সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে ‘হেল্প লাইন’
Published: 29th, March 2025 GMT
ঈদের টানা ৯ দিনের ছুটিতে পুরো দেশ। বন্ধ ব্যাংকের শাখা। এ অবস্থায় সব এটিএম বুথে সার্বক্ষণিক অর্থ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি সব ধরনের অনলাইন লেনদেন ব্যবস্থা সক্রিয় রাখতে গত বৃহস্পতিবার আগাম নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গ্রাহক কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে অভিযোগ জানাতে বা সমাধান পেতে ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সার্বক্ষণিক হেল্প লাইন চালু রাখার নির্দেশনা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে। এসব নির্দেশনা সত্ত্বেও ঢাকাসহ দেশের নানা অঞ্চলে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএমে টাকা না থাকা এবং লেনদেন বন্ধ থাকার ঘটনা রয়েছে।
দেশে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি মিলে ৬১ ব্যাংকের প্রায় ১৩ হাজার এটিএম বুথ সক্রিয়। এর মধ্যে সর্বাধিক বুথ পরিচালনা করছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। ব্যাংকটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মোহাম্মদ সহিদ উল্লাহ গতকাল শনিবার সমকালকে জানান, দেশব্যাপী তাদের সব বুথ সচল আছে।
ওই সময় পর্যন্ত কোনো অভিযোগ ছিল না। তিনি বলেন, প্রতিটি বুথেই তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পর্যাপ্ত টাকা রাখার ব্যবস্থা করা আছে। ঈদের আগের দিন ও পরের দিন টাকা রাখা হবে। শুধু ঈদের দিন ছুটি থাকবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে জারি করা ওই সার্কুলারে বলা হয়, ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিকভাবে খোলা রাখতে
হবে। এটিএম বুথ, অনলাইন ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু থাকবে। গ্রাহকের সুবিধার্থে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত টাকা রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের প্রতি নির্দেশনাসহ সার্কুলারটি জারি করা হয়। একই সঙ্গে সব মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার ও পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটরদের প্রতিও সার্কুলারে তাদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা চালু রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে এটিএম সেবা প্রদানকারী ব্যাংকগুলোকে বলা হয়, সার্বক্ষণিক এটিএম সেবা নিশ্চিত করতে হবে। কোথাও কোনো কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসন করতে হবে। এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তাদের এটিএম বুথ পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী ব্যাংক এবং তা তাদের সহযোগী কোম্পানির প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিও সার্বক্ষণিক লেনদেন ব্যবস্থা চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং এজেন্ট পয়েন্টে পর্যাপ্ত নগদ অর্থ রাখতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সাইবার নিরাপত্তা এবং সব ধরনের জালিয়াতি প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে কোনো সাইবার হামলার বার্তা পেলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহককে সতর্ক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সার্কুলারে ছুটি চলাকালে যে কোনো অঙ্কের লেনদেনের তথ্য গ্রাহকের মোবাইলে এসএমএস অ্যালার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে অবহিত করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সব ধরনের পেমেন্ট সেবার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের জন্য গণমাধ্যমে প্রচার চালাতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সব ধরন র পর য প ত ব যবস থ ল নদ ন ত করত
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।
বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।
অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।
আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।