দাখিল পরীক্ষার সূচিতে ফের পরিবর্তন, নতুন রুটিন প্রকাশ
Published: 26th, March 2025 GMT
২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষার সময়সূচিতে আবারও পরিবর্তন আনা হয়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ) মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সই করা সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।
সংশোধিত সূচিতে বলা হয়েছে, ২০ এপ্রিলের বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা এক দিন পিছিয়ে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) ১২ মের পরিবর্তে ১৫ মে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলা প্রথম পত্র এবং উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়)-এর পরিবর্তন ছাড়া সংশোধিত রুটিনের সঙ্গে আগে প্রকাশিত রুটিনের সব তারিখ ও সময়ের মিল রয়েছে। তবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ১৬ মে থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে। ২০ মের মধ্যে সবাইকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে।
আগামী ১০ এপ্রিল মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হচ্ছে দাখিল পরীক্ষাও। প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হবে কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ বিষয়ের পরীক্ষা।
এর আগে, ১৬ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছিল, ১৩ এপ্রিলের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৩ মে। এবার বাংলা প্রথম পত্র ও উচ্চতর গণিত পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হলো।
এবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন দাখিল পরীক্ষা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ খ ল পর ক ষ পর ক ষ র র পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।
ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।