিভেট করে।
এ ছাড়া মানসিক চাপ কমানোর জন্য পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।