গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে হারের পর নতুন করে শাস্তির সম্মুখীন হলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। মন্থর ওভার রেটের কারণে তাকে গুনতে হলো আর্থিক জরিমানা।  

রোববার এক বিবৃতিতে আইপিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আচরণবিধির ২.২ ধারা লঙ্ঘন করায় হার্দিককে ১২ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। চলতি আসরে এটি মুম্বাইয়ের প্রথম মন্থর ওভার রেটের ঘটনা হওয়ায় এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।  

শনিবার আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ ওভার শুরু করতে ব্যর্থ হয় মুম্বাই। ফলে তাদের ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে একজন অতিরিক্ত ফিল্ডার রাখতে হয়। এর সঙ্গে এবার আর্থিক জরিমানাও পেলেন হার্দিক। চলতি মৌসুমে মন্থর ওভার রেটের কারণে শাস্তি পাওয়া প্রথম অধিনায়কও তিনি।  

গত মৌসুমে রোহিত শর্মার পরিবর্তে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের নেতৃত্বে আসেন হার্দিক। তবে পরিবর্তন দলের জন্য শুভ হয়নি। ১৪ ম্যাচে মাত্র ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে ছিল মুম্বাই। সেই মৌসুমে তিনবার মন্থর ওভার রেট করায় এক ম্যাচ নিষিদ্ধও হতে হয়েছিল হার্দিককে। যদিও এবার সেই নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে।  

চলতি মৌসুমেও মুম্বাইয়ের শুরুটা হতাশাজনক। প্রথম দুই ম্যাচেই হারতে হয়েছে তাদের। চেন্নাই সুপার কিংসের পর গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষেও জয়ের দেখা পায়নি পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা।  

নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৬ রান সংগ্রহ করে গুজরাট। জবাবে লড়াইয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৬০ রানেই থেমে যায় মুম্বাইয়ের ইনিংস। ফলে ৩৬ রানের পরাজয় বরণ করতে হয় তাদের।  

বল হাতে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ব্যাটিংয়ে ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। ১৭ বলে মাত্র ১১ রান করে বিদায় নেন তিনি, যেখানে ছিল মাত্র একটি চার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

চারঘাটের নন্দনগাছীতে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী রেলস্টেশনে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির (স্টপেজ) দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। এতে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ।

এ সময় আন্দোলনকারীরা স্টেশন সংস্কার ও আন্তনগর ট্রেন থামানোর দাবি-সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন তুলে ধরেন। বেলা একটার দিকে কর্মসূচি শেষ হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। দাবির মধ্যে ছিল সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস, সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও ঢালার চর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং স্টেশনের সংস্কার।

১৯২৯ সালে উপজেলার নন্দনগাছী স্টেশনটি স্থাপিত হয় নিমপাড়া ইউনিয়নের বরকতপুর এলাকায়, যা নন্দনগাছী স্টেশন নামে পরিচিত। শতবর্ষী স্টেশনটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় ২০১৫ সালের শেষের দিকে। নিয়ম অনুযায়ী এই স্টেশনে স্টেশনমাস্টার, টিকিট মাস্টার, পোর্টারম্যান, পয়েন্টসম্যান, গেটম্যানসহ জনবল ছিল ১২ জন। বর্তমানে শুধু পোর্টারম্যান পদে একজন কর্মরত আছেন। শুধু দুটি লোকাল ট্রেন সেখানে থামে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধে অংশ নেওয়া লোকজন ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে ট্রেন থামানোর দাবিতে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদীগামী একটি মেইল ট্রেন এলে স্টেশনে প্রবেশের আগেই জাতীয় পতাকা ও লাল পতাকা নিয়ে ট্রেনটি থামিয়ে দেন আন্দোলনকারী। তাঁরা ট্রেনের চালকের রুমে গিয়ে ট্রেনের নিয়ন্ত্রণ নেন। তাঁরা কেউ রেললাইনে, কেউ ট্রেনের ছাদে উঠে আবার কেউ প্ল্যাটফর্মে অবস্থান নেন। প্রায় ১০-১২ মিনিট পর ট্রেনটিকে যেতে দেওয়া হয়।

এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসে চিলাহাটি থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর ট্রেন বরেন্দ্র এক্সপ্রেস। নন্দনগাছী রেলস্টেশনে ট্রেনটির নির্ধারিত যাত্রাবিরতি নেই। তবে দাবি আদায়ের জন্য রেললাইনে সাধারণ লোকজন অবস্থান নেওয়ায় ট্রেন দুটি সেখানে থামতে বাধ্য হয়। প্রায় ১৫ মিনিট ট্রেনটিকে আটকে থাকার পর আবু সাইদ চাঁদের সহযোগিতায় ট্রেনটি সেখান থেকে রাজশাহীর দিকে রওনা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী রেলস্টেশনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ