সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা স্বীকার করছে না বাংলাদেশ সরকার: ভারত
Published: 26th, March 2025 GMT
সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার স্বীকার করছে না বলে অভিযোগ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় দেশটির একটি সংসদীয় প্যানেলকে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘুদের উপর পদ্ধতিগত নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং শেখ হাসিনার সরকারের বিদায়ের পর হিন্দুদের উপর সহিংসতার মাত্রা কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছে। বুধবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই এ তথ্য জানিয়েছে।
কংগ্রেস দলীয় সংসদ সদস্য শশী থারুরের নেতৃত্বে পররাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কাছে এ সংক্রান্ত বক্তব্য উপস্থাপনা করা হয়েছে। এসময় মন্ত্রণালয় জনসাধারণের স্থানে ধর্মীয় প্রতীকবাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি তুলে ধরেছে। তাদের দাবি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণে ইসলামী খেলাফতের পক্ষে কথা বলছে চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলো।
পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ’ এবং বিশ্বব্যাপী ভারতীয় প্রবাসীদের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো সম্পর্কে একটি ব্রিফিং প্রদান করেছেন কমিটির কাছে।
বৈঠক শেষে থারুর সংবাদমাধ্যমকে জানান, আলোচনাটি মূলত বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়েই ছিল।
মন্ত্রণালয় কমিটির কাছে কাছে জানিয়েছে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ঝুঁকি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন। এতে গণপিটুনি, সম্পত্তি ধ্বংস এবং নারী ও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অপরাধের পুনরাবৃত্তিমূলক ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।
পিটিআই সূত্র অনুসারে, কমিটিকে জানানো হয়েছে যে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড.
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একের পর এক সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ করেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো ভুয়া ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে বাংলাদেশে সংখ্যলঘু নির্যাতনের মিথ্যা খবর পরিবেশন করছে।
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব ক র কর সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’ গাওয়ার পর পালিয়ে থাকতে হয়েছিল
শিল্পীর সৌজন্যে