নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেই ফের শাস্তি পেলেন হার্দিক
Published: 30th, March 2025 GMT
গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে হারের পর নতুন করে শাস্তির সম্মুখীন হলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। মন্থর ওভার রেটের কারণে তাকে গুনতে হলো আর্থিক জরিমানা।
রোববার এক বিবৃতিতে আইপিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আচরণবিধির ২.২ ধারা লঙ্ঘন করায় হার্দিককে ১২ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। চলতি আসরে এটি মুম্বাইয়ের প্রথম মন্থর ওভার রেটের ঘটনা হওয়ায় এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ ওভার শুরু করতে ব্যর্থ হয় মুম্বাই। ফলে তাদের ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে একজন অতিরিক্ত ফিল্ডার রাখতে হয়। এর সঙ্গে এবার আর্থিক জরিমানাও পেলেন হার্দিক। চলতি মৌসুমে মন্থর ওভার রেটের কারণে শাস্তি পাওয়া প্রথম অধিনায়কও তিনি।
গত মৌসুমে রোহিত শর্মার পরিবর্তে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের নেতৃত্বে আসেন হার্দিক। তবে পরিবর্তন দলের জন্য শুভ হয়নি। ১৪ ম্যাচে মাত্র ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে ছিল মুম্বাই। সেই মৌসুমে তিনবার মন্থর ওভার রেট করায় এক ম্যাচ নিষিদ্ধও হতে হয়েছিল হার্দিককে। যদিও এবার সেই নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে।
চলতি মৌসুমেও মুম্বাইয়ের শুরুটা হতাশাজনক। প্রথম দুই ম্যাচেই হারতে হয়েছে তাদের। চেন্নাই সুপার কিংসের পর গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষেও জয়ের দেখা পায়নি পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা।
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৬ রান সংগ্রহ করে গুজরাট। জবাবে লড়াইয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৬০ রানেই থেমে যায় মুম্বাইয়ের ইনিংস। ফলে ৩৬ রানের পরাজয় বরণ করতে হয় তাদের।
বল হাতে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ব্যাটিংয়ে ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। ১৭ বলে মাত্র ১১ রান করে বিদায় নেন তিনি, যেখানে ছিল মাত্র একটি চার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’