যশোরের মনিরামপুরে জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ঈদগাহের প্যান্ডেল নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। 

প্যান্ডেল নির্মাণে বাধা দেওয়ায় ঈদ জামাত না হওয়ার আশঙ্কায় এলাকার মুসল্লিদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। অভিযুক্ত জামায়াত নেতা সেলিম জাহাঙ্গীরের দাবি ঈদগাহের পরিবর্তে রাস্তার পাশের জমিতে প্যান্ডেল নির্মাণের সময় বাধা দেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী ও ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মশ্বিমনগর ইউনিয়নের শাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কয়েক শতক সরকারি খাস জমি রয়েছে। পাশেই রয়েছে স্থানীয় ইসাহাক আলী সানা ও তবিবর রহমান সানার জমি। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মুসল্লিরা সরকারি জমিতে ঈদগাহ বানিয়ে ঈদের জামাত করে আসছেন। পাশের জমির মালিক ইসাহাক আলী ও তাঁর ভাই বিআরডিবির সাবেক পরিচালক তবিবর রহমান এর আগে মসজিদ ও ঈদগাহে পাঁচ শতক করে জমি দানের ঘোষণা দেন। ইতোমধ্যে ইসাহাক মসজিদের নামে পাঁচ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। তবিবর তাঁর জমি বিক্রি করে দেন। ইসাহাক ও তবিবরের মৃত্যুর পর এলাকার মুসল্লিরা ঈদগাহসহ তবিবরের ঘোষণা করা জমিতে ঈদ জামাত করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদগাহ কর্তৃপক্ষ ঈদুল ফিতরে জামাতের জন্য বৃহস্পতিবার প্যান্ডেল ও গেট নির্মাণ শুরু করে। 

অভিযোগ রয়েছে ইসাহাকের ছেলে উপজেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য সেলিম জাহাঙ্গীর ও তাঁর লোকজন বাধা দিয়ে প্যান্ডেল নির্মাণ বন্ধ করে দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার মুসল্লিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে ঈদগাহ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টির সুরাহা চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করেন। 

ইউএনওর নির্দেশে বিষয়টি তদন্ত করতে যান সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুম। কিন্তু এর সমাধান হয়নি। 

নিয়াজ মাখদুম জানান, রাস্তার পাশে সরকারি জমির (হালোট) ওপর ঈদ জামাতের প্যান্ডেল নির্মাণ করছিল ঈদগাহ কর্তৃপক্ষ। পাশের জমির মালিক সেলিম জাহাঙ্গীর দাবি করেন, ঈদগাহর জমি ছাড়া তাঁর জমির পাশের সরকারি জমির (হালোট) ওপর প্যান্ডেল নির্মাণ করায় তিনি বাধা দেন। 

নিয়াজ মাখদুম জানান, তদন্ত প্রতিবেদন ইউএনওর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। 

ইউএনও নিশাত তামান্না বলেন, বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য দুই পক্ষকে বলা হয়েছে। তারা যদি সমাধান করতে ব্যর্থ হন, সেক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: যশ র ব ষয়ট সরক র ঈদগ হ

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ৩০ স্কুলে চালু হলো ‌‘মিড ডে মিল’

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে এবং ঝরে পড়ার হার কমানোর লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ১১৩টি স্কুলে ‘মিড ডে মিল’ চালু করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) প্রথম পর্যায়ে ৩০টি স্কুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা রহমানের উদ্যোগে মিড ডে মিলের আয়োজন করা হয়।

মিড ডে মিল চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। অভিভাবকরাও এমন উদ্যোগ নেওয়ায় ইউএনওকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, “উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এতে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার হ্রাস পাবে এবং তারা পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে পারবে।”

আরো পড়ুন:

এবার সিরাজগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

স্কুলের মাঠে বসানো হচ্ছে মরিচের হাট

ইউএনও ফারজানা রহমান বলেন, “উপজেলার ১১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ৩০টি বিদ্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের সহায়তায় এ কার্যক্রমকে স্থায়ী রূপ দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে এই উদ্যোগ।”

তিনি আরো বলেন, “মিড ডে মিল চালুর পাশাপাশি প্রতিটি বিদ্যালয়কে দৃষ্টিনন্দন ও শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য স্কুলের আঙিনায় ফুলের বাগান করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে ৩০টি বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম দৃশ্যমান। এসব কার্যক্রম আমি নিজে থেকেই উদ্বোধন করেছি। আমি চাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুরা যেনো আনন্দ মুখর পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের উন্নয়নে নিজেদের নিয়োজিত রাখতে পারে।”

ঢাকা/অনিক/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাতে ‘টর্চলাইট জ্বালিয়ে’ দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ইউএনও-ওসিসহ আহত ৩০
  • পড়াশোনায় ফিরছেন দিনাজপুরের ‘ইংলিশম্যান’ হৃদয়, শেখাবেন ইংরেজি
  • আ.লীগ নেতাকে নিয়ে মানববন্ধন করে ইউএনওকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা
  • নারায়ণগঞ্জে ৩০ স্কুলে চালু হলো ‌‘মিড ডে মিল’
  • গাজীপুরে ১০ মাটি খেকোকে কারাদণ্ড
  • পাঠাগার থেকে লুট হওয়া বই ফেরত পেলো কর্তৃপক্ষ