Samakal:
2025-11-03@13:58:57 GMT

নিকোলাস পুরানকে থামাবে কে

Published: 28th, March 2025 GMT

নিকোলাস পুরানকে থামাবে কে

রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি কিংবা ট্রাভিস হেড নন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সেরা তারকা হিসেবে নিকোলাস পুরানকেই এগিয়ে রাখলেন হরভজন সিং। গতকাল হায়দরাবাদের বিপক্ষে ২৬ বলে ৭০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আরও একবার নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন ক্যারিবিয়ান তারকা। তার ঝড়ো ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৬টি ছক্কা।  

এই মৌসুমে আইপিএলে পুরান এখন পর্যন্ত ১৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। গত আসরে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে প্রায় ১৮০ স্ট্রাইক রেটে ৫০০ রান করেছিলেন তিনি। এবারও একই ধাঁচে প্রতিপক্ষ বোলারদের কাঁপিয়ে দিচ্ছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এই ফর্ম দেখে হরভজন সিং এক্সে লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে নিকোলাস পুরানই সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার।’  

এদিকে আইপিএলে লক্ষ্ণৌয়ের হয়ে হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন পুরান। মাত্র ৩১ ম্যাচে ১০০২ রান করেছেন তিনি, যেখানে তার গড় ৪৫.

৫৪ এবং স্ট্রাইক রেট ১৮৪.৫৩। লক্ষ্ণৌর হয়ে ১০০০ রান করা দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান তিনি। এর আগে ৩৮ ম্যাচে ১,৪১০ রান করে এই কীর্তি গড়েছিলেন লোকেশ রাহুল।  

খেলা শেষে পুরান জানান,  ‘ছয় মারার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। শুধু নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে ভালো জায়গায় নেওয়ার চেষ্টা করেছি। বল ব্যাটে ভালো আসছিল। গত নয় বছর ধরে আইপিএলে নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এবারও সুযোগ পেয়েছি, সেটাকে কাজে লাগাতে চেয়েছি।’  

তার ছক্কা মারার শক্তির রহস্য কী? পুরান বললেন,  নিজের ব্যাট স্পিড নিয়ে কখনো কাজ করিনি। এটা ঈশ্বরপ্রদত্ত প্রতিভা। তবে বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রমের ফল এখন পাচ্ছি, আর দলকে জেতাতে পেরে দারুণ লাগছে।’  

শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের সুবাদে ১৯০ রানের লক্ষ্যও সামান্য মনে হয়েছে লক্ষ্ণৌর কাছে। ১৬.১ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় তারা, হাতে ছিল ২৩ বল ও ৫ উইকেট। ২৩ বল বাকি থাকতেই এই ম্যাচ জয়ের নায়ক নিকোলাস পুরান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ