Samakal:
2025-08-01@03:17:27 GMT

নিকোলাস পুরানকে থামাবে কে

Published: 28th, March 2025 GMT

নিকোলাস পুরানকে থামাবে কে

রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি কিংবা ট্রাভিস হেড নন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সেরা তারকা হিসেবে নিকোলাস পুরানকেই এগিয়ে রাখলেন হরভজন সিং। গতকাল হায়দরাবাদের বিপক্ষে ২৬ বলে ৭০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আরও একবার নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন ক্যারিবিয়ান তারকা। তার ঝড়ো ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৬টি ছক্কা।  

এই মৌসুমে আইপিএলে পুরান এখন পর্যন্ত ১৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। গত আসরে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে প্রায় ১৮০ স্ট্রাইক রেটে ৫০০ রান করেছিলেন তিনি। এবারও একই ধাঁচে প্রতিপক্ষ বোলারদের কাঁপিয়ে দিচ্ছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এই ফর্ম দেখে হরভজন সিং এক্সে লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে নিকোলাস পুরানই সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার।’  

এদিকে আইপিএলে লক্ষ্ণৌয়ের হয়ে হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন পুরান। মাত্র ৩১ ম্যাচে ১০০২ রান করেছেন তিনি, যেখানে তার গড় ৪৫.

৫৪ এবং স্ট্রাইক রেট ১৮৪.৫৩। লক্ষ্ণৌর হয়ে ১০০০ রান করা দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান তিনি। এর আগে ৩৮ ম্যাচে ১,৪১০ রান করে এই কীর্তি গড়েছিলেন লোকেশ রাহুল।  

খেলা শেষে পুরান জানান,  ‘ছয় মারার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। শুধু নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে ভালো জায়গায় নেওয়ার চেষ্টা করেছি। বল ব্যাটে ভালো আসছিল। গত নয় বছর ধরে আইপিএলে নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এবারও সুযোগ পেয়েছি, সেটাকে কাজে লাগাতে চেয়েছি।’  

তার ছক্কা মারার শক্তির রহস্য কী? পুরান বললেন,  নিজের ব্যাট স্পিড নিয়ে কখনো কাজ করিনি। এটা ঈশ্বরপ্রদত্ত প্রতিভা। তবে বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রমের ফল এখন পাচ্ছি, আর দলকে জেতাতে পেরে দারুণ লাগছে।’  

শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের সুবাদে ১৯০ রানের লক্ষ্যও সামান্য মনে হয়েছে লক্ষ্ণৌর কাছে। ১৬.১ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় তারা, হাতে ছিল ২৩ বল ও ৫ উইকেট। ২৩ বল বাকি থাকতেই এই ম্যাচ জয়ের নায়ক নিকোলাস পুরান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ