সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার স্বীকার করছে না বলে অভিযোগ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় দেশটির একটি সংসদীয় প্যানেলকে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘুদের উপর পদ্ধতিগত নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং শেখ হাসিনার সরকারের বিদায়ের পর হিন্দুদের উপর সহিংসতার মাত্রা কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছে। বুধবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই এ তথ্য জানিয়েছে।

কংগ্রেস দলীয় সংসদ সদস্য শশী থারুরের নেতৃত্বে পররাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কাছে এ সংক্রান্ত বক্তব্য উপস্থাপনা করা হয়েছে। এসময় মন্ত্রণালয় জনসাধারণের স্থানে ধর্মীয় প্রতীকবাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি তুলে ধরেছে। তাদের দাবি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণে ইসলামী খেলাফতের পক্ষে কথা বলছে চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলো।

পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ’ এবং বিশ্বব্যাপী ভারতীয় প্রবাসীদের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো সম্পর্কে একটি ব্রিফিং প্রদান করেছেন কমিটির কাছে।

বৈঠক শেষে থারুর সংবাদমাধ্যমকে জানান, আলোচনাটি মূলত বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়েই ছিল।

মন্ত্রণালয় কমিটির কাছে কাছে জানিয়েছে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ঝুঁকি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন। এতে গণপিটুনি, সম্পত্তি ধ্বংস এবং নারী ও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অপরাধের পুনরাবৃত্তিমূলক ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।

পিটিআই সূত্র অনুসারে, কমিটিকে জানানো হয়েছে যে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার সহযোগীরা সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবেদনগুলোকে মিডিয়ার অতিরঞ্জন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এগুলোকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পরিবর্তে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ‘রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড’ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একের পর এক সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ করেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো ভুয়া ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে বাংলাদেশে সংখ্যলঘু নির্যাতনের মিথ্যা খবর পরিবেশন করছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব ক র কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।

গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।

আরো পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।

খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ